ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপত্তা সম্মেলনে ভারত ও সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা চাই

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৭ জুন ২০১৬

দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা চাই

ভারত ও সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা বলেছেন, দক্ষিণ-চীন সাগরে নৌ চলাচল নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মীমাংসা করা উচিত। তারা শুক্রবার সিঙ্গাপুরে এশিয়ার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছিলেন। খবর চ্যালেন নিউজ এশিয়ার। দক্ষিণ চীন সাগর বিরোধ শুক্রবার শুরু হওয়া শানগ্রিলা ডায়লগের অন্যতম বড় ইস্যু। চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় কয়েকটি দেশ ঐ ভূখ-ের ওপর মালিকানা দাবি করে থাকে। প্রথম সিঙ্গাপুর-ভারত প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংলাপের পর মন্ত্রীরা মিডিয়াকে বলেন, জলসীমায় নৌ চলাচলের স্বাধীনতা থাকা উচিত। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পরিকর বলেন, দক্ষিণ-চীন সাগর বিরোধ নিয়ে তার দেশের দৃষ্টিভঙ্গি একই রয়ে গেছে, আর তা হলো দেশগুলোর উচিত বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নয়, আলোচনার মধ্য দিয়েই সেই বিরোধের মীমাংসা করা। তিনি আরও বলেন, ভারত এর এ্যাক্ট ইস্ট নীতির মাধ্যমে পূর্বদিকের দেশগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে কথা বলবে। শীর্ষ সম্মেলনের আগে সিঙ্গাপুরে মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন ঐ বিরোধ সম্পর্কে জাতিসংঘের আসন্ন রুলিং চীন প্রত্যাখ্যান করলে যে পরিণতি দেখা দেবে তা নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, চীন কিভাবে এর ক্রমবর্ধমান শক্তি ও অবস্থানকে কাজে লাগাবে তা চীনের বিষয়। চীন এর প্রতিবেশীদের জোরজবরদস্তি করতে ও ভয় দেখাতে পারে এবং একতরফা এর ভূখ-গত দাবি বলবৎ করতে পারে। তিনি বলেন, সালিশের আসন্ন সিদ্ধান্ত চীনের জন্য এক পরীক্ষাই হবে। এ সিদ্ধান্তকে এক অভিমত বলে দেখা চিনের জন্য উচিত হবে না, বরং চীন অবশ্যই একে আইন হিসেবে স্বীকার করবে, একে মেনে চলবে এবং সমুন্নত রাখবে। চীন কোন পথ বেছে নেয়, এ অঞ্চল ও বিশ্ব সেই দিকে দৃষ্টি রাখবে। সন্ত্রাসবাদ শীর্ষ বৈঠকের আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। ইসলামিক স্টেট (আইএস) দক্ষিণ ফিলিপিন্সে এক ঘাঁটি গড়তে সমর্থ হয়েছে। সেখান থেকে তারা এ অঞ্চলের চারদিকের দেশগুলোর ওপর হামলা চালাতে পারে। এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ ও এদের নাগরিকদের আইএসের পক্ষে লড়াই করতে সিরিয়া যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে। কাজেই এ হুমকি মোকাবেলায় এ অঞ্চল কিভাবে এর সম্পদকে কাজে লাগাতে পারে, তা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা আলোচনা করতে পারেন। এদিকে, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হোয়াং ইয়োং হং বলেন, ভারত ও সিঙ্গাপুর তাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর ভারতে প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ দিয়ে থাকে এমন কয়েকটি চুক্তি রয়েছে। এদিকে, চীনের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এ্যাডমিরাল সুন জিয়াওগুয়ো ১৫তম শানগ্রিলা ডায়লগের ফাঁকে শানগ্রিংলা হোটেলে ড. হোয়াংয়ের সঙ্গে দেখা করেন। সিঙ্গাপুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের বৈঠককালে ড. হোয়াং ও এ্যাডমিরাল সুন দু’দেশের উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সম্পর্কের ওপর পুনরায় গুরুত্ব আরোপ করেন।
×