ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৭২ বছর পর হোয়াইট হাউসে আসছেন একজন নিউইয়র্কার

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৩ জুন ২০১৬

৭২ বছর পর হোয়াইট হাউসে আসছেন একজন নিউইয়র্কার

হিলারি ক্লিনটন অথবা ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে নবেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যিনিই নির্বাচিত হন না কেন তিনি হবেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী প্রথম নিউইয়র্ক থেকে আসা প্রেসিডেন্ট। ২০১৭ সালের এক সম্ভাব্য শীতের সকালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে পারেন নিউইয়র্কের দুই মেয়াদে সিনেটর থাকা হিলারি অথবা ম্যানহাটানের বিলিওনিয়ার ট্রাম্প। দেশটিতে ৭২ বছর পর দুই নিউইয়র্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। এর আগে ১৯৪৪ সালে নির্বাচনে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট নিউইয়র্কের তৎকালীন গবর্নর টমাস ডেউইকে পরাজিত করেন। কিন্তু এবার ট্রাম্প ও হিলারির ঘটনাটি অন্যরকম। এই দুইজনের মধ্যে এক সময় চমৎকার সামাজিক সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। কিন্তু পরে তারা রাজনৈতিকভাবে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। দুজনের মধ্যে শুধু এতটুকুই মিল রয়েছে যে তারা দুজনই এক জায়গার থেকে এসেছেন। তারা ভৌগলিকভাবে এমন একটি বিশাল দেশের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যে দেশটি চারটি সময় অঞ্চলে বিভক্ত। কলাম্বিয়া ইউনিভর্সিটির পলিটিক্যাল ইকনোমি এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্ড পাবলিক এ্যাফেয়ার্সের প্রফেসর শ্যারিন ও‘ হ্যালোরেন বলছেন, ‘নিউইয়র্ক সবসময়ই বলিষ্ঠ, ব্যাপক যোগ্যতাসম্পন্ন, প্রতিভাবান ও কৃতি ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করে এসেছে।’ নিউইয়র্কেও এক বাসিন্দার মন্তব্য যদি আপনি এখানে কিছু করতে পারেন তবে আপনি যেকোন জায়গায় একটা কিছু করে দেখাতে পারবেন। আমেরিকার সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্ক। এর বাসিন্দাদের জীবনধারাও বৈচিত্রপূর্ণ। শহরের লোকসংখ্যা ৮৫ লাখের কিছু বেশি যাদের ৩৫ শতাংশের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে। দুই শ’র বেশি ভাষায় কথা বলে শহরের লোকজন। হিলারির জন্ম ইলিনয় অঙ্গরাজ্যে। লেখাপড়া করেছেন আইন বিষয়ে। তিনি নিউইয়র্ক থেকে দুবার সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য পরিচিত ট্রাম্পের জন্ম নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায়। রিয়েল এস্টেট ব্যবসা ও সাবেক রিয়ালিটি টিভি স্টার হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। তবে রাজনীতিতে হিলারির যেমন দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ট্রাম্পের তেমনটি নেই। মনোনয়ন প্রচারাভিযানকালে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে ট্রাম্প মিডিয়ার মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। Ñএএফপি
×