ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার অভিযোগ

নওগাঁয় যুবক ও গৃহবধূকে ১০১ ঘা দোররা

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৪ জুন ২০১৬

নওগাঁয় যুবক ও  গৃহবধূকে ১০১  ঘা দোররা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৩ জুন ॥ নওগাঁর সাপাহার উপজেলার প্রত্যন্ত কলমুডাঙ্গা গ্রামে গ্রাম্য সালিশী বৈঠকে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে এক গৃহবধূ ও এক যুবককে প্রকাশ্যে ১০১টি করে দোররা মারার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার প্রত্যন্ত গ্রামের এই দোররা মারার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, কলমুডাঙ্গা গ্রামের নুর জামালের স্ত্রী ও নাজিরুদ্দীনের পুত্র ফারুকের (৩৭) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলে আসছিল। গত চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ওই গৃহবধূ তার প্রেমিক ফারুককে নিয়ে নিজ স্বামীর বাড়িতে গোপন অভিসারে মিলিত হলে স্বামী নুরজামাল তাদের হাতে নাতে আটক করে এবং বিষয়টি জানাজানি হলে নির্বাচনের কারণে তার সামাজিক বিচারকার্য তখন বন্ধ থাকে। ঘটনার কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর গ্রামের মাতব্বররা বিষয়টিকে পুনরায় উজ্জীবিত করে পহেলা রমজানের দিন সকাল ১০টায় গ্রামের জনৈক মোজাফ্ফর মিস্ত্রির খলিয়ানে এক সালিশ বসায়। ওই সালিশে বাদী বিবাদীদ্বয়কে একত্রিত করে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা সালিশ চলার পর বিচারকম-লীর সভাপতি একই গ্রামের জমিদার ম-লের পুত্র আলহাজ সাইফুল ইসলাম সদস্য, কাছিম উদ্দীনের পুত্র সাজাহান ও নওসাদের পুত্র মতিউর রহমান অপরাধীদের অপরাধের কারণে ১০১টি করে বেত্রাঘাত করার জন্য যৌথভাবে রায় দেন। তাৎক্ষণিক বিচারকদের সিদ্ধান্ত মতে রায় কার্যকর করার জন্য অভিযুক্ত ওই যুবক ফারুককে বিচারক মতিউর রহমানের পুত্র আনোয়ার ১০১টি দোররা (বেত্রাঘাত) মারে। এরপর বিচারকদের তোপের মুখে গৃহবধূর পিতা তার মেয়েকেও ১০১টি দোররা (বেত্রাঘাত) মারতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান, এখনও থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×