ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএসের ঘাঁটি সির্তে পুনরুদ্ধারের দাবি লিবীয় বাহিনীর

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১২ জুন ২০১৬

আইএসের ঘাঁটি সির্তে পুনরুদ্ধারের দাবি লিবীয় বাহিনীর

লিবিয়ার সির্তে নগরীতে শুক্রবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধের পর নগরীটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছে দেশটির ঐকমত্যের সরকারের অনুগত বাহিনী। ইরাক ও সিরিয়ার বাইরে সির্তে শহরটি আইএসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। খবর বিবিসি ও এএফপির। লিবিয়ার বিভক্ত হয়ে পড়া সরকার সম্প্রতি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ফের একত্রিত হতে সম্মত হয়। জাতীয় সমঝোতার এই সরকার বা গবর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল এ্যাকর্ড (জিএনএ) মার্চে রাজধানী ত্রিপোলিতে ফিরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করে। মিসরাতার যোদ্ধাদের নিয়ে গঠিত সরকারী বাহিনীর ব্রিগেডগুলো গত মাসে আইএসের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে। চলতি সপ্তাহে তারা সির্তের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে। ওয়াগাদৌগো সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে এ সংঘর্ষ হয়। লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক গাদ্দাফির আমলে একবার এ কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক সম্মেলন হয়েছিল। সিরিয়া ও ইরাকে যখন আইএস প্রচ- চাপে রয়েছে তখন গাদ্দাফির জন্মশহর সির্তের পতন হবে তাদের জন্য একটা বড় আঘাত। দিনের শুরুতে জিএনএ’র সঙ্গে মিত্রবাহিনী কমপ্লেক্সের চারপাশে আইএস অবস্থানের ওপর ভারি গোলাবর্ষণ শুরু করে। এছাড়া সম্মেলন কেন্দ্রের চারপাশে ও সির্তের অভ্যন্তরে অন্যান্য আইএস অবস্থানের ওপর বিমান হামলাও চালানো হয়েছে। লিবিয়া সরকার জানায়, শহরটিতে শুক্রবারের লড়াইয়ে ১১ জন ব্রিগেড সদস্য নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মিসরাতার একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক সাংবাদিক জানান, ওয়াগাদৌগো কেন্দ্র থেকে প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে রাস্তায় তীব্র লড়াই চলে। জিএনএ বাহিনী ট্যাঙ্ক, রকেট লাঞ্চার ও আর্টিলারি ব্যবহার করছে। অন্যদিকে জিহাদীরা মেশিনগান ও মর্টার দিয়ে এর জবাব দিচ্ছে। এছাড়া জিহাদীরা স্নাইপারও ব্যবহার করছে। লিবিয়ার রাজনৈতিক ও সশস্ত্র উপদলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আইএসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলাকেই সেরা উপায় বলে বিবেচনা করছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। এর মাধ্যমে উত্তর আফ্রিকার তেলসমৃদ্ধ দেশটিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাও দেখছে তারা। আফগানিস্তানে ভারতীয় ত্রাণকর্মী অপহরণ আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ভারতীয় একজন ত্রাণকর্মী অপহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত। অপহৃত ওই নারী ত্রাণকর্মীর নাম জুডিথ ডি’ সুজা (৪০) এবং তার বাড়ি কলকাতা। আন্তর্জাতিক সংস্থা আগা খান ফাউন্ডেশনের ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে নারী ও শিশু উন্নয়ন কর্মী জুডিথ। জুডিথকে কারা অপহরণ করেছে বা কোন মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। টুইটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানান, তিনি জুডিথের বোনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে সুষমা বলেন, তাকে (জুডিথ) উদ্ধারের সামান্যতম প্রচেষ্টাও আমরা ছাড়ব না। তিনি আপনার বোন এবং ভারতের কন্যা। তাদের উদ্ধারে আমরা সব কিছু করব। জুনে ভারতীয় দূতাবাস থেকে আফগানিস্তানে বসবাসরত এবং ভ্রমণরত ভারতীয়দের ওপর নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়। ২০১৪ সালের জুনে ভারতের রোমান ক্যাথলিক যাজক এ্যালেক্স প্রেম কুমারকে আফগান শহর হেরাত থেকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা অপহরণ করে। -ওয়েবসাইট
×