ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এখনও পরিবেশ ছাড়পত্র পায়নি রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১০ জুন ২০১৬

 এখনও পরিবেশ  ছাড়পত্র পায়নি রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র

সংসদ রিপোর্টার ॥ রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকে এখনও কোন পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়নি বলে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন। তিনি জানান, যথোপযুক্ত শর্তারোপ করে এ প্রকল্পের অনুকূলে ইআইএ (পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা) প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ইআইএ প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। মন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। বরং রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হলে স্থানীয় জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সুন্দরবনের উপর স্থানীয় মানুষের নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে। তিনি জানান, বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ সুন্দরবনের নিকটস্থ এলাকায় হওয়ায় এই প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এ্যাসেসমেন্ট-(ইআইএ) প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, এই বিদ্যুত কেন্দ্রটি সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির হবে এবং প্রস্তাবিত বিদ্যুত কেন্দ্রের কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড অপারেশন ফেস-এ সুন্দরনের উপর যেন কোন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্য আলোচ্য প্রকল্পের ৫৯টি শর্ত আরোপ করে ইআইএ প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়। তাই ইআইএ প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত মিটিগেশন মেজার্স যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জেলেরাই সুন্দরবনে আগুন লাগিয়েছে ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সুন্দরবনে চার দফা অগ্নিকা-ে পরিবেশসহ লতাগুল্মের ক্ষতি হয়েছে। চার দফার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ভবিষ্যতে এ ধরনের ক্ষতি যাতে না হয় তার জন্য নানাবিধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, বর্ষা মৌসুমে মাছ ধরার এলাকা নির্বিঘœ করতে স্থানীয় জেলে ও দুষ্কৃতকারীরা সুন্দরবনে অবৈধভাবে আগুন লাগিয়েছিল। সম্প্রতি তদন্ত রিপোর্টে এ বিষয়টিই উঠে এসেছে। তিনি জানান, সুন্দরবনে যারা আগুন লাগার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দুই জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া কর্তব্যে অবহেলার জন্য ৪ জন বন কর্মীকে সাময়িক কর্মচ্যুত করা হয়েছে। শান্তি মিশনে চার বাহিনীর ৭ হাজার কর্মরত ॥ জতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে চার বাহিনীর ৭ হাজার ১২৯ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন বলে সংসদে জানিয়েছেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী জানান, মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত জতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মোট ৭ হাজার ১২৯ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন। তার মধ্যে সেনাবাহিনী ৪ হাজার ৯২৬, নৌ-বাহিনী থেকে ৫২৪, বিমানবাহিনী থেকে ৬৩৯ এবং পুলিশ বাহিনী থেকে ১ হাজার ৪০ জন সদস্য কর্মরত রয়েছেন। মিশন ভিত্তিক বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। মন্ত্রী আরও জানান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক কতজন কর্মরত রয়েছেন তার পরিসংখ্যান সংরক্ষণ করা হয় না। ফলে উক্ত পরিসংখ্যান জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
×