স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রতিটি শিশু জন্মের পর তার জন্ম তথ্য নিবন্ধন একটি মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের পক্ষ হতে এ তথ্য নিবন্ধন করতে হবে। কারণ একজন ব্যক্তির পরিচয় ব্যক্ত হয় জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে।
মন্ত্রী বুধবার বিদ্যুত ভবনে ‘শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বৃদ্ধি এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধকল্পে জন্ম সনদের ব্যবহার’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০১৬-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম, ইউনিসেফের বাংলাদেশর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ এডুয়ার্ড বিগবেডার এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের পরিচালক মুজিবুর রহমান এনডিসি।
মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিজীবনে জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান আইন ও বিধিমালার আওতায় রাষ্ট্রের দেয়া গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন ও চারটি সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মৃত্যু নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪’ অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন শতকরা ১০০ ভাগ করার কথা। সার্বিক জন্ম নিবন্ধনের হার শতকরা ৮৭ ভাগ হলেও জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধনের হার বর্তমানে শতকরা ৩ ভাগের নিচে, যা মোটেও সন্তোষজনক নয়।
মন্ত্রী জেলা পর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম তদারকির কাজে নিয়োজিত উপপরিচালক, স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জন্ম নিবন্ধনের এ হার বৃদ্ধি করতে জোর তৎপরতা চালানোর আহ্বান জানান। ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধনের হার উল্লেযোগ্য হারে বাড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেয়া হলে অবস্থার অনেক উন্নতি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। -তথ্য বিবরণী