ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এমএনপির চূড়ান্ত নিলাম ২১ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৫ জুন ২০১৬

এমএনপির চূড়ান্ত নিলাম ২১ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমএনপির (মোবাইল নাম্বার পোর্টেবিলিটি) চ’ড়ান্ত নিলাম আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। ১৬ জুন এমএনপি নিলামের জন্য আবেদন চাওয়া হবে। জুলাই মাসে প্রি-বিড মিটিং হবে। আগস্টে বিড আনের্স্টমানি জমা নেবে বিটিআরসি। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. শাহজাহান মাহমুদ এ তথ্য জানিয়েছেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রাথমিকভাবে একটি প্রতিষ্ঠানকে এই লাইসেন্স দেয়া হবে। মেয়াদ হবে ১৫ বছর। পরে সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করা যাবে। এমএনপি সেবা চালুর নীতিমালা, গ্রাহকসেবা ও নিলাম রোডম্যাপসহ সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বিটিআরসি কার্যালয়ে ই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নিলাম প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর লাইসেন্স হস্তান্তর করে এ বছর সেবা চালু করা যাবে বলে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। অপারেটরের সেবায় সন্তুষ্ট না হলেও এখন অনেকে নম্বর পরিবর্তনের ঝামেলায় জড়াতে চান না। এমএনপি চালু হলে তারা নম্বর ঠিক রেখেই অন্য অপারেটরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। বহু প্রতীক্ষিত এই সুযোগ তৈরির জন্য গত ২ ডিসেম্বর এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের কাজ কারা পাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, পুরোপুরি স্বচ্ছতার ভিত্তিতে করা হবে। কয়েকটি বিষয়ে মূল্যায়ন মানদ- যুক্ত করে গত জানুয়ারিতে এমএনপি নীতিমালার সংশোধিত খসড়া চূড়ান্ত করে বিটিআরসি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর পর মে মাসে তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। নিলাম প্রক্রিয়ায় আবেদন ফি এক লাখ টাকা, বিড আর্নেস্টমানি ১০ লাখ টাকা, নিলামের ভিত্তিমূল্য এক কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি ২০ লাখ টাকা, রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ প্রথম বছর শূন্য শতাংশ এবং দ্বিতীয় বছর থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ব্যাংক গ্যারান্টি বাবদ এক কোটি টাকা দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এমএনপি সুবিধা দিতে অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে ৩০ টাকা নিতে পারবে। অর্থ মন্ত্রণালয় আগেই বিষয়টি অনুমোদন করেছে। একবার এমএনপি সুবিধা নেয়ার পর গ্রাহক আবার নতুন কোন অপারেটরে যেতে চাইলে তাকে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। বর্তমানে ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি পরিষেবা চালু রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী আরও লাইসেন্স দেয়া হতে পারে বলেও বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×