ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মিতু হত্যায় আটক আরও ৪ ॥ শিবির নেতার রিমান্ড শুনানি রবিবার

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১০ জুন ২০১৬

মিতু হত্যায় আটক আরও ৪ ॥ শিবির নেতার রিমান্ড শুনানি রবিবার

মোয়াজ্জেমুল হক/মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার নেপথ্য রহস্য নিয়ে তদন্ত সংস্থা এখনও সম্পূর্ণ ঘোর অন্ধকারে। জঙ্গীগোষ্ঠী বা জামায়াত-শিবিরসহ অন্যান্য সরকারবিরোধী উগ্রপন্থীদের পক্ষে এ হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সুস্পষ্ট কোন ধারণাই বুধবার পর্যন্ত মেলেনি। ঘটনার পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটর-সাইকেল চালকসহ একটি মাইক্রোবাস আটক, সাবেক এক শিবির কর্মী আবু নসর ও সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর মেহেদীবাগ এলাকা থেকে আমিন নামের এক যুবকসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত যাদের আটক ও গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কাছ থেকেও কোন ক্লু উদ্ঘাটন করা যায়নি। মিতু হত্যাকা-ের তদন্ত নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জোরালো বক্তব্য দেয়া হলেও সে অনুযায়ী তৎপরতা নেই। এছাড়াও রহস্য উদ্ঘাটনে চৌকস কর্মকর্তারও ঘাটতি রয়েছে সিএমপিতে। উর্ধতন কর্মকর্তাদের অনেকেই যেমন সিএমপিতে নতুন, তেমনি তদন্ত পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরও বড় একটি অংশ নতুন। অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতিও রয়েছে অনেকের। মিতু হত্যাকা-ের পর হাটহাজারী থেকে শিবিরের সাবেক নেতা আবু নসর গুন্নুকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাকিম আবদুল কাদেরের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত আবেদনের ওপর কোন শুনানি না করে আগামী রবিবার দিন ধার্য করেছে। চাঞ্চল্যকর এমন একটি হত্যাকা-ের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড মঞ্জুর না হওয়াতে তদন্ত সংস্থা সদস্যরা আশাহত হয়েছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ওপর মহলকে অবহিত করা হয়েছে। কেননা চট্টগ্রাম আদালতে কর্মরত বিচারিক কর্মকর্তাদের কারও কারও ব্যাপারে নানা ধরনের অভিযোগ আগে থেকেই চাউর আছে। প্রসঙ্গত, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকা- নিয়ে মূল তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ এবং তদন্ত কর্মকর্তা হলেন ইন্সপেক্টর কাজী রবিক উদ্দিন। পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে তদন্ত সংস্থাকে সহায়তা করছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স), সিপিআই (কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট), র‌্যাব ও সিআইডি। এসব তদন্ত সংস্থার মধ্যে এ পর্যন্ত যতটুকু অর্জন তা পিবিআইয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে বাদুড়তলা এলাকার বড় গ্যারেজের পাশে। এলাকার নাইট গার্ডের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তা উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ মোটরসাইকেল চোরাই এবং তিন দফা হাতবদল হয়েছে। তিনজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপরদিকে ঘটনার সময় ঘটনাস্থলের অদূরে ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে কালো রঙের লেটেস্ট মডেলের যে মাইক্রোবাসটি অপেক্ষমাণ ছিল সেটির মালিক চালক নিজেই। তার নাম জানে আলম। তার বাড়ি সীতাকু-ের ভাটিয়ারির সিলিমপুরে। সে মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রামে একটি বৃহৎ শিল্পগ্রুপের স্টাফ পরিবহনের কাজে ভাড়ায় চালায় বলে পুলিশকে জানিয়েছে। ঘটনার দিন সকালে স্টাফ পরিবহনের কাজে বের হয়ে ঘটনাস্থলের রুট দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের হাতে হত্যাকা-ের ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে সে অপেক্ষমাণ ছিল। হত্যাকা- সম্পন্ন করে কিলিং স্কোয়াডের সদস্যরা চলে যাওয়ার পর সেও একই রুট দিয়ে তাদের পেছন হয়ে নিজ কাজে চলে যায়। কিন্তু পুলিশের ধারণা এই মাইক্রোবাসটি নিয়ে চালক হত্যাকারীদের ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে থাকতে পারে। যে বৃহৎ শিল্পগ্রুপের স্টাফ পরিবহনের ভাড়ায় সে গাড়িটি চালায় সে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটন করে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, হত্যাকা- চলাকালে সিসি ফুটেজে যে কালো রঙের মাইক্রোবাসটি দেখা গেছে এটিই সে মাইক্রোবাস বলে মালিক ও চালক জানে আলম নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে হত্যাকা- বা হত্যাকারীদের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। এদিকে হাটহাজারী থেকে গ্রেফতারকৃত সন্দেহজনক সাবেক শিবির নেতা আবু নসর গুন্নুর ব্যাপারে তার পরিবারের সদস্যরা বলেছে সে কখনও শিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল না। অপরদিকে মহানগর ও উত্তর জেলা শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে আবু নসর ইসলামী ছাত্রসেনা কর্মী। চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা ইসলামী ছাত্রসেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি শিবিরের প্রোপাগান্ডা। স্বাধীনতাবিরোধী দেশদ্রোহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির উদ্দেশ্যমূলকভাবে আবু নসর গুন্নুকে ছাত্রসেনা কর্মী বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা অসুস্থ ও বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয় বহন করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নগরীর মেহেদীবাগ এলাকা থেকে আমিন নামে যে এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে তা ঢাকার গোয়েন্দা সূত্রের নির্দেশেই হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ বলছে, আমিনের এ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে ঢাকায়। তবে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা। এদিকে পুলিশ জানায়, হত্যাকা-স্থলে ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে মাইক্রোবাসটির অবস্থান সিসিটিভি ফুটেজে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মাইক্রোবাস চালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মূলত এই মাইক্রোবাসটির চালক এখন ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী। যদিও এ হত্যাকা- চলাকালে অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। সাক্ষ্য দিতে কেউ এগিয়ে আসছে না। মাইক্রোবাস চালক জানে আলম খুব কাছ থেকেই হত্যাকা- ও দুর্বৃত্তদের দেখেছে বলে পুলিশের কাছে ইতোমধ্যে স্বীকার করেছে। ফলে পুলিশ তার মাধ্যমে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, গত বুধবার সকালে হাটহাজারীর পশ্চিম ফরহাদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সাবেক শিবির নেতা আবু নসর গুন্নুকে। তবে মুসাবিয়া দরবার শরীফের দুটি পক্ষ নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকায় আবু নসরকে কৌশলে হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িয়ে ফেলার অপচেষ্টা চলছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এ অভিযোগের তীর খোদ পুলিশের দিকে। এসব ঘটনা নিয়ে আবু নসরের পরিবার বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ভিডিও ফুটেজ থেকে দুর্বৃত্তদের মোটরসাইকেলের পেছনে যে কালো মাইক্রোবাসটি (চট্ট মেট্রো-চ-১১-৬১১৯) যাচ্ছিল পুলিশের মতে সেটি ছিল ব্যাকআপ ফোর্স। কিলিং স্কোয়াডের সদস্যরা কোন কারণে সমস্যার সম্মুখীন হলে ওই মাইক্রোর সহায়তা নিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যেতÑ এমন ধারণা রয়েছে পুলিশ মহলে। এ কারণেই জিইসি মোড় অর্থাৎ ঘটনাস্থল থেকে তিন দুর্বৃত্তের মোটরসাইকেলের পেছনে চলছিল মাইক্রোবাসটি। পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মাইক্রোচালকের অবস্থান ও হত্যাকা-ের সময় নিশ্চিত করে ভাটিয়ারীর সিলিমপুর এলাকা থেকে চালকসহ মাইক্রোবাসটি আটক করে। বুধবার বেলা এগারোটার দিকে মাইক্রোবাসটি চালকসহ সিএমপিতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর মাইক্রোসহ চালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে সিএমপির সভাকক্ষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য। তিনি সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকালে হাটহাজারীর পশ্চিম ফরহাদাবাদ এলাকার একটি মাজারের কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় সাবেক শিবির নেতা আবু নসর গুন্নুকে। তার কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে। আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। কিন্তু আদালত আগামী রবিবার শুনানির দিন ধার্য করেছে। হত্যাকা-ের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও ক্লু উদ্ঘাটনে সাফল্য না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কর্মকর্তা দেবদাস বলেন, পুলিশ, সিআইডি, ডিবি, পিবিআই, র‌্যাব ও সিটিইউ কাজ করছে। উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন এমনকি জামায়াত-শিবির এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে গুন্নু শিবিরের সাবেক নেতা। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকলেও গত ছয় বছর ধরে সে দেশেই রয়েছে। তার কাছ থেকে বেশকিছু তথ্যও পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী তদন্ত এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রতিটি তথ্য-উপাত্তকে কাজে লাগাচ্ছে। পুলিশের আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার মুসাবিয়া দরবার শরীফের সঙ্গে আবু নসর গুন্নুর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কারণ ওই দরবার শরীফের উন্নয়নে গুন্নুর বেশকিছু অবদান রয়েছে। তবে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে গুন্নু জড়িত ছিল দীর্ঘ সময়। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে যে তিন আরোহী ছিল এর মধ্যে গুন্নু ছিল কিনাÑ এমন প্রশ্নে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওই তিনজনের মধ্যে গুন্নু না থাকলেও সহযোগী হিসেবে কাজ করার বিষয়টি পুলিশের কাছে তথ্য এসেছে। এছাড়াও সীতাকু- থানার একটি অপহরণ মামলার আসামি হিসেবে গুন্নুর বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়েছে সিআইডি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী হত্যাকা-ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হিসেবে শহিদ উল্লাহ বাবুর্চিকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে গত মাসের ৮ তারিখে এই মোটরসাইকেলটি (চট্ট মেট্রো-ল-১২-৯৮০৭) চুরি হয়েছিল শহিদ উল্লাহর বাড়ি থেকে। এ ব্যাপারে সে বাদী হয়ে একটি জিডিও করে বোয়ালখালী থানায়। পুলিশের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, মূলত মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার থাকাকালীন বাবুল আক্তার জঙ্গীবিরোধী অভিযানে সক্রিয় ছিলেন। মূলত বাবুল আক্তারকে নিষ্ক্রিয় করতে তাকে টার্গেটে না পেয়ে পরিবারের ওপর আঘাত হানা হয়েছে। বাবুল আক্তারকে নিস্ক্রিয় করতে পারলে জঙ্গীরা উৎসাহী হবে এমন ধারণা ছিল তাদের। কিন্তু এ ঘটনার পর দেশজুড়ে পুলিশ জঙ্গীবিরোধী অভিযান পরিচালনা শুরু করায় তারা এখন আরও বেকায়দায় পড়েছে। এদিকে বাবুল আক্তারের স্ত্রী গত রবিবার নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় একঘণ্টা পূর্বে অর্থাৎ সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘর থেকে বের হওয়া এবং এ বিষয়ে বাবুল আক্তারের রানার কনস্টেবল সাদ্দামকে অবগত না করার পেছনে কোন কারণ রয়েছে কিনা, তাও উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। জিইসি মোড়ে স্কুলবাসে পুত্র মাহিরকে তুলে দেয়ার কথা ছিল সকাল সাতটায়। অপরদিকে মিতুর ব্যবহৃত মোবাইলটি এখনও না পাওয়ায় অনেক তথ্যই অনুদ্ঘাটিত রয়েছে। তবে হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় মিতুর মোবাইলটিও নিয়ে গেছে বলে পুলিশের ধারণা। কারণ মোবাইলের সর্বশেষ কললিস্ট অনুযায়ী শেষ কলটি হয়েছিল বাদুড়তলা থেকে। ফলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে মোবাইলটি এখনও দুর্বৃত্তদের হাতে রয়েছে। এ ব্যাপারে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্যও সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেছেন, মোবাইলটি মিসিং হওয়ার কারণে অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তবে মোবাইলটিতে শেষ কলটি হয়েছিল বাদুড়তলা এলাকায়- যেখান থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়েছে। বাবুল আক্তারের স্ত্রীর মোবাইলে স্কুলের বিষয়ে কোন ধরনের এসএমএস ছিল না। এমনকি স্কুল কর্তৃপক্ষও এ ধরনের কোন এসএমএস দেয়নি। তবে সম্ভাব্য দিক বিবেচনায় নিয়ে মামলার তদন্ত ও অপরাধীদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
×