ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের কোচ হতে ৫৭ আবেদন

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৪ জুন ২০১৬

ভারতের কোচ হতে ৫৭ আবেদন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত কতটা ‘হট কেক’ সেটি আরও একবার প্রমাণ হলো। দেশটির জাতীয় দলের কোচ হতে ৫৭ জন আবেদন করেছেন! আবেদনকারী তালিকায় সাবেক ভারতীয়দের সংখ্যাই বেশি। আছেন বর্তমান ‘ডিরেক্টর’ রবি শাস্ত্রী, সাবেক কোচ সন্দীপ পাতিল, ভেঙ্কটেশ প্রসাদসহ আরও অনেকে। ইন্ডিয়ান বোর্ড (বিসিসিআই) এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ খবর (কেবল সংখ্যা) জানিয়েছে। ২০১৪ ইংল্যান্ড সফরে ব্যর্থতার পর মোড়ল দেশটির প্রধান কোচ ডানকান ফ্লেচারের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল, তবু তাকে গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত দলের সঙ্গে রেখে দিয়েছিল বিসিসিআই। কিন্তু বিশ্বকাপে অন্তর্বর্তী দায়িত্বটা পালন করেছিলেন রবি শাস্ত্রীই। ২০১৫-এর এপ্রিল থেকে এবারের টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত একইসঙ্গে তিনি ছিলেন ডিরেক্টর এবং কোচ। বিজ্ঞপ্তি দেয়ার এত অল্প সময়ের মধ্যে এত এত আবেদন সত্যি বিস্ময়কর।ওয়ানডে বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ভারত নড়েচড়ে বসেছে। শীঘ্রই মহেন্দ্র সিং ধোনি-বিরাট কোহলিদের স্থায়ী কোচ নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বিসিসিআই। কে হচ্ছেন ক্রিকেটে সময়ের আকর্ষণীয় ও প্রভাবশালী দলটির প্রধান কোচÑ সেই আলোচনা এখন তুঙ্গে। ভারতের বস হওয়া বলে কথা! পদটা পৃথিবীর সব কোচের জন্য লোভনীয়। তাই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে দফতরে আবেদনের এই স্তূপ। বিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোট ৫৭ আবেদন পড়েছে। যদিও আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। নতুন সেক্রেটারি অজয় শিরকে বলেন, ‘তালিকাটা এ্যাডভাইজরি কমিটিতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তারাই বাছাইয়ের মূল কাজটা করবেন।’ উল্লেখ্য, এ্যাডভাইজরি কমিটিতে আছেন তিন গ্রেট শচীন টেন্ডুলকর, সৌরভ গাঙ্গুলী ও ভিভিএস লক্ষণ। সংবাদে প্রকাশ টিম ডিরেক্টর রবি শাস্ত্রী, নির্বাচক সদস্য পাতিলসহ আবেদন করেছেন প্রাভীন আমরি, ভেঙ্কটেশ প্রাসাদ, বালবিন্দর সিং সান্দু, সুরেন্দ্র ভের, ঋষিকেশ কানিতকার। বিদেশীদের মধ্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়া পেসার জেসন গিলেস্পি, বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল, হিথ স্ট্রিকের নাম শোনা যায়। স্থানীয়দের মধ্যে অবশ্য শাস্ত্রী-পাতিল বড় নাম। পাতিল ২০১২ সাল থেকে গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ছিলেন বেঙ্গালুরু ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির চেয়ারম্যান, কেনিয়া ও ওমানের কোচ। ১৯৯৬ সালে একবার ভারতের কোচও হয়েছিলেন। সেবার ৬ মাসের মাথায় পদ হারান। তবে কেনিয়া জাতীয় দলের কোচ হিসেবে তার খ্যাতি ছিল সবচেয়ে বেশি। তার অধীনে দলটি ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে। পাতিল ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য।
×