নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ১৪ জুন ॥ তালতলী উপজেলার ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির বেহালদশা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১০ বছরেও দেয়া হয়নি হাসপাতাল পরিচালনার জন্য কোন ধরনের বরাদ্দ। অভ্যন্তরীণ বিভাগের জন্য দেয়া হয়নি জনবল ও ডাক্তার। নেই বহির্বিভাগ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ। জেলা প্রশাসন বলছে বার বার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা। ২০০৬ সালে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনটি নির্মাণের পর থেকে উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য এখানে দেয়া হয়নি কোন ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের বরাদ্দ। ২ তলা ভবন থাকলেও অভ্যন্তরীণ বিভাগের সব শাখাই থাকে তালাবদ্ধ। সামান্য কিছু আসবাবপত্র থাকলেও বেশিরভাগ কক্ষই একেবারে ফাঁকা। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কিছু ওষুধ এনে জোড়াতালি দিয়ে বহির্বিভাগ চালু রাখার চেষ্টা করলেও, ডাক্তার স্বল্পতার কারণে তাও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে অতিকষ্টে স্বাস্থ্যসেবা নিতে ছুটে আসতে হয় ২ কিলোমিটারের নদী পার হয়ে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে জেলার জেনারেল হাসপাতালে। একজন মাত্র এমবিবিএস ডাক্তার কর্মরত আছেন। প্রচুর রোগীর চাপে স্বাস্থ্যসেবা দিতে তাকে হিমশিম খেতে হয়। আর তাছাড়া চিকিৎসার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি থাকতেও টেকনিশিয়ান এবং ওষুধপত্র নেই বলে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এই এলাকার অসংখ্য রোগীরা। বরগুনা সিভিল সার্জন ডাক্তার রুস্তুম আলী বলেন, তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ভর্তি করানোর জন্য আমরা এখনও অনুমোদন ও বাজেট পাইনি। অনুমোদন ও ডাক্তার বাড়ানোর জন্য আমরা প্রতি মাসে ডিজি অফিসে রিপোর্ট পাঠাই, কিন্তু তাতে কোন কাজ হচ্ছে না। তবে তিনি এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন তারা গুরুত্ব দিলে হয়ত তালতলী হাসপাতালটি চালু করা সম্ভব হতো।
মোরেলগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি, কুপিয়ে জখম
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিংড়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ধরাধোয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তালুকদার আলী আক্কাস বুলুকে (৫২) প্রকাশ্যে গুলি করে ও উপর্যুপরি পিটিয়ে-কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ইউপি চৌকিদার মতিয়ার রহমানকেও মারপিট করা হয়। মঙ্গলবার সকালে কাছিকাটা গ্রামে ইউপি ভূমি অফিসের সামনে ওৎ পেতে থাকা সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। পিরোজপুর হাসপাতাল থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হুমায়ুন কবির ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে বাড়ি থেকে মোরেলগঞ্জ সদরে ভিজিডি চাল আনতে যাওয়ার পথে ৬/৭ জনের একদল দুর্বৃত্ত চেয়ারম্যান বুলুকে গুলি করে। তিনি রাস্তার ওপর পড়ে যান। তখন হাতুড়ি দিয়ে বেপরোয়া পিটিয়ে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে মৃত ভেবে রাস্তার ওপর ফেলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। হামলার সময় বাধা দিতে গেলে চৌকিদার মতিকেও মারপিট করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: