ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ফের ঝড় ॥ দুই শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৩ জুন ২০১৬

বাগেরহাটে ফের ঝড় ॥ দুই শতাধিক বাড়ি বিধ্বস্ত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ রবিবারও কালবৈশাখী ঝড়ে চিতলমারী, কচুয়া, ফকিরহাট ও সদর উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় এই তিন উপজেলায় দু’শতাধিক ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা ভেঙ্গে, উপড়ে পড়েছে। গাছ পড়ে চিতলমারী সদর ও কলাতলা এলাকার একাধিক স্থানে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়েছেন। ভারি বর্ষণে কৃষি ফসলসহ পানের বরজ, মৎস্য ঘের ও পুকুর পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাস্তা-ঘাট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। প্রতিটি নদ-নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া হোগলাবুনিয়া, পুটিখালী, চিংড়াখলী, পঞ্চকরণ, বলইবুনিয়া, দৈবজ্ঞহাটি তেলিগাতী এবং রামপাল উপজেলার বাইনতলা ও বাঁশতলি ইউনিয়নে অনুরূপ ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া গেছে। শুভদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য প্রদ্বীশ অধিকারী জানান, সকালে কালবৈশাখীর তা-বে শুভদিয়া চুরাশী তেকাটিয়া দেয়াপাড়া ও ভাংগনপাড়া এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি ও কয়েক হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে। প্রচ- আকারে ঝড় শুরু হলে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করতে থাকে। ঝড়ের আঘাতে ঘরবাড়ি ও গাছপালা পড়ে গ্রাম ল-ভ- হয়ে যায়। গৌরম্ভা-শুকদাড়া সড়কের ওপর গাছ পড়ে যানবাহন চলাচল পুরাপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে দুপুরের দিকে স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় গাছ কেটে সরিয়ে ফেরলে পুনরায় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এই ঝড়ের কবলে পড়ে গ্রামের অনেকে আহত হয়েছেন।চিতলমারী সদর ও কলাতলা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, আমার ইউনিয়নের ৫-৬টি গ্রামের অসংখ্য ঘরবাড়ি ও গাছপালা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
×