ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১২ জুন ২০১৬

হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পরিবেশবান্ধব রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্কহার কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। হাইব্রিড গাড়ির বড় সুবিধা এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী। সিএনজি গ্যাসের ব্যবহার ছাড়াই কম জ্বালানিতে এটি চলতে পারে। এছাড়া বাতাসে কার্বন নিঃসরণ যাতে না ঘটে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে হাইব্রিড গাড়িতে। তাই নতুন হাইব্রিড গাড়ির ন্যায় রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতেও সম পরিমাণ সম্পূরক শুল্ক সুবিধা চান এ খাতের উদ্যোক্তারা। শনিবার বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স এ্যান্ড ডিলারস এ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে সম্পূরক শুল্কহার কমিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। বারভিডার সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ শরীফের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মাহবুবুল হক চৌধুরী বাবর। এছাড়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারভিডার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল হক, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও হাবিব উল্লাহ ডন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাইব্রিড প্রযুক্তির নতুন গাড়ি আমদানির সুবিধা গত আট বছর থেকেই বিদ্যমান রয়েছে। সর্বসাকল্যে এই সময়ে নতুন গাড়ি আমদানি হয়েছে মাত্র ৩ শতাধিক। কারণ রেয়াতি সুবিধা প্রাপ্তির পরও উচ্চমূল্য এবং হোম মডেলের না হওয়ার কারণে ক্রেতারা এসব গাড়ির প্রতি আকৃষ্ট হয়নি। এই বাস্তবতায় হাইব্রিড গাড়ি আমদানিকে আরও যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নতুন প্রজ্ঞাপন (এসআরও) জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, হাইব্রিড গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত সুবিধা রিকন্ডিশন্ড গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। পাশাপাশি নতুন হাইব্রিড গাড়ি আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও সেখানে সম্পূরক শুল্কের হার রাখা হয়েছে পেট্রোল চালিত গাড়ির অনুরূপ, যা বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় সম্পূর্ণ বিপরীত। এদিকে, ১৫০০ সিসি পর্যন্ত রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ এবং নতুন হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্র্য্য করা হয়েছে। ১৫০১ সিসি হতে ২০০০ সিসি পর্যন্ত রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ এবং নতুন হাইব্রিড গাড়ির জন্য ৬০ ভাগ, ২০০১ সিসি থেকে ২৭৫০ সিসি পর্যন্ত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির জন্য ২০০ ভাগ এবং নতুন হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫০ ভাগ, ২৭৫১ সিসি থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির জন্য ৩৫০ ভাগ এবং নতুন হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে ৩০০ ভাগ এবং ৪০০০ সিসির উর্ধে রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির জন্য ৫০০ ভাগ এবং নতুন হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে তা ৫০০ ভাগ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। আব্দুল হামিদ শরীফ বলেন, বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত হাইব্রিড গাড়িকে পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী বলে উল্লেখ করে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করলেও, সেই সুবিধা দেয়া হয়েছে শুধু নতুন হাইব্রিড গাড়ির ক্ষেত্রে। এর ফলে মাত্র ১ শতাংশ ক্রেতা এই সুবিধা পাবেন।
×