ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে রক্তক্ষয়ী বড় বড় ঘটনা

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৪ জুন ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে  রক্তক্ষয়ী বড়  বড় ঘটনা

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সমকামীদের একটি নৈশক্লাবে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ২টায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে, যা দেশটির ইতিহাসে কোন জনসমাগমস্থলে গুলি চালিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা। ৩২ জনকে হত্যা (১৬ এপ্রিল ২০০৭) : ওই দিন ব্ল্যাকবুর্গের ভার্জিনিয়া টেকের শিক্ষার্থী ২৩ বছর বয়সী সেউং-তুই চো বন্দুক হাতে দুটি স্থানে ৩২ জনকে হত্যা করে এবং ক্যাম্পাসে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন। ২৬ জনকে হত্যা (১৪ ডিসেম্বর ২০১২) : ওই দিন এ্যাডাম লানজা নামের ২০ বছর বয়সী এক তরুণ স্যান্ডি হুকনিউ টাউনের এলিমেন্টারি স্কুলে গিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে ছয়/সাত বছর বয়সী ২০ শিশু এবং বিদ্যালয়ের ছয় কর্মী নিহত হন। হামলাকারী আত্মহত্যা করে। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, এ্যাডামের মা ন্যান্সি লানজাও গোলাগুলিতে আহত হয়ে পরে মারা যান। এ ঘটনায় হামলাকারীসহ মোট ২৮ জনের প্রাণ যায়। ২৩ জনকে হত্যা (১৬ অক্টোবর ১৯৯১) : টেক্সাসের কিলিনে ৩৫ বছর বয়সী জর্জ হার্নান্দ প্রথমে নিজের পিকআপ দিয়ে একটি ক্যাফেটেরিয়ার দেয়ালে সজোরে ধাক্কা মারেন। এরপর তিনি গুলি চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন। ২১ জনকে হত্যা (১৮ জুলাই ১৯৮৪) : ৪১ বছর বয়সী জেমস হুবের্তি ক্যালিফোর্নিয়ার সান ইসিদ্রোয় ফুড চেন ম্যাকডোনাল্ডের দোকানে ঢুকে একটি শটগান ও একটি হ্যান্ডগান দিয়ে গুলি চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও ছিল। এক ঘণ্টা পর পুলিশ গুলি করে হুবের্তিকে হত্যা করে। ১৬ জনকে হত্যা (১ আগস্ট ১৯৬৬) : টেক্সাসের অস্টিনে চার্লস জোসেফ হিটম্যান নামে সাবেক এক মেরিন সেনা টেক্সাস টাওয়ারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুলি চালিয়ে ১৬ জনকে হত্যা করে। ওইদিন টেক্সাস টাওয়ারে আসার আগে হিটম্যান তার মা ও স্ত্রীকেও গুলি করে হত্যা করে। পরে টাওয়ারের ভেতর পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। ১৪ জনকে হত্যা (২ ডিসেম্বর ২০১৫) : ওই দিন সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক ও তাশফিন মালিক দম্পতি সান বারনারদিনোতে সরকারী কর্মচারীদের একটি পার্টিতে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করে। ১৪ জনকে হত্যা (২০ আগস্ট ১৯৮৬) : ওই দিন প্যাট্রিক হেনরি নামের একজন অস্থায়ী ডাকপিয়ন ওকলাহামায় তিন হ্যান্ডগান দিয়ে ১০ মিনিটে ডাকঘরের ১৪ কর্মীকে হত্যার পর নিজের মাথায় গুলি করে। ১৩ জনকে হত্যা (৫ নবেম্বর, ২০১৩) : টেক্সাসের ফোর্ট হুডে মেজর নিদাল মালিক হাসান ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। পরে বিচারে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। ১৩ জনকে হত্যা (৩ এপ্রিল ২০০৯) : নিউ ইয়র্কের জিভারলি অং একটি অভিবাসী কমিউনিটি সেন্টারে গুলি করে ১৩ জনকে হত্যা এবং চারজনকে আহত করে আত্মহত্যা করেন। ১৩ জনকে হত্যা (২০ এপ্রিল ১৯৯৯) : কলোরাডোর কলাম্বিন হাই স্কুলের এরিক হ্যারিস (১৮) ও ডিলান ক্লেবল্ড (১৭) তাদের ১২ সহপাঠী ও একজন শিক্ষককে হত্যার পর নিজেরা আত্মহত্যা করেন। ১৩ জনকে হত্যা (১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৩) : তিন ব্যক্তি সিয়াটলের ওয়াহ মি গ্যাম্বলিং এ্যান্ড সোস্যাল ক্লাবের ১৩ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে প্রত্যেককে মাথায় গুলি চালিয়ে হত্যা করে। ১৩ জনকে হত্যা (২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২) : পেনসিলভেনিয়ার সাবেক কারারক্ষী ৪০ বছর বয়সী জর্জ ব্যাংকস নিজের পাঁচ সন্তানসহ ১৩ জনকে হত্যা করেন। বিচারে প্রথমে তার মৃত্যুদ- হয়। কিন্তু পরে পেনসিলভেনিয়ার সুপ্রীমকোর্ট তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ঘোষণা করে এবং মৃত্যুদ-ের রায় বাতিল করে। -ওয়েবসাইট
×