ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি গুপ্ত হত্যা চালাচ্ছে ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১২ জুন ২০১৬

রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি গুপ্ত  হত্যা চালাচ্ছে ॥ তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ১১ জুন ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করে তিনি মূলত জঙ্গীদের সমর্থন দিচ্ছেন। যারাই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তাদেরই পক্ষ নিচ্ছেন। জঙ্গী নামে যারা ধরা পড়ছে তারা জামায়াত-শিবির। যারা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছিল ২০১৩ ও ১৪ সালেÑ তারা পরাজিত হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে তারা (বিএনপি) এখন গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, টার্গেট করে ধর্মযাজক, পুরোহিত, বিদেশীকে হত্যা করা হয়। যারা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের পক্ষ নিয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির এসপির স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। যত ঘটনা ঘটেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দক্ষতার সঙ্গে উদ্ঘাটন করছে। শনিবার বেলা ১১টায় ভোলা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভোলা জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ভোলা জেলা প্রশাসক মোঃ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা সভায় উপস্থিত থাকার পাশাপাশি বক্তব্য রাখেনÑ ভোলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু, ভোলা পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ ফরিদ আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর আওয়ামী লীগের সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলার পৌর মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে ভোলার আইনশৃঙ্খলা সব চাইতে ভাল। ভোলার মানুষ শান্তিতে আছে। ২০০১ সালের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে নির্যাতিত হয়েছিল, বাড়িঘরে হামলা, চোখ তুলে ফেলাসহ অনেক অত্যাচার নির্যাতন হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর আমরা সেই প্রতিশোধ প্রতিহিংসার রাজনীতিতে যাইনি। যার জন্য বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগেরও সংঘাত সংঘর্ষের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। ভোলাবাসী খুবই শান্তিতে রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ভোলায় সে ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভোলা জেলায় নদী ভাঙ্গন রোধে ১৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্ষা গেলেই ব্যাপক কাজ হবে। ভোলার ইলিশায় নদী ভাঙ্গন রোধে প্রতিদিন ১০ হাজার জিও ব্যাগ ভর্তি বালির বস্তা ফেলার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেন। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভোলায় মাদক একটি বড় সমস্যা । এজন্য তিনি ভোলার প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে যে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত পুলিশ প্রশাসন এবং সিভিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ধরনের কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। মন্ত্রী এ সময় ভোলার মদক দমনে ব্যর্থতার জন্য ডিবি পুলিশের ওসি মোবাশ্বির আলীকে তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন। এ সময় ভোলার বাসস্ট্যান্ডসহ শহরের বিভিন্ন স্পটে ইজিবাইক, আলফা, মাহেন্দ্র বা অটোরিক্সা থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী বলেন, ভোলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে চাঁদাবাজি হচ্ছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ডিসি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন।
×