ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্লোরিডায় সমকামী নৈশক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৫০

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৩ জুন ২০১৬

ফ্লোরিডায় সমকামী  নৈশক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৫০

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে সমকামীদের একটি নৈশক্লাবে এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৫০ জন নিহত এবং ৫৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টায় শহরের ‘পালস’ নৈশক্লাবে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী ওমর সিদ্দিকি মতিন একজন মুসলমান, তার বয়স ২৯ বছর। তার বাড়ি ফ্লোরিডার পোর্ট সেন্ট লুসিতে। সে একজন মার্কিন নাগরিক এবং তার বাবা-মা আফগান। খবর সিএনএন ও বিবিসির। অরল্যান্ডোর মেয়র বাডি ডিয়ার রবিবার হতাহতের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার পর অরল্যান্ডো শহরে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কোন জনসমাগমস্থলে গুলি চালিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা। ওমর মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অনুসারী ছিলেন বলে সন্দেহ করছে এফবিআই। এফবিআইর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘খুব সম্ভবত হামলাকারী আইএসের অনুগত ছিলেন।’ তার নাম এর আগে কোন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর তালিকায় ছিল না। তবে অন্য একটি অপরাধমূলক ঘটনার জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। যার সঙ্গে নাইটক্লাবে আক্রমণের ঘটনার কোন সম্পর্ক নেই। পুলিশ অবশ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে শনাক্ত করেনি। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বর্ণনা থেকে জানা যায়, নাইটক্লাবটি শহরের সমকামীদের একটি প্রধান কেন্দ্র। স্থানীয় সময় শনিবার রাত দু’টোর দিকে আক্রমণ চালায় বন্দুকধারী। তার হাতে ছিল দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। একটি ছিল এ্যাসল্ট রাইফেল আর অপরটি ছিল হ্যান্ডগান। এছাড়া তার গায়ের সঙ্গে কোন একটা 'বিস্ফোরক জাতীয় কিছু' বাঁধা ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা মিনা বলেন, তার ‘ভাল’ প্রস্তুতি ছিল বলে মনে হচ্ছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রাতে বন্দুকধারী গুলিবর্ষণ করলে এক কর্মকর্তা তাকে প্রতিহতের চেষ্টা করেন। ক্লাবের বাইরে তার সঙ্গে গোলাগুলিতে লিপ্ত হন ওই কর্মকর্তা। এক পর্যায় দৌড়ে ওই ক্লাবে ঢুকে পড়ে বন্দুকধারী। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি সাঁজোয়া যান দিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। স্থানীয় সময় রবিবার ভোর পাঁচটায় মার্কিন এফবিআই এজেন্টা সাঁজোয়া যানে অভিযান চালিয়ে বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা কর॥ আইএস জঙ্গী গ্রুপ এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। ওবামার নিন্দা ॥ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, কোন ধরনের বিদ্বেষমূলক বা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কখনো আমাদের আমেরিকার পরিচয় বা মূল্যবোধ বদলে দেয়া যাবে না।
×