ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদার বাজার!

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৯ জুন ২০১৬

চাঁদার বাজার!

শরীফ উল্লাহ আমাদের দেশে প্রতিদিন যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে চাঁদাবাজির মহোৎসব, তাতে দেখা যাবে একসময় চাঁদাবাজদের দখলে চলে যাবে এদেশ। দখলদার নেতা পাতি-নেতার পাশাপাশি চাঁদাবাজি এবং কাড়াকাড়ির তা-বে বিপাকে পড়ছে সরকার। চাঁদাবাজরা সরকারের পক্ষে সেøাগান দিয়ে নেতার পক্ষ থেকে একের পর এক চাঁদার বাজার খুলে রীতিমতো হিমশিম খাইয়ে দিচ্ছে সরকারকে। যখনি দেখেছে সরকার দেশে উন্নয়নের পথে ব্যস্ত ঠিক সে সময় সরকারের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে চাঁদার রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে। পত্রিকা খুললেই দেখা যায় চাঁদাবাজ আর দখলদারদের তা-বের খবর। সাধারণ ব্যবসায়ী তথা ঠিকাদার শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছে না। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে এমন কোন স্থান নেই যেখানে চাঁদাবাজদের নজর পড়েনি। শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা করতে পারছে না। চাঁদাবাজরা তাদের পেশিশক্তির মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে নিচ্ছে। এ ধরনের অনৈতিক কর্মকা- পৃথিবীর অন্য রাষ্ট্রগুলোতে খুব কমই দেখা যাবে। দেশে প্রতিদিনিই হাইব্রিড চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা ফুঁসে উঠছে। ব্যবসায়ী ব্যবসা করার ইচ্ছা করলে আগে মোড়লের হক বুঝিয়ে দিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করতে হয়। কোন ব্যক্তি সম্পদ ক্রয় করতে গেলে সেখানে চাঁদা দিয়ে সম্পদ ক্রয় করতে হয়। এরপর প্রত্যেক মাসের চাঁদা সঠিক সময় দেয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে রাখে। আজকাল তো শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলেও চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতা বেশি। ব্যবসা বাণিজ্য ছাড়া বিয়ে বাড়িতেও সমানভাবে চাঁদাবাজদের দাপট দেখা যায়। দাবিকৃত চাঁদা না দিলে কোন ছেলে বা মেয়ের বিয়ে হতে দেয় না। এরা কারা? কার ছায়াতলে থেকে দিনের পর দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তা এখন জানার বিষয়। চাঁদাবাজ, দখলদারদের জন্য এদেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেনি। এখনি সময় এসেছে দেশকে চাঁদাবাজমুক্ত করার। তা না হলে মুজিব কন্যার দেশ গড়ার স্বপ্ন ভেস্তে যাবে। এমনি তো সরকারের দেশ পরিচালনার শুভক্ষণে বার বার বাধা সৃষ্টি করছে। তার ওপর চাঁদাবাজ আর দখলদারদের রাজত্ব সবমিলিয়ে বাংলাদেশকে বিষিয়ে তুলেছে। সরকারকে এসব কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লাগবে। সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্তে যেতে হবে এবং চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে। তা না হলে চাঁদাবাজ আর দখলদারের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের শান্তি-স্বস্তি বিদায় নেবে দ্রুত। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর থেকে
×