কুয়াকাটায় সংগঠিত জামায়াত ॥ জঙ্গী তৎপরতার শঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১০ জুন ॥ কুয়াকাটা জোনের জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক এমবি কলেজ শিক্ষক আব্দুল খালেক ফারুকী গ্রেফতারের প্রায় এক মাস পরও তাদের নারী সংগঠকসহ অন্যান্য সহযোগীদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এদের সঙ্গে কোন জঙ্গী সংগঠনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। ১৪ মে কুয়াকাটার আজিমপুর গ্রামে জামায়াত নেতা মাওলানা নুরুল ইসলামের বাড়িতে বৈঠক চলাকালে এ দুই জন গ্রেফতার হয়। এরা এখন জেল হাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই মনিরুজ্জামান একটি মামলা করেছেন। চার নারীসহ ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে ২৪ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করা হয়েছে। কুয়াকাটা-কলাপাড়া এলাকায় এদের এখন অসংখ্য নারী কর্মী রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরা নীরবে শিক্ষকতার পাশাপাশি দলীয় কার্যক্রমসহ সরকার বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ ওই সভায় অভিযানকালে রশিদ বই, রেজিস্টার খাতাসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করেছে। ঘাপটি মেরে এরা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে শিক্ষকতা পর্যন্ত করে আসছে। মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজের যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক মিসেস জোবায়দা একজন জামায়াতের সক্রিয় নেতা। তিনিও ১৪ মে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। শিক্ষক জোবায়দা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির যুদ্ধাপরাধী মামলার রায়ের সময়ে তাকে চাঁদে দেখা গেছে এমন গুজব রটিয়েছেন। কলেজের অধ্যক্ষ কালিম মাহমুদ বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এটি ওই কলেজের শিক্ষকরা অকপটে এখন বলে বেড়ান। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, কুয়াকাটা জোনের সেক্রেটারি মাওলানা হাবিবুর রহমান এদের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। লিফলেট বিলি করা। কোথায়-কখন জমায়েত হতে হবে। পরবর্তী করণীয় সব ঠিক করেন মাওলানা হাবিব। মূলত কুয়াকাটা এলাকায় জামায়াতকে সংগঠিত করাই এর মূল কাজ। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছেন। তবে এ বৈঠকে পুলিশে হানার পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে কুয়াকাটা-কলাপাড়ায় জামায়াত তাদের নারী-পুরুষ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সংগঠিত হচ্ছে।