ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৩ জুন ২০১৬

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত  বনের গাছ কেটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী/কলাপাড়া, ১২ জুন ॥ পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের পূর্ব দিকে গঙ্গামতি সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। দিনে-রাতে যখনই সুযোগ পাচ্ছে দুর্বৃত্তরা যন্ত্রচালিত করাত দিয়ে সংরক্ষিত এই বনের মূল্যবান গাছ কেটে ফেলছে। এছাড়াও গাছের গোড়ায় আগুন দিয়ে জীবিত গাছ মেরে ফেলতে শুরু করেছে দুর্বৃত্তরা। সৈকতের ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে ভূমিদস্যুরা সৈকত লাগোয়া সংরক্ষিত বনের মূল্যবান গাছগুলো কেটে ফেলছে বলে মনে করছে বন বিভাগ। এদিকে বছরের শুরুতেই কুয়াকাটা সংরক্ষিত বনের গঙ্গামতি পয়েন্টে দুইদিনে ৭০টি কেওড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বন বিভাগ এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে লোকবল কম, যানবাহন না থাকায় বনের গাছ কাটা ঠেকাতে পারছে না স্থানীয় বন বিভাগ। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটার গঙ্গামতি, লতাচাপলি, খাজুরা এলাকা নিয়ে মহিপুর রেঞ্জ অফিসের আওয়ায় ১৩ হাজার ৯৮০ একর বন রয়েছে। এই বনে ছোট-বড় মিলিয়ে আনুমানিক ১৪ লাখের মতো গাছ রয়েছে। এসব গাছের মধ্যে কড়ই, তেঁতুল, রাম তেঁতুল, গেওয়া, কেওড়া ও আকাশমনি গাছ রয়েছে। তবে কেওড়া ও আকাশমনি গাছের সংখ্যাই বেশি। বন বিভাগের মহিপুর রেইঞ্জে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এ সামসুদ্দোহা বলেন, গাছ কাটা বন্ধে আমাদের চেষ্টা অব্যাহ রয়েছে। তবে প্রায় ১৪ হাজার একর বনাঞ্চল দেখাশুনার জন্য রয়েছে মোট ১২ কর্মচারী। প্রয়োজনীয় কোন ধরনের যানবাহন নেই। বনের মধ্যে থাকার কোন সুযোগ নেই। দিনরাত কর্মচারীদের পাহারা দিতে হচ্ছে। গোড়ায় আগুন দিয়ে গাছ মেরে ফেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে শুকনো মৌসুমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন আর কেউ আগুন দিয়ে গাছ মারতে পারছে না বলে তিনি দাবি করেন। পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র বলেন, কুয়াকাটায় সৈকত লাগোয়া বন। ভূমিদস্যুরা বনের ভূমি দখলের উদ্দেশ্যে যন্ত্রচালিত করাত দিয়ে গাছ কেটে ফেলে। এ ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলাসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
×