ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অনেক আগেই আফ্রিদির অবসর নেয়া উচিত ছিল ॥ ইউসুফ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ১১ জুন ২০১৬

অনেক আগেই আফ্রিদির অবসর নেয়া উচিত  ছিল ॥ ইউসুফ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই ২০ বছর পার করে ফেলেছেন শহীদ আফ্রিদি। তার সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন শুধু ইউনুস খান। বাকি সবাই অবসরে চলে গেছেন। ৩৬ বছর বয়সী আফ্রিদিও ইতোমধ্যে টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন। কিন্তু টি২০ ফরমেট থেকে এখন পর্যন্ত সরে দাঁড়াননি তিনি বরং এবার ভারতের মাটিতে হওয়া টি২০ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেয়া আফ্রিদি বরখাস্ত হওয়ার পরও প্রত্যয় জানিয়েছেন ফিরে আসার। কিন্তু তার সাবেক সতীর্থ ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইউসুফ আফ্রিদির এসব কার্যকলাপ মানতে পারছেন না। তিনি দাবি করেছেন অনেক আগেই আফ্রিদির উচিত ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার। সম্প্রতিই এক সাক্ষাতকারে ইউসুফ পাকিস্তান দলের আসন্ন ইংল্যান্ড সফর ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলার সময় আফ্রিদির বিষয়ে এ দাবি করেন। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেই অবসরে যান আফ্রিদি। তবে টি২০ ফরমেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার তার নেতৃত্বে পাকরা ভারতের মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপেও অংশ নেয়। ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ভক্ত-সমর্থকরা ভেবেছিলেন টি২০ বিশ্বকাপ শেষে এবার এ ফরমেট থেকেও অবসর নেবেন আফ্রিদি। তবে কখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানাননি এ অলরাউন্ডার। পাকিস্তান দল এবার টি২০ বিশ্বকাপে মাত্র একটি জয় পায় এবং গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। এরপরই আফ্রিদিকে বরখাস্ত করা হয়। তবে অবসর নয় বরং আবার দলে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন আফ্রিদি। তবে তার সাবেক সতীর্থ ইউসুফ বিষয়টিকে ভালভাবে দেখছেন না। ২০১০ সালের নবেম্বরে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইউসুফ। তিনি আফ্রিদির বিষয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আফ্রিদির ক্রিকেটে সেরা বছরগুলো অনেক অনেক পেছনে পড়ে গেছে। সে কারণে তার অনেক আগেই অবসর নেয়া উচিত ছিল। তিনি সহায়ক কোন তরুণ হয়ে উঠবেন না এবং তার বয়স কমছে না। আমি তার খেলা চালিয়ে যাওয়ার মধ্যে কোন যুক্তি খুঁজে পাই না। কারণ তার নৈপুণ্য অন্যতম সেরাগুলোর মধ্যে নেই। অবশ্যই তার এখন সব ছেড়ে দেয়া উচিত।’ তবে ইউসুফ মনে করেন সবকিছুই এখন নির্বাচকদের ওপর নির্ভর করছে। এ বিষয়ে ইউসুফ বলেন, ‘বিষয়টা সম্পূর্ণই নির্ভর করছে নির্বাচক ও বোর্ডের ওপর। তারা যদি একজন বয়স্ক খেলোয়াড় দিয়ে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চায় সেক্ষেত্রে আমার বলার কী থাকতে পারে। কিন্তু আমি কখনও আফ্রিদির মধ্যে সরে দাঁড়ানোর কোন লক্ষণ দেখি না। তার জায়গায় আরেকজন তরুণ খেলতে পারলে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবে। সেই চিন্তাটাও আফ্রিদির মধ্যে দেখি না। এবার ইনজামাম-উল-হকের নির্বাচক প্যানেল ইংল্যান্ড সফরে টি২০ দল থেকে আফ্রিদিকে বাদ রেখেছেন। এর অর্থ ইনজামাম চাইছেন পাক দলের ভবিষ্যত গড়তে।’
×