ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক্ষেত্রে ফিলিপিন্স হতে পারে দৃষ্টান্ত

দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ জুন ২০১৬

দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে

নিখিল মানখিন, ফিলিপিন্স থেকে ফিরে ॥ ফিলিপিন্সের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম। ওই দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষ স্বাস্থ্যবীমার সমান সুবিধা পেয়ে থাকে। ওই বীমার আওতায় ক্যান্সার, কিডনি বিকল কিংবা এইচআইভি-এইডস, লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসাব্যয়ও মেটানো হয়। সরকার মাদক ও তামাক পণ্যের ওপর আরোপিত ও আদায়কৃত সিনট্যাক্সের ৮০ শতাংশই দিয়ে দেয় জনগণের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা খাতে। ফিলিপিন্স সরকারের ফিল হেলথ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের সব সরকারী-বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন হচ্ছে ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ কার্যক্রমের আওতায় স্বাস্থ্যবীমা প্রক্রিয়া। চিকিৎসাব্যয় নিয়ে হতাশায় ভুগতে হয় না ফিলিপিনোদের। ওই দেশের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে বাংলাদেশও। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে পা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যবীমা সুবিধার আওতায় দরিদ্র মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার কার্যক্রম ইতোমধ্যে টাঙ্গাইলের তিনটি উপজেলায় শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি ফিলিপিন্সের ফিল হেলথের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ কর্মসূচীর আওতায় স্বাস্থ্য খাতে কর্মরত সাংবাদিক ও সরকারী তথ্য কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল ঘুরে আসে ফিলিপিন্স। এ সময় ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সে দেশে স্বাস্থ্যবীমা পদ্ধতি কিভাবে কাজ করছে, মানুষ কিভাবে সুবিধা ভোগ করে তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। ফিলিপিন্সের ফিল হেলথ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী আলেকজান্ডার পাদিল্লা জানান, ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবার কার্যক্রম আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই অবস্থায় পৌঁছতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগেও আর্থিক সঙ্কটে অনেক দরিদ্র রোগীকে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছি। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বহু আগে থেকেই ফিলিপিন্সের সরকারী-বেসরকারীভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ ছিল। তবে সেই উদ্যোগ আনুষ্ঠানিকভাবে আরও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে ২০১৩ সালে জাতীয় স্বাস্থ্যবীমা আইন করার মধ্য দিয়ে। এখন এ দেশের প্রতিটি মানুষই এ সুবিধার আওতায় রয়েছে। চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে এখন আর কোন ফিলিপিনোকে হতাশায় ভুগতে হয় না বলে জানান আলেকজান্ডার পাদিল্লা। ফিল হেলথের কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ ড. মেরি এ্যান্তনিতি রিমন্তি জনকণ্ঠকে জানান, দরিদ্র রোগীদের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম। ফিলিপিন্সের এক হাজার ৮৮৭ হাসপাতাল, এক হাজার ৭৩৯ যক্ষ্মা ডট কেন্দ্র, ২ হাজার ৯৮১ মাতৃস্বাস্থ্য ক্লিনিক ও দুই হাজার ৫৫৩ বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কেন্দ্রের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবীমা সুবিধা দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে এসব কেন্দ্র থেকে প্রতিটি পরিবার থেকে একজনকে সদস্য কার্ড গ্রহণ করতে হয় বার্ষিক নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে। তবে ধনী শ্রেণীর ভেতর থেকে স্পন্সরশিপের ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়েছে সরকারের অংশীদারিত্বও। সরকার সিনট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাতের রাজস্ব থেকে আয়কৃত অংশ হেলথ ইন্স্যুরেন্স তহবিলে জমা দেয়। এ ক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষকে প্রিমিয়াম দিতে হয় না। তবে উপার্জনক্ষম অন্য সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য তার ওপর বিশেষ হারে প্রিমিয়াম দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবী মানুষের প্রিমিয়াম আলাদা। অন্যদিকে বয়স্ক জনগোষ্ঠী ও শিশুদের সেবার জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। অপ্রাতিষ্ঠানিক পেশাজীবীদের ক্ষেত্রে বছরে ২ হাজার ৪০০ পেসো করে প্রিমিয়াম ধার্য রয়েছে। চাইলে তা প্রতি মাসে ২০০ পেসো হারে কিংবা প্রতিদিন ৬ দশমিক ৬৬ পেসো হারে পরিশোধ করার সুযোগ রয়েছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে বার্ষিক বেতনের আড়াই থেকে ৫ শতাংশ হারে প্রিমিয়াম দিতে হয়। আর এর সবটাই দেবে নিয়োগদানকারী প্রতিষ্ঠান। সুবিধা ভোগের বিষয়ে লিওনা এলেন বাইতা জানান, কার্ডধারী রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে কার্ড দেখিয়ে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা-ওষুধ-পথ্য ভোগ করতে পারে। এমনকি যে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অপারেশনের সুবিধাও এর আওতায় রয়েছে। চিকিৎসা শেষে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ফিল হেলথের কাছে বিল জমা দিয়ে পাওনা টাকা বুঝে নেয়। তবে প্রিমিয়াম প্রদানের আওতায় থাকা কেউ নিয়মিত টাকা পরিশোধ না করলে তাঁর কার্ড বাতিল বা স্থগিত হয়ে যায়। আর স্থগিত কার্ডধারী চিকিৎসার জন্য ইন্স্যুরেন্স সুবিধা ভোগ করতে চাইলে পাওনা প্রিমিয়ামের টাকা শোধ করে কার্ড নবায়ন করে নিতে হবে। ফিল হেলথ সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ২৮.৩ মিলিয়ন প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবী, ৮.৪ মিলিয়ন অপ্রাতিষ্ঠানিক, ১.৭ মিলিয়ন আজীবন সদস্য, ৪৫ মিলিয়ন হতদরিদ্র, ২.৪ মিলিয়ন স্পন্সরধারী ও ৭.১ মিলিয়ন বয়স্ক মানুষ এ স্বাস্থ্যবীমার আওতায় এসেছে। এদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ হতদরিদ্র ও ৩০ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক কর্মজীবী এ বীমা সুবিধার আওতায় চিকিৎসা সুবিধা ভোগ করেছে। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখনও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে ধারণা কম। সরকারের উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু হলেও তা এখনও অনেকটাই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়ে গেছে। এ ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই আমরা স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা একদল সাংবাদিক ফিলিপিন্সের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমের অবস্থা পর্যবেক্ষণে পাঠিয়েছি। এছাড়া আগে থেকেই রকফেলার ফাউন্ডেশনের সহায়তায় দেশব্যাপী ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজের বিষয়ে ধারণা ও সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন ওরিয়েন্টেশন চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রতিনিধিদলের নেতা তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ফিলিপিন্সের বেশ কয়েকটি সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল এবং ফিল হেলথের প্রধান কার্যালয় ঘুরে স্বাস্থ্যবীমার সার্বিক কর্মপদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করেছি, অনেক তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে অবহিত হয়েছি, যা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যবীমা কার্যক্রম নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। কারণ ফিলিপিন্স এশিয়ার মধ্যে স্বাস্থ্যবীমা বাস্তবায়নে অনন্য এক উদাহরণ হয়ে আছে। ফিলিপিন্সে গিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা কিভাবে বাংলাদেশের সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমে প্রয়োগ করা যায় তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান যুগ্ম সচিব নুরুল ইসলাম। বাংলাদেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম ॥ বাংলাদেশেও উদ্বোধন করা হয়েছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর পাইলট প্রকল্প। গত ২৪ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় হেলথ কার্ড বিতরণের মাধ্যমে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে মধুপুর, কালিহাতী ও ঘাটাইল থানায়। চলতি বছরের গত জানুয়ারি থেকে টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় স্বাস্থ্য কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশন পরিচালিত হয়। রেজিস্ট্রেশন শেষে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করা হয় হেলথ কার্ড বিরতণের। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনামূল্যে আধুনিক চিকিৎসা সেবা দিতে এই পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বর্তমান সরকার দরিদ্রবান্ধব সরকার। দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচী গ্রহণসহ নানাবিধ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। ফলে গত কয়েক বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার অনেক কমেছে। তিনি বলেন, সরকার গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে যেসব কর্মসূচী হাতে নিয়েছে তার সুফল জনগণ পাচ্ছে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অতি দরিদ্র মানুষ যেন জটিল রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে করতে পারে সেলক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচীর কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মধুপুর ও কালিহাতীতে অতি দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী জনগোষ্ঠীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ওই তিন উপজেলায় প্রায় এক লাখ মানুষ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার চিকিৎসা সুবিধা দিতে স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ করা হবে। এই কার্ডধারী ব্যক্তিগণ কয়েকটি নির্দিষ্ট জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা পাবেন উপজেলা, জেলা পর্যায়ের সরকারী হাসপাতাল থেকে। পরিবার প্রতি একজন এই কার্ড পাবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্র মানুষরা জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ৫০ রোগের চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন। এই চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবার প্রতি বছরে ১ হাজার টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে প্রদান করবে সরকার। আর প্রতি পরিবার বছরে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা লাভ করবে। এই কর্মসূচীর অধীনে নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করে পাইলট এলাকায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী প্রায় ১ লাখ পরিবার চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব পরিবারকে একটি হেলথ কার্ড প্রদান করা হবে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। সচিবালয়ে গত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশাদুল ইসলাম ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি, জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের প্রাদুর্ভাব, নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি ইত্যাদি নানা কারণে চিকিৎসা সেবার খরচ বেড়েছে। এতে নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষদের আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নতুন এ উদ্যোগ। এছাড়া সর্বজনীন চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার জন্য ‘হেলথ কেয়ার ফাইন্যান্সিং স্ট্রাটেজি ২০১২-২০৩২’-এ দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে সরকারের।
×