ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী বৃষ্টি আতঙ্কে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১০ জুন ২০১৬

ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পবাসী বৃষ্টি আতঙ্কে

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ ভূমিহীন দরিদ্র মানুষদের মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য সরকার নির্মাণ করেছে বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত শেডগুলো সংস্কার না করায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । টিনশেডের চালা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের নিবাসীরা রয়েছেন বৃষ্টি আতঙ্কে। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভেতরে পানি গড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টি শুরু হলে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরানোর কাজে। অনেকে আবার ব্যস্ত ঘরের চালায় পলিথিন ঢেকে ছিদ্রের মুখ বন্ধ করতে। প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মিত ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের টিনশেড ঘরের এখন বেহাল দশা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০০ সালে সদর ইউনিয়নের মাহানপাড়া গ্রামে ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। টিনের ঘর, টিনের বেড়া দিয়ে ঘর তৈরি করে এখানে ৫০টি ভূমিহীন দরিদ্র পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়। একই ঘরে থাকা ও রান্নার কাজ করায় ১০ বছরের মাথায় চালার টিন ছিদ্র হয়ে যায়। নিবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে ছোটখাটো ছিদ্র বন্ধ করে ওই ঘরেই বসবাস করতে থাকে। কিন্তুসম্প্রতি ভারি শিলাবৃষ্টিতে আরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। বর্তমানে গোটা আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এর আগে ২০১১ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ণ প্রকল্প সংস্কার, নিরাপদ পানি সরবরাহ, পয়ঃ নিষ্কাশন ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীয় দফতরে চিঠি পাঠান। এরপর আর কোন বরাদ্দ মেলেনি। এ ব্যাপারে কথা বললে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নিবাসী আবু তাহের বলেন, আমরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। গত ৫/৬ বছর থেকে বর্ষা এলে আমরা ঘরে থাকতে পারি না। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে রাত কাটাতে হয়। ঘর মেরামতের জন্য উপজেলা অফিসে বার বার ধর্ণা দেয়া হলেও তারা কোন উদ্যোগ নেননি। আমাদের শেডগুলো এখন থাকার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা এখানে যারা নিবাসী আছি সবাই খেটেখাওয়া মানুষ। সারা দিনের আয় দিয়ে কোনমতে সংসারের খরচ চালাই। ঘর মেরামতের টাকা কোথায় পাব। পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা মুনতাজেরী দীনার সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, ডুডুমারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের শেড মেরামতের জন্য চিঠি দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যোগাযোগ করে কিভাবে এগুলোর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া যায় সে চেষ্টাই আমরা করব।
×