ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কোচ স্টিফেন কেশি আর নেই

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ৯ জুন ২০১৬

কোচ স্টিফেন কেশি আর নেই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নাইজিরিয়া জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ স্টিফেন কেশি আর নেই। বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সমর্থকদের কাছে ‘বিগ বস’ হিসেবে পরিচিত ক্যারিসমেটিক এই কোচ দক্ষিণ নাইজিরিয়ার বেনিন শহরে ‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ভাই ও ফুটবল কোচ ইমানুয়েল এডু কেশির মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার ভাই স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হতে চলে গেছেন।’ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৩৫ বছর বয়সে মারা যান কেশির স্ত্রী। ২০১৩ সালে নাইজিরিয়া জাতীয় দলকে আফ্রিকান নেশন্স কাপ পাইয়ে দেয়া কেশি পরের বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ ষোলোতে পৌঁছে দিয়েছে আফ্রিকান দলটিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেশির একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেন, ‘তিনি অসুস্থ ছিলেন না। অসুস্থতার কোন লক্ষণও তার মধ্যে দেখা যায়নি। তবে এটি ঠিক যে, স্ত্রী মৃত্যুর শোক তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি।’ নাইজিরিয়া জাতীয় দল ছাড়াও টোগোর দায়িত্ব নিয়ে দলটিকে ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে দিয়েছিলেন কেশি। মালি জাতীয় দলেরও কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন ক্যারিশম্যাটিক এই কোচ। দক্ষতা ও নেতৃত্বগুণের কারণেই ভক্তরা ‘বিগ বস’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন কেশিকে। খেলোয়াড়ী জীবনেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন কেশি। ১৯৮৫ সালে বেলজিয়ামের শীর্ষ ক্লাব এ্যান্ডারলেখটে যোগ দিয়ে নাইজিরিয়াকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। খেলোয়াড়ী জীবনে ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গ ও আইভরিকোস্টের স্তাদে আবিদজানের হয়েও খেলেছেন কেশি। ক্ষমা চাইলেন ম্যাককুলাম স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাঠের একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য মুত্তিয়া মুরলিধরণ ও কুমার সাঙ্গাকারার কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। এমসিসির স্পিরিট অব ক্রিকেটে দেয়া লেকচারে সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক বলেন, ‘আমি খুব প্রতিযোগিতাপরায়ণ। সব সময় জিততে চেয়েছি। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে কীভাবে জেতা যায় সেটিই ভাবি! ৯ বছর আগে মুরালির রানআউটটার কথাই ধরুন। আমি তখন সেটিকে ভিন্ন চোখে দেখেছিলাম। সাঙ্গাকারাও আজকে এখানে আসবে। সাঙ্গা, আমি তোমার একজন কাছের বন্ধু হিসেবে তোমার এবং মুরালির কাছে সেদিনের সেই আউটের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। মুরালির রানআউট করাটা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবস্বাদে ভুগিয়েছিল’ ২০০৬ সালে টেস্টের সেদিনকার ঘটনাটা ছিল এমনÑ ফাইন লেগে বল ঠেলে দিয়েই উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা। অপরপ্রান্তে মুরালিধরণ। এক রান নিয়েই সাঙ্গাকারাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য ছুটছিলেন মুরালি। কিন্তু সবাইকে অবাক করে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে লেগ আম্পায়ারের কাছে আবেদন জানান উইকেটরক্ষক ম্যাককুলাম। টিভি রিপ্লে দেখার পর নিয়ম অনুযায়ী রানআউট মুরালি। ১৭৯ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। মাহেলা জয়বর্ধনে তখন ম্যাককুলামের সমালোচনা করে বলেছিলেন, এটি অবশ্যই ক্রিকেটের জন্য ভাল উদাহরণ নয়।
×