ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে পান রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ৮ জুন ২০১৬

ইউরোপে পান রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় ২০১৮ সালের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশের পান রফতানি সম্ভব হচ্ছে না। দেশীয় পানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ‘স্যালমোনেলা’ থাকার অভিযোগ এনে ইইউ ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং ও বাংলাদেশ ফ্রুট ভেজিটেবল এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোর্টারি এ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের উপপরিচালক (রফতানি) আনোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত সপ্তাহে পান রফতানি নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত নতুন করে জারি করা এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।’ তিনি বলেন, ২০১৮ সাল পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ব্যাকটেরিয়া ‘স্যালমোনেলা’ পরীক্ষার সুযোগ-সংবলিত স্বীকৃত ল্যাবরেটরি থাকার বিষয় নিশ্চিতসহ কতিপয় শর্ত পূরণ করে আগেই বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের ১৭টি দেশে পান রফতানি করা যাবে।’ উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩০ জুন ইইউ-এর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। ইতোপূর্বে ইইউ কিছু শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ থেকে ফের পান পাতা আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। ইইউ-এর এ আগ্রহে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি রফতানিকারকদের পান পাতা থেকে ‘স্যালমোনেলা’ ব্যাকটেরিয়া অপসারণসহ কতিপয় শর্ত পূরণের অনুরোধ জানায়। রফতানিকারকদের কাছে উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইং-এর এসব শর্তগুলোর মধ্যে ছিল নিবন্ধিত রফতানিকারকরাই শুধু পান রফতানি করতে পারবে; কনটাক্ট ফার্মিং-এর আওতা ব্যতীত স্যালমোনেলা মুক্ত পানের বিষয়টি নিশ্চিত না হয়ে কোন পান রফতানি করা যাবে না; এ্যাকশন প্ল্যান মোতাবেক পান উৎপাদন ও পরিবহনসহ এইচএসিসিপি নীতিমালা অনুসরণ করে সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত অবস্থায় প্যাকেজিং নিশ্চিত করতে হবে; স্যালমোনেলা মুক্ত রফতানিযোগ্য পান উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তৈরি এ্যাকশন প্ল্যান মোতাবেক নির্বাচিত ১৩টি জেলার ৫৯৫ জন কৃষকের তালিকা হতে কনটাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য কৃষক নির্বাচন ও চুক্তি করতে হবে।
×