ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষানবিসদের কাছে জিম্মি শেবাচিম

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ১৫ জুন ২০১৬

 শিক্ষানবিসদের কাছে জিম্মি শেবাচিম

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার একমাত্র ভরসা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল শিক্ষানবিস (ইন্টার্নী) চিকিৎসকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এমনই কথা জানিয়েছেন হাসপাতালে সেবা নিতে আসা একাধিক রোগী ও তাদের স্বজনরা। শহিদুল ইসলাম নামের এক বৃদ্ধ দুর্ঘটনায় আহত হলে মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে তাকে ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। শহিদুলের স্বজনরা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি করার পর কর্তব্যরতরা বলেন, এখানে ধর্মঘট চলছে, অন্যস্থানে নিয়ে চিকিৎসা করান। তাই অনেক কষ্টে ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ হাসপাতালে চতুর্থ দিনের ন্যায় চলছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যে পুলিশ অফিসারের জন্য শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা ধর্মঘট ডেকেছিল তাকে রবিবার শাস্তিমূলক ক্লোজ করা হয়েছে। তারপরও প্রকাশ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কাছে পুলিশ অফিসারের ক্ষমা চাওয়ার অযুহাতে চতুর্থ দিনের ন্যায় কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন ইন্টার্নী চিকিৎসকরা। এতে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার সেবা প্রার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেবাচিম হাসপাতালের একাধিক কর্মচারীরা জানান, কথায় কথায় কর্মবিরতির কারণে ভর্তি হওয়া রোগীরা পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছেন না। এমনকি অনেক রোগীকে হাসপাতাল ছেড়ে অন্যত্র চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এছাড়া নতুন রোগী ভর্তির সংখ্যাও কমে গেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি কর্মবিরতিতে সেবা প্রার্থীদেও কোন সমস্যা হচ্ছে না। তাদের অন্যত্রও চলে যেতে হচ্ছে না। চিকিৎসকদের এমন আচরণ এবং কথায় কথায় ধর্মঘট প্রসঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ প্রফেসর এম মোয়াজ্জেম বলেন, যিনি রোগীর সঙ্গে ভাল আচরণ করতে জানে না, এমন ব্যক্তি চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। চিকিৎসা জগতে যে নৈরাজ্য চলছে, তা শক্তহাতে দমন করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এসএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন, তারা যা এখন করছেন তা সবই ভুল।
×