ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তে নয়া তিন ডিভিশন সৈন্য মোতায়েন করবে রাশিয়া

পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর বৃহত্তম সামরিক মহড়া শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ৮ জুন ২০১৬

পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর বৃহত্তম সামরিক মহড়া শুরু

স্নায়ুযুদ্ধকালীন সময়ের পর ন্যাটো পূর্ব ইউরোপের পোলান্ডে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এনাকোন্ডা নামের এই মহড়ায় ঘোর আপত্তি জানিয়েছে রাশিয়া। দুই সপ্তাহের এই মহড়ায় ন্যাটোভুক্ত ২৪ দেশের ৩১ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। খবর টেলিগ্রাফ ও বিবিসি অনলাইনের। জল, স্থল ও আকাশপথে মহড়াটি পরিচালিত হবে। এই মহড়া প্রসঙ্গে সোমবার পোলান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যান্টর্নি মেকিয়ারভিচ বলেন, দেশের পূর্বাংশ রক্ষায় জোটের সক্ষমতা যাচাই করতে আমরা এই মহড়ার আয়োজন করেছি। তিনি আরও বলেন, যে কোন যুদ্ধ মোকাবিলায় আমাদের কৌশলের অংশ হিসেবে পোলিশ সৈন্যরা এই প্রথমবারের মতো এনাকোন্ডা মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। মহড়ায় ১৪ হাজার মার্কিন, ১২ হাজার পোলিশ এবং ১০ হাজার ব্রিটিশ সেনা অংশ নিচ্ছে। মহাড়ায় ৩ হাজার সামরিক যান, ১০৫টি বিমান ও ১২টি নৌযান ব্যবহার করা হচ্ছে। পোলান্ডের ওয়ারশয় ন্যাটো সম্মেলন শুরুর এক মাস আগে এই মহড়া শুরু হলো। এদিকে রাশিয়া সীমান্তের কাছে ন্যাটো সেনা উপস্থিতির পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণ সীমান্তে তিনটি নতুন সেনা ডিভিশন মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন। পোল্যান্ড ও বাল্টিক দেশগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আসন্ন ন্যাটো সম্মেলন থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার দিক থেকে সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে উদ্বেগের পটভূমিতে চলছে এই মহড়া। খবরে বলা হয়েছে, দু’বছর আগে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া নিয়ে রাশিয়া যে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছিল তার পটভূমিতে সেখানে শক্তির জানান দিয়ে সদস্য দেশগুলোকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে ন্যাটো। আর এই প্রেক্ষিতে ন্যাটোর এই সামরিক মহড়া। এই মহড়ায় মার্কিন উপস্থিতি বিষয়ে সেদেশের আর্মি চিফ অব স্টাফ মার্ক মিলে বলেন, পোলিশ জনগণের সঙ্গে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। আর এই মহড়া আমাদের যৌথ তৎপরতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। এমন শক্তির প্রদর্শনীতে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার সীমান্তের এত কাছে ন্যাটো সেনারা অবস্থান নিলে সেটি তার দেশের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া সীমান্তের কাছাকাছি ন্যাটো যে সামরিক উপস্থিতি নিয়ে আসছে এবং অন্য দেশগুলোকেও যে ধরনের সেনা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসছে এই বিষয়টিকে মস্কো মোটেই ভালভাবে দেখছে না। আর এই মনোভাব জানাতে রাশিয়ার কোন রাখঢাক নেই। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ার সার্বভৌম অধিকার ও শক্তি রয়েছে বলে জানান লাভরভ।
×