ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়া হকার্স মার্কেটে ঈদের আগাম কেনাকাটা শুরু

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১১ জুন ২০১৬

বগুড়া হকার্স মার্কেটে  ঈদের আগাম কেনাকাটা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ ঈদের ভিড় ও চড়া দাম এড়াতে বগুড়ায় মধ্যবিত্তের ঈদের কেনাকাটার পালা শুরু হয়েছে। রমজানের শুরুতে হকার্স মার্কেটে ভিড় বেড়েছে। শহরের আধুনিক ঝলমলে মার্কেটে যে ধরনের থ্রি-পিস, টু-পিস হাল ফ্যাশনের পোশাক বিক্রি হয় হকার্স মার্কেটেও তা আছে। লোকমুখে বলাবলি হয় এই মার্কেট থেকেই কখনও বাহারি ডিজাইনের কাপড় কিনে শোরুমগুলোতে উন্নত পলিথিনের প্যাকে সাজিয়ে রাখা হয়। ব্রান্ডের শোরুম (যেমন- স্পার্ক গিয়ার, ক্যাটস আই, মার্চেন্ট, ডায়মন্ড, কাশবন ইত্যাদি) ছাড়া অন্যান্য মার্কেটে যেসব ডিজাইনের পোশাক মেলে হকার্স মার্কেটেও প্রায় একই রকমের পোশাক পাওয়া যায়। মার্কেট ভেদে দামের পার্থক্য অনেক। হকার্স মার্কেটে কাপড় কিনতে আসা কয়েকজন বললেন, মাসের শুরুর দিকে যে বেতন মিলেছে তাই দিয়ে প্রাথমিক কেনাকাটা হচ্ছে। একজন গৃহবধূ বললেন, ‘ঈদের কেনাকাটার কী শেষ আছে ভাই! ড্রেস মিললে রং মেলে না। রং মিললে নক্সা মেলে না, পছন্দ না হলে মুখ বেজার। আরও কত কী! আজ এ মার্কেট কাল ও মার্কেট এভাবেই চলে ঈদের আগ পর্যন্ত।’ এক গৃহকর্তা বললেন, ‘ভাইরে পরিবার সঙ্গে নিয়ে মার্কেটে এসে দেখুন কত ধানে কত চাল। পছন্দমাফিক পোশাকের জন্য কত ঘুরতে হয়।’ বগুড়া শহরের স্টেশন রোডের ধারে ভেতরে উত্তর দিকে প্রায় ঘিঞ্জির মতো গড়ে উঠেছে দোকানপাট। এক ধারে পুরনো কাপড় আরেক ধারে রেডিমেড গার্মেন্ট। পুরনো কাপড় বলতে সেকেন্ড হ্যান্ড কাপড় এখন নেই বললেই চলে। ঢাকার গার্মেন্ট থেকে রফতানিযোগ্য যেসব কাপড় বিদেশী ক্রেতারা (বায়ার) কোন কারণে রিজেক্ট করে দেয় সেই কাপড় গাইটে ভরে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন মার্কেটে। ওই পোশাক হকার্স মার্কেটেও আসে। বগুড়া হকার্স মার্কেট এসব কাপড়ের পাইকারি বাজারে পরিণত হয়েছে। নিউমার্কেটসহ অন্যান্য মার্কেটে যে ফ্যাশনের কাপড় মেলে হকার্স মার্কেটের কোন দোকানে অর্ডার করলে তা দুই/তিন দিনের মধ্যে এনে দেয়।
×