ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শত কোটি টাকার মার্কেট প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১১ জুন ২০১৬

শত কোটি টাকার মার্কেট প্রকল্প

সাজেদ রহমান, যশোর অফিস ॥ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারী উদ্যোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ হাউজিং এস্টেট যশোরে শত কোটি টাকার মার্কেট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যশোরের উপশহর খাজুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকার গোল মার্কেটটি ভেঙ্গে আগামী জুলাই মাস থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। প্রস্তাবিত দশতলা মার্কেটে সাড়ে ৪শ’ ঘর করা হবে। যেখানে সাড়ে ৪শ’ ব্যবসায়ী অত্যাধুনিক ভবনে সহজ শর্তে বরাদ্দ নিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন। তবে গোলমার্কেটে বর্তমানে যারা রয়েছেন তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। দশতলার এই বিশাল মার্কেটের পাঁচতলা পর্যন্ত থাকবে চলন্ত সিঁড়ি। যশোরের উপশহরে হাউজিং এস্টেটের মালিকানাধীন গোলমার্কেট কয়েক যুগ ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। এক সময় মাত্র ৭০ টাকা মাসিক ভাড়া ও কিছু অগ্রিম দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে ৭শ’ টাকা ভাড়া দিয়ে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে এই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা প্রথম থেকেই ব্যবসায়িক মন্দা মাথায় নিয়ে চলছিলেন। হাউজিং এস্টেটের মালিকানাধীন গোলমার্কেটের দোকানগুলো বাইরের যেকোন প্রাইভেট মার্কেটের কাছে ধরাশায়ী হয় আধুনিকতার অভাবে। এ কারণে হাউজিং রাজস্ব আয় বাড়াতে পারেনি। তেমনি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হতে পারেননি। এ পর্যায়ে চলতি বছরে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সরকার ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে গোলমার্কেটটি ভেঙ্গে সময় উপযোগী মার্কেট করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়। প্রস্তাবিত এই মার্কেট হবে দশতলা। প্রতি তলায় ৫০টি করে ঘর তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে মোট ৫শ’টি ঘর হওয়ার কথা। নিচতলা রাখা হচ্ছে গ্যারেজের জন্য। এ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৮৬ কোটি টাকা। নির্মাণসামগ্রী উচ্চমূল্যের কারণে বরাদ্দ শত কোটি টাকা হতে পারে। এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে মার্কেট প্রকল্প। প্রকল্পটি ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারের নন্দিত উদ্যোগ। আর এ উদ্যোগ ঢাকার বাইরে এই প্রথম বলে জানিয়েছেন হাউজিং কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঢাকার বসুন্ধরা সিটির আদলে মার্কেটটি করা হবে, যাতে পাঁচতলা পর্যন্ত থাকবে চলন্ত সিঁড়ি। আবেদন আহ্বান করে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ কাজ সম্পন্ন করা হবে। ১০ থেকে ১২ লাখ টাকায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করার সুযোগ পাবেন যশোরাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। ঢাকায় এ মার্কেটের চূড়ান্ত নক্সা ও প্রস্তাবনা পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দ্বীপক কুমার সরকার। তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি বড় ধরনের সরকারী উদ্যোগ। আর দেশের মধ্যে এ উদ্যোগ এই প্রথম। বসুন্ধরা সিটির আদলে যে মার্কেট হবে সেখানে থাকবে অত্যাধুনিক নানা সুবিধা। আগামী জুন মাসে এ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র যশোরে চলে আসবে। আর জুলাই থেকে কাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে গোলমার্কেটের দোকানিদের জায়গা খালি করার জন্য নোটিস দেয়া হয়েছে। অনেকে ঘর ছেড়েও দিয়েছেন।
×