তোমাকে দেখেছি-
শরীর ঢাকার আচ্ছাদনেÑবহিরঙ্গে
পরিপাট্য সাজে!
সুতা পাট রেশম কৃত্রিম আঁশ ও পশমে
পরিধেয় তোমার কাপড়!
বহুদর্শী তুমিÑদূরবর্তী থেকে জানি
মহামূল্য রতœ নিয়ে সাজানো ঘরের আলমারি
এসব দেখেছি আর অবাক হয়েছিÑ
তার পর দেখেছি কাছে গিয়ে
মস্তিষ্ক রয়েছেÑহৃদয়টা নেই!
মূর্তমূর্তিতে তোমার অন্য মূর্তি
ঘরের ভেতর!
হাত ধরে যখন চড়ুই পাখির গান শুনি
তোমার কর্কশ স্বর! জ্বর আনে। গানেÑ
নেই পক্ষপাত! রাত কাটানো যায় কি?
চূড়াবিশিষ্ট অনেক জায়গায় অগ্নিমুখ!
বহুবর্ণ কেন বর্ণহীন হয়ে ওঠে
নন্দনকাননে!
যোদ্ধা
বীরেন মুখার্জী
সন্ন্যাসীর বেশে যারা নেমে যায়
ধীর পদক্ষেপে, পাখিদের আহ্বান তাদের জন্যই;
তাদের জন্যই চিরদিন ভালোবাসা নামে
মায়ের আঁচল ছুঁয়ে ফোটায় ফোটায়;
বাঙলার মেঠোপথ থেকে শক্তি নিয়ে
ওরা হয়ে উঠেছে দামাল,
ঘাসের বারান্দা আর ধূলিস্নিগ্ধ বিকেলের ওম,
ওদের আশ্রয় দিয়ে ধন্য হয়;
ওরা অকুতোভয়, বার বার উঠে আসে তাই
জলাভূমির থেকে, সংশয়-সংকটে বাঙলার;
শাটল ট্রেনের ক্ষিপ্র গতি, তারা নিরুদ্বেগ, যোদ্ধা।
চন্দ্রাবতীর দৃশ্য
হাসান হাবিব
চন্দ্রাবতীর দৃশ্যে দেখব, আমার যে ঘরবাড়িÑ
অনল অদৃশ্যে প্রেম পারা, সুলোচনে
আমার অহংকার।
চন্দ্রাবতী নাইÑ দেবীর কড়ি আমার প্রেমে মজে
কতরাত দূর থেকে ভেসে
অনেক অনেক প্রেমপাঠ, ঘর নাই
আমার বসতি প্রেমে...
উজান আদিকাল ডেকে যাও নদী
এই সুতনলি জীবনের, মন ও মনের
মন্ত্রপাঠ শিখি প্রেমের অনলে।
শীর্ষ সংবাদ: