ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সর্বকালের শীর্ষ ২০ এ্যালবাম

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৭ জুন ২০১৬

সর্বকালের শীর্ষ ২০ এ্যালবাম

আগে সবাই যখন মিউজিক ভৌতরূপে অর্থাৎ রেকর্ড বা ডিস্কের আকারে কিনত তখন বিশ্বে বেস্ট সেলিং শিল্পীকে তা বের করা কঠিন কিছু ছিল না। রেকর্ড বিক্রি দেখেই বলে দেয়া যেত কে বা কারা বড়- এডেল না বিটলস, মাইকেল জ্যাকসন, না হুইটনি হিউস্টন। আগের হিসাব যাই থাক, এখনকার হিসাব আলাদা। এখন ডিজিটাল যুগ। এখন র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়েছে অনলাইন মিউজিক সার্ভিস স্পটিকাইএর স্ট্রিমিং ড্যাটার ভিত্তিতে। কিছুদিন আগে এভাবে সর্বকালের সেরা ২০টি সিঙ্গেল পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তার মধ্যে প্রথম ৫টি হলো যথাক্রমে মারিয়া ক্যারির ‘অল আই ওয়ান্ট ফর ক্রিস্টমাস ইজ ইউ’, হুইটনি হিউস্টনের ‘আই উইল অলওয়েজ লাভ ইউ’,সেলিন ডিওনের ‘মাই হার্ট উইল হো অন’, স্করপিয়নস এর ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ এবং ব্রায়ান এডামসের ‘আই ডু ইউ ফর ইউ।’ একই মানদ-ে সর্বকালের সেরা এ্যালবামগুলোর অবস্থানের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তাতে শীর্ষস্থানে অবস্থান নিয়েছে এডেলের ‘টুয়েন্টিওয়ান’। এর জনপ্রিয়তা যে কত বেশি তার একটা প্রমাণ হলো ২ নম্বরে স্থান পাওয়া মেটালিকার স্বনামের এ্যালবাম মেটালিকার চেয়ে এর স্ট্রিম হয়েছে তিনগুণ বেশি। অবশ্য ‘টুয়েন্টিওয়ান’ স্পটিফাইয়ের শীর্ষ ২০ এ নেই যদিও এডেল বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ তারকা হিসেবে পরিগণিত। এ থেকে দুটো জিনিস বোঝা যায় তা হলো এডেলের ভক্তরা মূলত পুরনো ধারার শ্রোতা যারা এখনও সিডি রাখতে বা কিনতে চায়। দ্বিতীয়ত, এডেলের স্ট্র্যাটেজি হলো মানুষকে স্ট্রিমিংয়ের চেয়ে কেনার দিকে ঠেলে দেয়া। নতুন বেস্টসেলার তালিকার শীর্ষ দশে সেইসব শিল্পীদের প্রাধান্য যারা এখনও সক্রিয় কিংবা যাদের সঙ্গীত বহুলাংশে পুনপ্রচারিত, নতুন করে ইস্যু করা ও প্রমোট করা। এডেল, মেটালিকা, ব্রুস স্প্রিংস্টিন এবং এসি/ডিসি এখনও সঙ্গীতের জগতে কর্মমুখর। ইগলস্্ এই সেদিন পর্যন্ত বিদেশ ট্যুরে গিয়ে সঙ্গীত পরিবেশনা চালিয়ে গেছে। নির্ভানা, লেড জেপলিন ও বিটলসের এখনও সুগভীর প্রভাব আছে। সম্প্রতি এদের সঙ্গীতের ব্যাপক ব্যবহার ও পুনর্ব্যবহার হয়েছে। আবার অন্যদিকে বিপুলসংখ্যক এ্যালবাম যেগুলো বছরের পর বছর ধরে চার্টে থেকেছে অথচ সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে ধীরে ধীরে মুছে গেছে সেগুলো বিক্রয়ের তালিকায় অনেক নিচের দিকে আছে। নতুন তালিকায় কিছু চমক লাগানো অসঙ্গতি আছে। যেমন, কে ভেবেছিল যে মাইকেল জ্যাকসনের ‘ডেঞ্জারাস’ গানটি স্পটিফাইয়ে তার ‘থ্রিলারের’ চেয়ে দ্বিগুণ জনপ্রিয় হবে? তাছাড়া এতে অতি বড় বড় ব্যান্ড দলের ক্ষমতার প্রতিফলনও আছে। এসি/ডিসি ও বিটলস স্পটিফাইয়ে এসেছে শেষের দিকে। তথাপি উভয়ই শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। স্ট্রিমের সংখ্যার বিচারে নতুন করে র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বকালের শীর্ষ বিশটি এ্যালবাম হলো যথাক্রমে এডেলের ‘টুয়েন্টিওয়ান’, মেটালিকার ‘মেটালিকা’, নির্ভানার ‘নেভারমাইন্ড’, ব্রুস স্প্রিংস্টিনের ‘বর্ন ইন দি ইউএসএ’, লেড জেপলিনের ‘লেড জেপলিন’, দি বিটলসের ‘এ্যাবি রোড’, বি গিস ও অন্যান্য শিল্পীর ‘স্যাটারডে নাইট ফিভার’, হুইটনি হিউস্টনের ‘দি বডিগাডর্’, এসি/ডিসির ‘ব্যাক ইন ব্ল্যাক’, ইগলস-এর ‘হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া’, ফ্লিটউড ম্যাকের ‘রিউমারস’, হুইটনি হিউস্টনের ‘হুইটনি হিউস্টন’, সেলিন ডিওনের ‘ফলিং ইনটু ইউ’, দি বিটলস-এর ‘ওয়ান’, এলানিস মরিসেটের ‘জ্যাকড্্ লিটল পিলস’, মাইকেল জ্যাকসনের ‘ডেঞ্জারাস’, মারিয়া ক্যারি ‘মিউজিক বক্স’, মাইকেল জ্যাকসনের ‘থ্রিলার’, বিবিধ শিল্পীর ‘ডার্টি ড্যান্সিং’ এবং মিট লোফের ‘ব্যাট আউট অব হেল।’
×