ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উগ্র সমর্থকদের তা-বে বিপাকে ইউরো

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৪ জুন ২০১৬

উগ্র সমর্থকদের তা-বে বিপাকে ইউরো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত নবেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ইউরোতে আলোচনার মূল বিষয় ছিল নিরাপত্তা। এ জন্য শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় নব্বই হাজারের বেশি পুলিশ। ফ্রান্স সরকার ও ইউরোপীয় ফুটবলের কর্তৃপক্ষ উয়েফা শুধু নিরাপত্তা খাতেই ব্যয় ধরেছে ২৪ মিলিয়ন ইউরো। মাঠে ঢুকতে তিন স্তরের নিরাপত্তা, সীমিতসংখ্যক গেট দিয়ে ঢোকার অনুমতি, দুই দলের সমর্থকদের আলাদা করে বসানোসহ নানান উদ্যোগ থাকে মাঠের ভেতর। কিন্তু কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরো শুরু হলেও প্রথম তিন দিনে ফরাসী নিরাপত্তাকর্মীদের ঘুম হারাম করে ছেড়েছে ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার দাঙ্গাবাজ সমর্থকরা! মার্শেইতে শনিবার দুই দেশের সমর্থকদের দাঙ্গায় আহত হন ৩৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এক ইংলিশ সমর্থক। দাঙ্গা আর পুলিশী অভিযানের মধ্যেই শনিবার মাঠে গড়ায় ইংল্যান্ড-রাশিয়ার ম্যাচ। ১-১ গোলে ড্র করে দুই দল। তবে ইউরো শুরুর দিন থেকেই রক্তপাতের শুরু। দেশকে সমর্থনের সেই উগ্র প্রকাশ অব্যাহত ছিল রবিবারও। প্রচুর ধরপাকড় করেছে ফরাসী পুলিশ। ছুড়েছে কাঁদানে গ্যাস। ইংল্যান্ড-রাশিয়া ম্যাচ দেখতে মার্শেইয়ের স্টেডিয়াম স্তাদে ভেলোড্রামে যাওয়ার পথে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসে জেরবার হয়েছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি স্ত্রী রেবেকাহ ভার্ডিও। ফরাসী পুলিশ ‘ইংলিশ সমর্থকদের সঙ্গে জানোয়ারের মতো আটকে রেখেছিল অভিযোগ রেবেকাহ ভার্ডির। এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের কর্ণধার প্রতিষ্ঠান উয়েফা। রাশিয়ান ফুটবল ইউনিয়নের বিপক্ষে ডিসিপ্লিনারি তদন্ত শুরু করেছে তারা। সিদ্ধান্তটিকে স্বাগত জানালেও দাঙ্গার জন্য ইংলিশ হুলিগানদের দুষেছেন রাশিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী ভিটালি মুটকো। সমর্থকদের দাঙ্গার অবসান না ঘটলে ইংল্যান্ড ও রাশিয়াকে চলতি ইউরো থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে উয়েফা। ইংল্যান্ড রাশিয়ার ম্যাচের পর স্টেডিয়ামের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা। এ সময় ইংলিশ ও রাশিয়ানরা একে অপরের ওপর চড়াও হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইউরোপিয়ান গণমাধ্যম জানায়, ম্যাচ চলাকালীন ইংলিশ সমর্থকদের লক্ষ্য করে আগুনের পি- ছোড়েন রাশিয়ান সমর্থকরা। এরপরই গ্যালারির সীমানাবেষ্টনীর ওপর উঠে পড়ে দুই দলের উগ্রপন্থী সমর্থকরা। শুরু হয় মারামারি, দাঙ্গা-ফ্যাসাদ। নিজ দেশের সমর্থকদের আচরণের নিন্দা প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্য এ্যান্ডি বার্নহ্যাম। তার মতে, ইংল্যান্ড দলের সমর্থকদের আচরণ ছিল লজ্জাজনক। ইংলিশ ‘হুলিগান’ বনাম রাশিয়ান ‘আল্ট্রা’ সমর্থকদের এ দাঙ্গায় মার্শেইয়ের এক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এক ইংলিশ সমর্থক। মারপিটের একপর্যায়ে এক সমর্থককে সমুদ্রে ফেলে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে! তাকে প্রাণে বাঁচায় এক আলজেরীয় পরিবার। ভাংচুর হয়েছে মার্শেইয়ের বিভিন্ন ক্যাফে-রেস্তরাঁ-পানশালায়।
×