ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১৫ জুন ২০১৬

উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকৌশলী এস. এ. এহ্সান রাজন প্রভাষক ক¤িপউটার বিজ্ঞান বিভাগ খুলনা পাবলিক কলেজ, খুলনা। ই-মেইলঃ ধযংধহ.ৎধলড়হ@মসধরষ.পড়স ওয়েবঃ িি.িধযংধহৎধলড়হ.ড়িৎফঢ়ৎবংং.পড়স ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ.ৃৃৃৃ (পূর্ব প্রকাশের পর) ব্যাকরণগত ভুল বা ঝুহঃধী ঊৎৎড়ৎ প্রতিটি উচ্চতর ভাষায় প্রোগ্রাম রচনা করার সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। এই ধরণের নিয়মগুলির যে কোন ব্যতিক্রম সাধন করলে সেটিকে ব্যাকরণগত ক্রটি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ব্যাকরনগত এই নিয়ম বা সিন্ট্যাক্সগুলি প্রতিটি প্রোগ্রামিং ভাষার জন্য ভিন্ন-ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সি প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রতিটি স্টেটমেন্টের শেষে সেমিকোলন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কোডিং এর সময় যে স্থানে সেমিকোলন (;) দেওয়ার সিন্ট্যাক্স রয়েছে সেখানে সেটি প্রদান না করলে ক¤পাইলার সেটিকে ব্যাকরণগত ত্রুটি (ঝুহঃধী ঊৎৎড়ৎ) হিসাবে প্রদর্শন করে। ক¤পাইলার মূল কাজই হল এ ধরণের ব্যাকরণগত ক্রট নির্নয় করে ত্রুটটি কোন লাইনে রয়েছে তা প্রোগ্রামারকে ঊৎৎড়ৎ গবংংধমব আকারে অবহিত করা। অনুরূপভাবে লাইব্রেরী ফাংশনের নাম লিখতে ভুল করলে (যেমন ঢ়ৎরহঃভ এর স্থলে ঢ়ৎরহঃ লিখলে) অথবা লাইব্রেরী ফাংশনের প্যারামিটার (চধৎধসবঃবৎ) সঠিক না হলে, বন্ধনী সঠিকভাবে প্রদান না করলে অথবা ঈধঢ়রঃধষ খবঃঃবৎ ও ঝসধষষ খবঃঃবৎ জনিত সমস্যা হলে তা সিন্ট্যান্সজনিত ত্রুটি। সাধারণভাবে এই ধরণের ত্রুটি সংশোধন করা অপেক্ষাকৃত সহজ। ভুল সংশোধন সাপেক্ষে ক¤িপউটার প্রোগ্রাম নির্বাহ করতে সক্ষম হয়। যৌক্তিক ত্রুটি (খড়মরপধষ ঊৎৎড়ৎ) প্রোগ্রামের কোন যুক্তি প্রদান যথার্থ না হলে যৌক্তিক ত্রুটি সংগঠিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, (ী+ু) এর স্থলে (ী-ু) অথবা (ধ্্ন) এর স্থলে (ধ।।ন) অথবা (ঢ়>=য়) এর স্থলে (ঢ়<=য়) নির্দেশ দেওয়ার ফলে যৌক্তিক ত্রুটি সংগঠিত হতে পারে। ক¤পাইলার যৌক্তিক ত্রুটি নির্নয় করতে সক্ষম হয় না বলে প্রোগ্রামে যৌক্তিক ত্রুটি থাকার পরও প্রোগ্রাম আউটপুট প্রদান করে, যদিও সেটি সঠিক মান নয়। যৌক্তিক ত্রুটি থাকার পরও ক¤পাইলার তা নির্নয় করতে পারে না বলে টেস্ট ডেটার দ্বারা ম্যানুয়ালি তা নির্নয় করা হয়। নির্বাহজনিত ত্রুট (জঁহ-ঞরসব ড়ৎ ঊীবপঁঃরড়হ ঊৎৎড়ৎ) ব্যাকরণগত ও যৌক্তিকভাবে সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাহ করার ক্ষেত্রে ভুল ইনপুটের জন্য অথবা যে এনভায়রনমেন্টে প্রোগ্রাম নির্বাহ করা হচ্ছে সেটির সাথে প্রোগ্রামের সমন্বয়জনিত সীমাবদ্ধতার জন্য নির্বাহজনিত ত্রুটি হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঋণাÍক সংখ্যার বর্গমূল বা লগারিদম নির্নয় করা, প্রোগ্রাম কর্তৃক প্রসেসরের ক্ষমতার তুলনায় অধিক রিসোর্স বন্টনের নির্দেশ দেওয়া, শূন্য দ্বারা কোন সংখ্যাকে ভাগ করা ইত্যাদি অপারেশনের ক্ষেত্রে নির্বাহজনিত ত্রুটি ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে নির্বাহজনিত ত্রুটির সুনির্দিষ্ট কারণ ও সেটির সমাধান নির্নয় করা অনেক সময়সাপেক্ষ এবং বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ প্রোগ্রামার ছাড়া অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। ডিবাগিং প্রোগ্রামে যে কোন ভুল থাকলে সেগুলিকে বলা হয় বাগ (ইঁম)। আর, প্রোগ্রামে বিদ্যমান ত্রুিিট খুজে বের করে তা সমাধানকে বলা হয় ডিবাগ (উবনঁম)। আর সমস্যা নির্ধারণ ও সমাধানের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডিবাগিং (উবনঁমমরহম)। শাব্দিক অর্থে বাগ অর্থ হল পোকা। ডিবাগিং অর্থ পোকামুক্ত করা। ১৯৪৫ সালে মার্ক-১ (গঅজক-ও) ক¤িপউটারে একটি মথ পোকা ঢুকে যাওয়ায় তা অচল হয়ে পড়ে। এই ঘটনা থেকেই ডিবাগিং শব্দের উৎপত্তি। ডিবাগিং এর জন্য একটি প্রোগ্রামের শুরু থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন হয়। ব্যাকরণগত ত্রুটি সংশোধন সহজ হলেও যৌক্তিক ত্রুটি এবং নির্বাহজনিত ত্রুিিট নির্নয় করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য।
×