ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে কালবৈশাখীতে দুই নারী নিহত, শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১২ জুন ২০১৬

পটুয়াখালীতে কালবৈশাখীতে দুই নারী নিহত, শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১১ জুন ॥ কালবৈশাখীতে ল-ভ- হয়েছে পটুয়াখালীর ছোটবিঘাই ও আমখোলা ইউনিয়ন। এতে নিহত হয়েছেন দুই নারী। এছাড়া ঝড়ে গলাচিপায় এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ঝড়ের তা-বে দুই গ্রামে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে,উপড়ে গেছে কয়েক শত গাছপালা। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কালবৈশাখী আঘাত হানে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের অফিসের হাট ও গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের আমখোলা বাজার এলাকায়। দমকা বাতাস ও বজ্রসহ বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ে শত শত গাছ উপড় পড়ে। এ সময় গাছ উপড়ে ঘরের উপরে পড়লে অফিসের হাট এলাকায় ঘরচাপা পড়ে মারা যায় তানজিলা আক্তার লিজা (২২) নামে এক মহিলা। স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু প্যাদা জানান,তানজিলা ঘরে বসে কাঁথা সেলাই করছিল। ঝড়ে হঠাৎ বিশাল আকৃতির চাম্বল গাছ ভেঙ্গে ঘরের উপর পড়লে ঘরচাপা পরে লিজা। পরে স্থানীয়রা এসে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। অপরদিকে গলাচিপার আমখোলায় গাছচাপা পরে অপর এক নারী নিহত হয়েছে। নিহতের নাম সোনিয়া আক্তার (৩৫)। এছাড়া ঝড়ে গলাচিপা লঞ্চঘাট এলাকায় মানতা সম্প্রদায়ের এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। চরফ্যাশনে ব্যাপক ক্ষতি নিজস্ব সংবাদদাতা চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে জানান, চরফ্যাশনে কালবৈশাখী ঝড়ের তা-বে শতাধিক বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কয়েক শত গাছপালা। ইউপি চেয়ারম্যানদের বরাত দিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিছুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হঠাৎ করে কালবৈশাখী আঘাত হানে উপজেলার নীলকমল, মুজিব নগর, চরমানিকা ও আববকরপুর ইউনিয়নে। দমকা বাতাস ও বজ্রসহ বৃষ্টির সাথে ঝড়ের তা-বে শতাধিক কাঁচা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে গেছে কয়েক শত গাছপালা। বাগেরহাটে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট থেকে জানান, স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে ও রামপাল উপজেলার ওপর দিয়ে শনিবার বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়। কয়েক হাজার কলাগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে। গাছ পড়ে একাধিক স্থানে সড়ক যোগাযোগ ও বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে রয়েছে দোনা গ্রামের আলামীন ফকির (৪৫), কামাল ফকির (৪৮), হোগলাবুনিয়া গ্রামে নিপা আক্তার (১১) ও পুঁটিখালী গ্রামে আব্দুল মান্নান কাজীকে (৫৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দেড় শতাধিক ঘরবাড়িসহ বিধ্বস্ত হয়েছে কুহারদাহ আরএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বলইবুনিয়ায় আলহেরা কিন্ডারগার্টেন, লক্ষণেরহাট কাসেমিয়া কওমিয়া মাদ্রাসা, ঘষিয়াখালী তোরাব মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বেতকাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ কালিকাবাড়ি গ্রামে ইয়াসিন আলী খানের জামে মসজিদ।
×