ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এসএইউর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৩ জুন ২০১৬

এসএইউর প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির (এসএইউ) প্রথম সমাবর্তন ১১ জুন ভারতের নয়া দিল্লীর বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেপালের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মি. কামাল থাপার সভাপতিত্বে ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অবসর) ড. ভি কে সিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবর্তন বক্তৃতা প্রদান করেন। সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট (উপাচার্য) ড. কবিতা এ শর্মা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের যুবশক্তিকে বিশ^মানের আধুনিক জ্ঞান ভা-ারে গড়ে তোলা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা করার উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৩তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার ধারণা গৃহীত হয়। সার্কের আটটি সদস্য দেশসমূহের যৌথ উদ্যোগে এসএইউ প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতের রাজধানীর উপকণ্ঠে ময়দান ঘরিতে বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ভারত সরকার একশ’ একর জমি দান করেছে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। সমস্ত মূলধন বিনিয়োগ (ঈধঢ়রঃধষ ওহাবংঃসবহঃ) ভারত সরকার বহন করবে এবং সার্কভুক্ত প্রতিটি সদস্য দেশে স্যাটেলাইট ক্যাম্পাস থাকবে। মাস্টার্স, এমফিল এবং পিএইচডি পর্যায়ে সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সাতটি বিভাগে বর্তমানে প্রায় তিনশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। এ বিশ^বিদ্যালয়ে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ভারতের পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এ বিশ^বিদ্যালয়ে তিনজন বাংলাদেশী ফ্যাকাল্টি মেম্বর আছে। মি. থাপা ও জেনারেল ভি কে সিং উভয়েই তাঁদের বক্তব্যে গুরুত্বারোপ করেন যে সার্কভুক্ত দেশসমূহ যেহেতু একই ধরনের ইতিহাস, ঐতিহ্য, ধর্মীয় বিশ^াস লালন করে এবং একই ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সেহেতু এ অঞ্চলের লোকদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ভ্রাতৃত্ববোধ বিনির্মাণের কোন বিকল্প নেই। উভয় বক্তা অভিমত ব্যক্ত করেন যে, এতদাঞ্চলের যুবশক্তি কর্তৃক সাধারণ জ্ঞান ভা-ার বিনির্মাণ প্রয়োজন। এ ধরনের প্রয়াসের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষের জীবন মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উন্নীত করা যেতে পারে। বক্তারা আরও বলেন যে, এখন কনওয়েলথভুক্ত জাতি হিসেবে অঞ্চলটি পশ্চিমা বিশে^র অনেক দেশের চেয়ে সম্মান এবং মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। -বিজ্ঞপ্তি
×