সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ ভারতের জি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯’ এর চ্যাম্পিয়ন হলো তিন ক্ষুদে কৌতুক শিল্পী আদিত্য, রক্তিমা আর সুমন। আয়োজনে প্রথম রানার আপ হন বাকুড়ার উৎপল ঘোষ। যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার আপ হন বাংলাদেশের দুই প্রতিযোগী সাইদুর রহমান পাভেল ও কামরুদ্দিন আরমান।
রবিবার মধ্যরাতে এ অনুষ্ঠানটির গ্র্যান্ড ফিনালে চ্যাম্পিয়নের নাম ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপন মীর আফসার ওরফে মীর। ফাইনালের বিজয়ীদের একটি ব্র্যান্ডনিউ প্রাইভেট কারের চাবি ও দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপকে যথাক্রমে দেড় লাখ ও এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মীর জানান, মীরাক্কেল আজ ১০ বছর পূর্ণ করল। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কেক কেটে ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের পরিচালক শুভঙ্কর চক্রবর্তীকে ক্রেস্ট উপহার দিয়ে বরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন শ্রীলেখা মিত্র, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রজতাভ দত্ত। গ্র্যান্ড ফিনালেতে অতিথিতে হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার অন্যতম কমেডি অভিনেতা কাঞ্চন, অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার, নির্মাতা রাজ চক্রবর্তী, রুন্দ্রনীল ঘোষসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানের ফাঁকে গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন কণ্ঠশিল্পী অনুপম।
এদিকে গত ছয়মাস ধরে এ অনুষ্ঠানটি চলে আসছিল। উপস্থাপক মীর আবসার আলী যখন মাইক্রোফোনে মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯-এর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিন শিশুর নাম ঘোষণা করেন তখন গ্র্যান্ড ফিনালের সেটে উপস্থিত দর্শকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। বাঘা বাঘা পারফরমারকে পিছু ফেলে চ্যাম্পিয়ন হয় আদিত্য, রক্তিমা ও সুমন। গ্র্যান্ড ফিনালেতে ছয় প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন বাকুড়া থেকে উৎপল ঘোষ, বাংলাদেশের সাইদুর রহমান পাভেল ও কামরুদ্দিন আরমান, এমদাদুল হক হৃদয়, রক্তিমা, আদিত্য আর সুমন (জুটি) এবং বিশ্বজিৎ ও শান্তনু (জুটি)। প্রথম রাউন্ড শেষে বাদ পড়েন বিশ্বজিৎ ও শান্তনু। পরবর্তীতে দ্বিতীয় রাউন্ডে পাঁচজন একবার করে পারফরমেন্স করেন।
অনুষ্ঠানে শ্রী নিকেতনের পক্ষ থেকে ছয় ফাইনালিস্টকেও ১৫ হাজার টাকা করে গিফট ভাউচার দেয়া হয়। ওসিয়া হারবালসের পক্ষ থেকেও গিফট ভাউচার দেয়া হয়। শ্রী নিকেতনের পক্ষ থেকে ছয় গ্রুমারকে পাঁচ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রথম রানার আপ বাকুড়ার উৎপলকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন রুদ্রনীল। জিলেট মার্ক থ্রি কনসিস্টটেন্ট পারফরমার অব দ্য সিরিজ হন উৎপল ঘোষ ও কামরুদ্দিন আরমান। তারা বিজয়ী হিসেবে পান তিন রাত চারদিন সিঙ্গাপুর যাওয়ার টিকিটসহ অন্যান্য খরচ। ফেসবুকের জনপ্রিয়তায় কনসিসটেন্ট পারফরমার হন বাংলাদেশের সাইদুর রহমান পাভেল।
