ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১শ’ ২৫ জঙ্গী সংগঠনের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৪টির সদস্য

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৫ জুন ২০১৬

১শ’ ২৫ জঙ্গী সংগঠনের মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে মাত্র ৪টির সদস্য

শংকর কুমার দে ॥ এক দশকের ব্যবধানে দেশের ৬৪ জেলার বিভিন্নস্থানে অঞ্চলভিত্তিক দল, উপদল, শাখা, প্রশাখা ঘোষণা দিয়ে ১২৫ জঙ্গী সংগঠন গড়ে ওঠার সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ব্যাঙের ছাতার মতো এত জঙ্গী সংগঠন গড়ে উঠলেও বর্তমানে দেশব্যাপী যে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হচ্ছে তাতে ৪টি জঙ্গী সংগঠনের নাম পাওয়া গেছে, যার গ্রেফতারের সংখ্যা ২ শতাধিক জঙ্গী সদস্য। যে ৪টি জঙ্গী সংগঠনের নাম পাওয়া গেছে তার মধ্যে জেএমবি, হুজি, হিযবুত ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্যরাই গ্রেফতারের তালিকায় আছে। এ ছাড়াও আল্লাহর দল ব্রিগেড, কতল বাহিনী, শহীদ নাসিরুল্লাহ খান আরাফাত ব্রিগেড, আহসাব বাহিনী আত্মঘাতী দল বা সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য হিসেবে সক্রিয় আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে, যার সঙ্গে টার্গেট কিলিং বা গুপ্ত হত্যার সম্পর্ক আছে, কিন্তু গ্রেফতারের তালিকায় তাদের কারও নাম পাওয়া যায়নি। তবে দেশব্যাপী ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা জঙ্গী সংগঠনগুলোর সদস্যের একাংশকে সংগঠিত করে এক প্ল্যাটফর্মে এনে টার্গেট কিলিং বা গুপ্ত হত্যা ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করছে তারা। যারা টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা করছে তাদের কোথা থেকে কারা কিভাবে নির্দেশ দিয়ে পরিচালিত করছে সেই কন্ট্রোল রুমের রিমোট কন্ট্রোলটি কোথায় তার সন্ধান করছে গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে এ খবর জানা গেছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, প্রকাশ্য ও গোপন জঙ্গী সংগঠনের ১২৫টি চিহ্নিত করা গেলেও সংগঠনের বাইরেও আরও কিছু সংগঠন দেশে সক্রিয় রয়েছে, যেসব সংগঠন স্বঘোষিত হয়ে জন্ম নিয়ে সক্রিয় আছে অঞ্চলভিত্তিক। স্বনামে ও বেনামে পরিচিত এই জঙ্গী সংগঠনগুলোর ‘মাদার‘ সংগঠন হচ্ছে জামায়াত-শিবির। জামায়াত-শিবিরের দেয়া আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে তারা জঙ্গী কর্মকা- পরিচালনা করছে। মূলত যুদ্ধাপরাধীর বিচারে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এবং আদালতের রায়ে ফাঁসি কার্যকর করার পর টার্গেট কিলিং বা গুপ্ত হত্যা করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। তাদের সঙ্গে বিএনপি নীতিগত জোটে থাকা এবং বিগত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংস সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েই জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে টার্গেট কিলিং বা গুপ্ত হত্যায় যুক্ত হয়েছে তারা। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দেশে বিভিন্ন নামে সক্রিয় ১২৫ জঙ্গী সংগঠনের মধ্যে আন্তজার্তিক পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে কয়েকটি জঙ্গী সংগঠনের নেতারা। এসব জঙ্গী সংগঠনের সদস্যের মধ্যে অনেকেরই নেয়া আছে সামরিক প্রশিক্ষণ। আবার অনেকেই গোপনে সামরিক প্রশিক্ষণসহ আন্তজার্তিক পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে স্বনামে-বেনামে। তবে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা ঘটানোর জন্য খুনী চক্রের সদস্যদের নির্দেশদাতা হিসেবে লন্ডন ও আমেরিকায় অবস্থানকারী কয়েক ব্যক্তিকে সন্দেহের তালিকায় রেখেছে গোয়েন্দারা। উদাহরণ হিসেবে ঢাকায় ইতালীয় ও রংপুরে জাপানী হত্যার ঘটনায় স্পষ্ট ধারণা দেয় যে, এর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসাজশ আছে, যা এখনও তদন্তাধীন। দেশের জঙ্গীগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্তত ৪ আত্মঘাতী জঙ্গী সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনগুলোর অনেক সদস্য দেশে-বিদেশে অস্ত্র পরিচালনায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের কর্মী বাহিনী কয়েকটি স্তরে সাজানো। এক স্তর টার্গেট মিস করলে অন্য স্তর ব্যবহার করা হয়। এদের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার আড়ালে আত্মঘাতী জঙ্গী হয়ে উঠেছে। তবে সম্প্রতি যেসব হিন্দু, খ্রীস্টান, সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বী ও চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীকে খুন করানো হয়েছে সেই খুনী চক্রের সদস্যের সন্ধান করেই টার্গেট কিলিং বা গুপ্ত হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তদন্তের পথ বেছে নেয়া হয়েছে। জঙ্গী সংগঠনের ১২৫টির তালিকা ॥ গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্নস্থানে অঞ্চলভিত্তিক যেই ১২৫টি জঙ্গী সংগঠন গড়ে উঠেছে সেই জঙ্গী সংগঠগুলো হচ্ছেÑ আফগান পরিষদ, আহলে হাদিস আন্দোলন, আহলে হাদিস যুব সংঘ (এএইচজেএস), আহলে হাদিস তবলিগা ইসলাম, আহসাব বাহিনী (আত্মঘাতী সুইসাইড গ্রুপ), আল হারামাইন (এনজিও), আল হারাত আল ইসলামিয়া, আল ইসলাম মার্টারস ব্রিগেড, আল ইসলামী সংহতি পরিষদ, আল জাজিরা, আল জিহাদ বাংলাদেশ, আল খিদমত, আল কুরত আল ইসলামী মার্টারস, আল মারকাজুল আল ইসলামী, আল মুজাহিদ, আল কায়েদা, আল সাঈদ মুজাহিদ বাহিনী, আল তানজিব, আল উম্মাহ, আল্লার দল, আল্লাহর দল ব্রিগেড (আত্মঘাতী), আল ইয়াম্মা পরিষদ, আমানাতুল ফোরকান আল খাইরিয়া, আমিরাত-ই-দীন, আমরা ঢাকাবাসী, আনজুমানে তালামিজিয়া ইসলামীয়া, আনসারুল্লাহ মুসলেমিন, আরাকান আর্মি (এএ), আরাকান লিবারেশন ফ্রন্ট (এএলপি), আরাকান লিবারেশন পার্টি, আরাকান মুজাহিদ পার্টি, আরাকান পিপলস আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা ফোর্স, আরাকান রোহিঙ্গা ইসলামী ফ্রন্ট, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এআরএনও), ইউনাইটেড স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন অব আরাকান মুভমেন্ট, ইবতেদাদুল আল মুসলিমা, ইকতেদুল তাহাল আল মুসলেমিন, ইকতেদুল তুহাল-আল-মুসলেমিন (আইটিএম), ইন্টারন্যাশনাল খাতমে নব্যুয়ত মুভমেন্ট, ইসলাহুল মুসলেমিন, ইসলামী বিপ্লব পরিষদ, ইসলামী জিহাদ গ্রুপ, ইসলামী লিবারেশন টাইগার অব বাংলাদেশ (আইএলটিবি), ইসলামী প্রচার মিডিয়া, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী সৈন্য, ইসলামিক সলিডারিটি ফ্রন্ট, ইয়ং মুসলিম, এবতেদাতুল আল মুসলামিন, এহসাব বাহিনী, ওয়ারেট ইসলামিক ফ্রন্ট, ওয়ার্ড ইসলামিক ফ্রন্ট ফর জিহাদ, কালেমায়ে-জামাত, কালেমা ই-দাওয়াত (অধ্যাপক আবদুল মতিন এ দলের প্রধান), কতল বাহিনী (আত্মঘাতী গ্রুপ), খতমে নব্যুয়াত আন্দোলন পরিষদ বাংলাদেশ (এএনএপিবি), খতমে নব্যুয়াত কমিটি বাংলাদেশ, খিদমত-ই-ইসলাম, খিলাফত মজলিশ, খিতল-ফি-সাবিলিল্লাহ, খিলাফত-ই-হুকুমত, ছাত্র জামায়েত, জাদিদ-আল-কায়েদ, জাগ্রত মুসলিম বাংলা, জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি), জামাত-এশ-সাদাত, জামায়াত-উল-ইসলাম মুজাহিদ, জামা-তুল-মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), জামাত-ই-মাদারাসিন বাংলাদেশ, জামাত-ই-তুলবা, জামাত-ই-ইয়াহিয়া, জামাত-ইল-ফালিয়া, জামাতুল ইসলাম মুজাহিদ, জামাতে আহলে হাদিস, জামেয়া মোহাম্মদিয়া আরাবিয়া, জামিয়াতি ইসলামী সলিডারিটি ফ্রন্ট, জামিয়াতুল ইয়াহিয়া উত তুরাজ, জঙ্গী হিকমত, জাইশে-মুস্তাফা, জাইশে- মোহাম্মদ, জামাতুল-আল-শাদাত, ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব আরাকান, ন্যাশনাল ইউনাইটেড পার্টি অব আরকান (এনইউপিএ), নেজামে ইসলামী পার্টি, ফারইস্ট ইসলামী, তামির-উদ-দীন, তাহফিজ হারামাইন, স্বাধীন বাংলাদেশ কমিটি, তানজিম বাংলাদেশ, তানজিম-ই-খাতেমি নব্যুয়ত, তাওহিদী জনতা, দাওয়াত-ই-ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলাম রক্ষা কমিটি, বাংলাদেশ সন্ত্রাসবিরোধী দল, বিশ্ব ইসলামী ফ্রন্ট, মজলিশ-ই-তাহফিজে খাতমে নব্যুয়ত, মুজাহিদী তৈয়্যবা, মুসলিম লিবারেশন ফ্রন্ট অব বার্মা, মুসলিম মিল্লাত শরীয়াহ কাউন্সিল, মুসলিম মুজাহিদীন বাংলাদেশ (এমএমবি), মুসলিম রক্ষা মুজাহীদ দল, রোহিঙ্গা ইনডিপেন্ডেন্টস ফোর্স, রোহিঙ্গা ইসলামী ফ্রন্ট, রোহিঙ্গা প্যাট্রিয়টিক ফ্রন্ট, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, রিভাইভাল অব ইসলামী হেরিটেজ (এনজিও), লিবারেশন মিয়ানমার ফোর্স, লুজমা মক্কা আল খায়েরা, শাহাদাত-ই-আল হিকমা, শাহাদাত-ই-নব্যুয়াত, শহীদ নাসিরুল্লাহ খান আরাফাত ব্রিগেড (আত্মঘাতী গ্রুপ), সত্যবাদ, সাহাবা সৈনিক, হরকাত-উল-জিহাদ, হায়েতুল ইগাসা, হেফাজেতে খতমে নব্যুয়ত, হিজবুত-তাহরীর, হিজবে আবু ওমর, হিজবুল মাহাদী, হিজবুল্লাহ আদেলী বাংলাদেশ, হিজবুল্লাহ ইসলামী সমাজ, হিজবুত-তাওহিদ ও হিকমত-উল-জিহাদ ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিম-৭। গোয়েন্দা সূত্র জানান, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মূলত জঙ্গী সংগঠনের গোপনে বা প্রকাশ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে। এর আগে আফগান যুদ্ধে জিহাদী হয়ে বাংলাদেশ থেকে গিয়ে যুদ্ধ করা এবং যুদ্ধ করে ফিরে আসার ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও জঙ্গী তৎপরতার খবর তেমন একটা প্রকাশ্যে শোনা যেত না। তবে ২০০৫ সালে দেশব্যাপী ৬৪ জেলার মধ্যে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গী সংগঠন জেএমবির আত্মপ্রকাশের মধ্য দিয়েই মূলত জঙ্গী তৎপরতা প্রকাশ্যে আসার ঘটনা ঘটে, যা এখন ফুলে ফেঁপে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার ঘটনায় রূপ নিয়েছে। তখন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী হিসেবে জামায়াতের আমির যিনি যুদ্ধাপরাধীর মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলেছেন সেই মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, দেশে কোন বাংলা ভাই বা ইংরেজী ভাই নাই। অথচ জেএমবির সেই বাংলা ভাই প্রকাশ্যেই রাজশাহীর বাগমারায় ট্রাকযোগে মিছিল করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান এবং পরবর্তীতে জেএমবির প্রধান শায়ক আবদুর রহমানের সঙ্গে যে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলা ভাইও। এসব জঙ্গী তৎপরতার পরবর্তী সময়ে সারাদেশে জঙ্গী উত্থান ও কর্মকা- প্রমাণ করে তাদের অন্যতম টার্গেট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের টার্গেট কিলিং বা গুপ্ত হত্যার সূচনা করেছে। এক প্ল্যাটফর্মে সংগঠিত জঙ্গী সংগঠনগুলো ॥ দেশের বিভিন্নস্থানে বিভক্ত হয়ে গড়ে ওঠা জঙ্গী সংগঠনগুলোর সদস্যদের একই প্ল্যাটফর্মে এনেছে রাজনৈতিক শক্তি, যার মাধ্যমে দেশে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা ঘটানো হচ্ছে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। একই প্ল্যাটফর্মে আনার ফলে খুনগুলোও হচ্ছে একই কায়দায়, যার পরিকল্পনা, নিদের্শনা ও অর্থযোগানদাতার মূলও একই জায়গায়। যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু এবং বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে মূলত ২০১৩ সাল থেকে অর্থাৎ ৩ বছর ধরেই চলছে কিছুদিন বিরতি দিয়ে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা। আলোচ্য সময়ে এ পর্যন্ত ৫২ জনকে কুপিয়ে একই কায়দায় খুন করা হয়েছে যার মধ্যে প্রগতিশীল লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, শিক্ষক, পুরোহিত, মুয়াজ্জিন, ধর্মযাজক, বিদেশী, মানবাধিকার কর্মী, সেবক, দর্জি, মুদি দোকানি, পুলিশ ও পুলিশ পরিবারের সদস্য, হিন্দু, খ্রীস্টান, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ও মতাবলম্বীরা। এর মধ্যে রংপুরের পুরোহিত উত্তম কুমার মোহন্তকে অপহরণের পর উদ্ধার করা হয়েছে। পাবনার হেমায়েতপুরে সেই একই কায়দায় খুন হলেন শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র আশ্রমের সেবক নিত্যরঞ্জন পা-ে (৬২), চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। একই দিনে খুন হন নাটোরে মুদি দোকানি সুনীল গোমেজ। এর আগে খুন হন ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল। এর কিছু দিন আগে যাদেরকে একই কায়দায় খুন করা হয়েছে তার মধ্যে প্রগতিশীল লেখক, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন খুন ও অপর প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল, ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রণদীপ বসুকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটিয়েছে। একই কায়দায় একই গ্রুপের সদস্যদের দিয়ে পর্দার অন্তরাল থেকে কোন অদৃশ্য মহল কলকাঠি নাড়িয়ে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা করানো হচ্ছে তার স্পষ্ট প্রমাণ দেয়। এখন শুধু এই মহলটিকে হাতেনাতে ধরে তথ্য প্রমাণ সাক্ষ্য হাজির করতে হবে।
×