ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে টিসিবি পণ্যের ক্রেতা নেই

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১১ জুন ২০১৬

রাজশাহীতে টিসিবি  পণ্যের ক্রেতা নেই

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে ডিলার পর্যায়ে এখনও পৌঁছেনি টিসিবির পণ্য। সীমিত আকারে শুধু নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। ফলে কাক্সিক্ষত ক্রেতা না থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনও প্রভাব ফেলতে পারেনি এ সংস্থা। উল্টো রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে চিনি, চোলা ও ডালসহ নিত্য পণ্যের দাম। গত সপ্তাহের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ২ থেকে ৪টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রকম ভেদে ডালে বেড়েছে ৫ টাকা থেকে ১০টাকা। আর রমজানের শুরুতেই রাজশাহীতে নিত্যপণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রমজানের শুরুর পর নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে দিগুণ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারও রোজা টার্গেট করে আগেই মজুদ গড়ে তুলেছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। আর তাদের কারসাজিতেই হু-হু করে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির পণ্য নামানো হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিক্রিও হচ্ছে সীমিত পরিসরে। এরই মধ্যে নগরীর পাঁচটি এবং বিভাগের প্রতিটি জেলা সদরে ট্রাকে টিসিবি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে প্রতিদিন ৩’শ কেজি চিনি, ৪’শ কেজি ছোলা, ২’শ কেজি মুসুর ডাল ও ২’শ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, নওদাপাড়া, উপশহর নিউ মার্কেট, লক্ষ্মীপুর মোড় এবং বিনোদপুর পয়েন্টে টিসিবির পণ্য নিয়ে দাঁড়াচ্ছে ট্রাকগুলো। ক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় টিসিবির পণ্য পাওয়া যাচ্ছে সীমিত। বিক্রিও হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পয়েন্টে। ফলে অধিকাংশই ক্রেতা বাধ্য হয়ে বাজারে গিয়ে এসব পণ্য কিনছেন। এতে বাজার নিয়ন্ত্রণের সরকারী উদ্যোগ কাজে আসছে না। জানা গেছে, টিসিবির তালিকাভুক্ত ডিলার রয়েছেন রাজশাহী বিভাগে ৪১৪ জন। এরমধ্যে রাজশাহী জেলায় ৩০ জন এবং রাজশাহী নগরীতে ৮০ জন। বাকিরা বিভাগের অন্য সাত জেলায়। এদের মধ্যে অনেকে এখনও বরাদ্দ পাননি। তবে বরাদ্দ খুব শীধ্রই মিলবে বলে জানিয়েছেন টিসিবির রাজশাহীর আঞ্চলিক অফিস প্রধান আনিসুর রহমান।
×