ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনের বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ১৪ জুন ২০১৬

১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনের বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলতি বছরের ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনের বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার ফল সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। বেসরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) অধীনে গত ১৩ মে এ পরীক্ষা হয়। ফল প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে (nrtca.teletalk.com.bd) পাওয়া যাচ্ছে। এনটিআরসিএ’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফল প্রকাশের বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষায় স্কুল-২ (মাদ্রাসা ও কারিগরি স্তর) পর্যায়ে ১৯ হাজার ২৪৪ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬২০, স্কুল (সাধারণ) পর্যায়ে তিন লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯০ হাজার ৯৪৪ এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ দুই হাজার ২৯ অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৫ হাজার ৬৯৮ জন। অর্থাৎ স্কুল-২ পর্যায়ে পাসের হার তিন দশমিক ২২ শতাংশ, স্কুল পর্যায়ে ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও কলেজ পর্যায়ে ২৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সার্বিক পাসের হার ২৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। এখন কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এই নিবন্ধন পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এর আগে গত ১৩ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে ত্রয়োদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা। সকাল ১০টা সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা। এরপর বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয় স্কুল পর্যায়ের পরীক্ষা। ৬ ও ৭ মে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে ইউপি নির্বাচনের কারণে পরীক্ষার তারিখ পেছানো হয়। বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণদের আটটি বিভাগীয় শহরে লিখিত পরীক্ষায় বসতে হয়। এই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। তবে, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগের পদ্ধতিতেই হবে। ২০০৫ সালে সরকার নিবন্ধন পদ্ধতি চালু করেন। আইন কার্যকর হয় একই বছরের ২০ মার্চ থেকে। বিধান অনুযায়ী নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক ছিল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের আবেদন করতে। নিয়োগ পরীক্ষা ও নিয়োগের যাবতীয় ক্ষমতা ম্যানেজিং কমিটির হাতে ছিল। নিবন্ধন সনদ না হলে কেউ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার আবেদনই করতে পারতেন না। মোট ১২টি পরীক্ষায় প্রায় ৬ লাখ নিবন্ধন সনদ পেয়েছেন। তবে গত বছর আইনের বিধান পাল্টেছে সরকার। নতুন বিধান অনুযায়ী নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকেই প্রার্থী বাছাই করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-কারিগরি প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের কোন ক্ষমতা পরিচালনা কমিটির হাতে নেই এখন। এবারের নিবন্ধন পরীক্ষা থেকেই নতুন বিধান কার্যকর।
×