ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

মীর কাশেমের মৃত্যু পরোয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারে

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৭ জুন ২০১৬

মীর কাশেমের মৃত্যু পরোয়ানা কেন্দ্রীয় কারাগারে

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক মুত্যুদ-প্রাপ্ত বদর বাহিনীর কমান্ডার, চট্টগ্রামের বাঙালী খান, জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর ‘লাল কাপড়ে মোড়ানো’ মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ উচ্চ আদালতের আপীল বিভাগে বিচারিক কার্যক্রম পরিসমাপ্তির পর এ মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর পরোয়ানা লালসালুতে বেঁধে বিশেষ বার্তা বাহকের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (জেলা জজ) শহীদুল আলম ঝিনুক এ তথ্য জানিয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছেন তারা লাল কাপড়ে বাঁধা মৃত্যুপরোয়ানা পেয়েছেন। ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুপরোয়ানা জারির পর দ- কার্যকর আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন সর্বশেষ দুটি ধাপ রয়েছে। একটি রিভিউ আবেদন, অন্যটি আবেদন খারিজ হলে সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির নিকট প্রাণভিক্ষা। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষা নাকচ করলে দ- কার্যকরে কোন বাধা থাকবে না। সরকার পক্ষ বলেছেন, নিয়ম অনুসারে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে রিভিউ করতে হবে। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জানিয়েছেন তারা রায়ের সার্টিফাইড কপি হাতে পেলেই ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করবেন। এদিকে একটি সূত্র জানিয়েছে, রিভিউ নিষ্পত্তি হওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে যে, কিভাবে তা কার্যকর হবে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই রিভিউ আবেদন চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপীলের রায় কার্যকর যাবে না। যে মুহূর্তে আসামিপক্ষ সার্টিফাইড কপি পাবে, সেই মুহূর্ত থেকে তারা ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন দাখিল করবেন। অর্থাৎ রিভিউ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। সোমবার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ থেকে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে পূর্ণাঙ্গ রায়টি। রায়ের অনুলিপিসহ অন্য কাগজপত্র পাঠান সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। সেগুলো নিয়ে ট্রাইব্যুনালে পৌঁছান ডেপুটি রেজিস্ট্রার মেহেদি হাসানের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি টিম। গোছানো ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষে সেগুলো গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মোঃ শহীদুল আলম ঝিনুক। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২৪৪ পৃষ্ঠার এ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাসহ আপীল মামলার রায় প্রদানকারী পাঁচ বিচারপতি রায়ে স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রীমকোর্টের ওয়েবসাইটে। অন্য বিচারপতিরা হলেনÑ বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান। পূর্ণাঙ্গ রায়টি লিখেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। ট্রাইব্যুনালে রায়ের অনুলিপি আসার পর তা ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করা হয়। সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ আনোয়ারুল হক এবং বিচারিক প্যানেলের দুই সদস্য বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী। এরপর লালসালুতে মুড়ে এ মৃত্যুপরোয়ানা ট্রাইব্যুনাল থেকে পাঠানো হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে পরোয়ানা যাবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে; একাত্তরের বদর নেতা মীর কাশেম সেখানেই আছেন। নিয়ম অনুযায়ী রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে আইন গবেষণা কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদ ও জহিরুল ইসলাম জাহিদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল এ পরোয়ানা নিয়ে যান। রাত পৌনে আটটার দিকে মৃত্যু পরোয়ানা ও মীর কাশেম আলীর আপীল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি গ্র্রহণ করেছেন বলে জানান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার জাহাঙ্গীর কবির ও জেলার নেসার আলম। তারা জানান, মীর কাশেম আলী কাশিমপুর কারাগারে আছেন। সেখানে পাঠানো হবে মৃত্যুপরোয়ানা। কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মীর কাশেম আমাদের কারাগারে আছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মৃত্যুপরোয়ানা এসে পৌঁছলে তাকে পড়ে শোনানো হবে। ওই পরোয়ানার ভিত্তিতেই শুরু হবে সাজা কার্যকরের প্রস্তুতি। অবশ্য দ- কার্যকরের আগে আপীলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করার সুযোগ পাবেন একাত্তরে যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম। রিভিউ না টিকলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষাও তিনি চাইতে পারবেন। দুই আর্জিই নাকচ হলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ দ- কার্যকরের ব্যবস্থা নেবেন। তার আগে আসামির সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন পরিবারের সদস্যরা। ট্রাইব্যুনাল ও আপীলের দ- ॥ গত ৮ মার্চ মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ- বহাল রেখে সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষণা করেছিল আপীল বিভাগ। রায়ে বলা হয়Ñ আসামিপক্ষে আনা আপীল আংশিক মঞ্জুর করা হয়েছে। এ মামলায় প্রসিকিউশন আনীত অভিযোগের মধ্যে ৪, ৬ ও ১২নং অভিযোগ থেকে মীর কাশেম আলীকে খালাস এবং ২, ৩, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাশেম আলীকে ট্রাইব্যুনালের দেয়া দ- বহাল রাখা হয়। আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নবেম্বর মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল। মামলায় মীর কাশেমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি অভিযোগ আনা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশন আনীত ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে মীর কাশেম আলী দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তবে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে এসব অভিযোগ থেকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাকে খালাস (অব্যাহতি) দেয়া হয়। প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে তাকে ২০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়। ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে তাকে ৭ বছর করে মোট ৪২ বছর কারাদ- দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। এ ৮টি অভিযোগে তাকে সর্বমোট ৭২ বছর কারাদ- দেয়া হয়েছে। ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মীর কাশেম আলীকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছে। ১১ নম্বর অভিযোগে রয়েছে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ ছয়জনকে আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। এ অভিযোগে বিচারকরা সর্বসম্মতিক্রমে মীর কাশেমকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দেয়। ১২ নম্বর অভিযোগে রয়েছে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ। ১১ ও ১২নং অভিযোগ ছাড়া বাকি ১২টি অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ মীর কাশেমের বিরুদ্ধে। রিভিউ করবেন ॥ মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর আপীলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহম্মদ বিন কাশেম। সোমবার সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ মীর কাশেম আলীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। আহম্মদ বিন কাশেম বলেন, আপীল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাইনি। পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলেই রিভিউ পিটিশন দাখিল করব। তিনি জানান, রিভিউ পিটিশন দাখিলের পর শুনানির জন্য আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নেব। টাকা থাকলেই মুক্তি পাওয়া যায় না ॥ জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বৃহৎ অংকের অর্থ ব্যয় করেছেন। এরপরও বিচারপ্রক্রিয়া থেকে রক্ষা না পাওয়াকে বড় সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সোমবার দুপুরে মীর কাশেমের আপীলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিজ প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য সফলতাÑ টাকা থাকলেই আইনের হাত থেকে বা বিচারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। মীর কাশেম আলীর বিচারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ পাওয়া যায় যে, আইনের শাসন বা বিচার বিভাগের রায়টাই প্রধান। যতভাবেই বানচাল করার চেষ্টা করুক, আমরা আদালতের মর্যাদা যদি ঠিকমতো রাখতে পারি তাহলে সব বিচারই হবে।’ আদালতের রায়ে অর্থ ব্যয় করা প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, ‘লবিস্ট নিয়োগ করার বিষয়ে আমি একটি কাগজ দাখিল করেছিলাম। তাতে আদালত বলেছেন তিনি লবিস্ট নিয়োগ করেছেন কি করেন নাইÑ এটা প্রমাণসাপেক্ষ ব্যাপার। তবে ২৫ লাখ মিলিয়ন ডলার দেয়ার ব্যাপারে যে রসিদ দিয়েছিলাম তা আদালত বিবেচনায় নিয়ে বলেছেন, মীর কাশেম আলী খুবই প্রতাপশালী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি বিচারককে ফ্রাস্টেট করে এটাকে (বিচার কাজ) নষ্ট করে দেয়ার জন্য বিভিন্নরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’ বিচার কার্যক্রম একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেফতার করার পর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মীর কাশেমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ২০১৩ সালের ১৬ মে মীর কাশেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। একই বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মীর কাশেমের যুদ্ধাপরাধের বিচার। এরপর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২ এ স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই ১৮ নবেম্বর প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমনের সূচনা বক্তব্যের (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) মধ্য দিয়ে শুরু হয়। ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলামসহ মোট ২৪ জন। এরপর ২১ ও ২২ এপ্রিল মীর কাশেম আলীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন তার ছোট বোন মমতাজ নুরুদ্দিনসহ তিনজন। সাক্ষ্য-জেরা এবং দুইপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৪ সালের ৪ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নবেম্বর মীর কাশেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-াদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ নবেম্বর মীর কাশেম আপীল করেন। ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় আপীল মামলাটির শুনানি। ওই দিন এবং পর দিন ১০ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায় এবং সাক্ষীদের অভিযোগভিত্তিক সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন মীর কাশেমের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তিনি। আর রাষ্ট্রপক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল শুরু করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক শেষ করার পর পুনরায় আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আইনী পয়েন্টে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এর মধ্য দিয়ে মীর কাশেমের মামলার আপীল শুনানি শেষ হয়। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাষ ঘোষণার জন্য ৮ মার্চ দিন ধার্য করে আদেশ দেয় আপীল বিভাগ।
×