জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ বিচার বিভাগ পৃথক হলেও গাইবান্ধায় নির্মাণ হয়নি ম্যাজিস্ট্রেসি ভবন। যার ফলে এক কক্ষে দু’বেলা দু’জন বিচারককে বিচারিক কাজকর্ম চালাতে হচ্ছে। অন্যদিকে জজ আদালতের একমাত্র ভবনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় দুর্ভোগ আর ভোগান্তির শেষ নেই বিচার প্রার্থীদের। ম্যাজিস্ট্রেসি ভবন না হওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করলেন জেলা বারের কর্মকর্তারা।
গাদাগাদি করে আদালতের সরু বারান্দায় কেউ বসে আছেন। কেউ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। ডাক পড়লেই হাতজোড় করে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বিচার প্রার্থনা করবেন তারা। বসাতো দূরের কথা দাঁড়ানোরও জায়গা নেই। প্রচ- গরম আর অতিরিক্ত মানুষের চাপে বিচার প্রার্থী এসব সাধারণ মানুষের অবস্থা একেবারে নাজেহাল। একই পরিস্থিতির শিকার হতে হয় আইনজীবীসহ বিচারিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও।
গাইবান্ধা জেলা বার এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এ্যাডভোকেট ফারুক আহমেদ প্রিন্স এবং গাইবান্ধা জেলা বার এ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আহছানুল করিম লাছু বলেন, ‘প্রশাসনের উদাসীনতার কারণেই গাইবান্ধায় ম্যাজিস্ট্রেসি ভবন নির্মাণ হচ্ছে না।’ তবে এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। জেলা জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট মিলে ২২টি আদালতে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ বিচারের জন্য আসেন।