ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চীনের শ্রমঘন শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১৪ জুন ২০১৬

চীনের শ্রমঘন শিল্প বাংলাদেশে  স্থানান্তরের প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশে দেশটির শ্রমঘন শিল্প কারখানা স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। দেশটির ইউনান প্রদেশের কুংমিং শহরে সফররত শিল্পমন্ত্রী স্থানীয় ওয়ান্ডা ভিস্তা হোটেলে শিল্প উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্যের সময় এ প্রস্তাব দেন। চতুর্থ চীন-দক্ষিণ এশিয়া প্রদর্শনী এবং ২৪তম চীনা কুংমিং আমদানি-রফতানি পণ্য মেলার পাশাপাশি এ ফোরাম আয়োজন করা হয়। চীনের ওয়ান্ডা ভিস্তা হোটেলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ফোরামে বক্তব্য দিচ্ছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শিল্পমন্ত্রী বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ চীনে এক বিলিয়ন ডলারেরও কম রফতানি করেছে। দ্রুত বাণিজ্য প্রসার ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শিল্পমন্ত্রী বলেন, চীন সরকার গৃহীত বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া ‘গোয়িং গ্লোবাল’ নীতির আলোকে চীনা উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশ অধিকাংশ পণ্য শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে স্বল্প মজুরিতে বিপুল পরিমাণে দক্ষ শ্রমিক এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় ইনসেনটিভ সুবিধা রয়েছে। চীনা বিনিয়োগকারীরা এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে কম দামে গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন করে তা নিজেদের দেশে রফতানির সুযোগ নিতে পারে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চীনা উদ্যোক্তাদের জন্য চট্টগ্রামে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি চীনা উদ্যোক্তাদের তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি চামড়া, জাহাজ নির্মাণ, হালকা প্রকৌশল, এসএমই, আইসিটি, টেলিকম, প্লাস্টিক, সিরামিক, অটোমোবাইল, ওষুধ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ফোরামে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান নিং জি, ইউনান প্রদেশের গবর্নর চেন হাউ, আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মন্ত্রী, শিল্প উদ্যোক্তা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। চীন সরকারের জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বিভাগ এ ফোরামের আয়োজন করে।
×