ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৭ জুন ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

আবার ঢাকায় নিদারুণ দাবদাহ। ছত্রিশের ওপরে পারদের অবস্থান। দিনের পর দিন বৃষ্টির দেখা নেই। রবিবারে রোদ আর মেঘের লুকোচুরিতে বেলা কাটলেও বৃষ্টি হয়েছে একপশলাই। এতে কি গরম কমেছিল? মোটেই নয়। গ্রীষ্মে দিবসের দৈর্ঘ্য থাকে বেশ দীর্ঘ। এবার রমজানে রোজাদাররা মুখোমুখি হচ্ছেন দীর্ঘ তপ্ত দিবসের। রোজার মাসে অবশ্য কর্মঘণ্টার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা থাকে। কিন্তু ঢাকা এমনই এক ব্যস্ত এবং মানুষের ভারে ভারাক্রান্ত শহর যে অফিস শেষে ঘরে ফিরে পরিবার পরিজন নিয়ে ইফতারি করতে পারবেন- এমন নিশ্চয়তা দেয়া যায় না। রমজানে ভেজালমুক্ত খাবার রমজানে ফলফলাদির চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে খেজুর আর কলার চাহিদা বাড়ে ব্যাপক হারে। রমজানের আগেই অভিযান চালিয়ে রাসায়নিক দ্রব্যমিশ্রিত আশি হাজার কলা জব্দ করে নষ্ট করা হয়। এজন্য আঠারোজনকে দণ্ড ও দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভাবছিলাম এই আশি হাজার কলা আমাদের মানে রাজধানীবাসীর পেটেই যেত। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর রাখার দায়েও সাজা পেয়েছেন অসৎ ব্যবসায়ী। রোজার মধ্যে নিয়মিতভাবে যদি এ ধরনের অভিযান চালানো হয় তাহলে নগরবাসী উপকৃত হবেন। অন্যদিকে পবিত্র রমজানে ইফতারিসহ সব খাবার ভেজালমুক্ত রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ১৭টি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন। বুধবার সকালে চকবাজার শাহি মসজিদের সামনে ‘ইফতারিসহ সব খাদ্য বিষ ও ভেজালমুক্ত চাই’ শীর্ষক ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য নিশ্চিত করা সরকারের মৌলিক দায়িত্ব। পবিত্র রমজান সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন, আমদানি ও মজুতকরণ চলছে। এসব খাদ্যপণ্যে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক উপকরণ মেশানো হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিআরটিসি বাসে দুই যাত্রীর কথোপকথন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার। বেলা দশটা। বিআরটিসির এসি বাসটি আবদুল্লাহপুর থেকে ছেড়ে এসে বিমানবন্দরের কঠিন জ্যাম ছাড়িয়ে আবার জ্যামে পড়ল বিশ্বরোডে এসে। মনে হচ্ছে একেবারে কাকলি পর্যন্ত রুদ্ধ এই ট্রাফিক জ্যাম। বাসের ভেতর দাঁড়িয়ে দুই ব্যক্তি আলাপ শুরু করেন। ১ম ব্যক্তি : এ তো অবাক কা-! আজ এখান থেকে জ্যাম শুরু হলো! কতক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ঘামতে হবে কে জানে? ২য় ব্যক্তি : সেই তো দেখছি। এসি গাড়িতে এসি ঠিক নেই। প্রতিদিনই ঘামতে হয়। এর কি কোনো প্রতিকার নেই? ১ম ব্যক্তি : কে করবে প্রতিকার? এরা মনোপলি ব্যবসা করছে। এই রুটে যদি আরেকটা কোম্পানির এসি বাস থাকত, তাহলে দেখতেন অবস্থা। যেটা ভাল সার্ভিস দিত, মানুষ সেটাতেই উঠত। ২য় ব্যক্তি : কে জানে লিজ নেয়ার সময় এই পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে কর্তৃপক্ষের হয়ত অলিখিত চুক্তিই এমন ছিল যে এই রুটে দ্বিতীয় এসি বাস চলবে না। ১ম ব্যক্তি : হুম। বাসের সিটগুলো চাপা। আড়াইজনের স্পেসে বসছেন তিনজন। আর গাড়িভর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা যাচ্ছে প্রতিদিন। তারপরও আমরা স্বস্তি পেতাম এই গরমে এসিটা যদি ঠিকমতো চলত। মানুষের এই ভোগান্তি চলতেই থাকবে। যাদের দেখার তারা দেখেও দেখবেন না। মন্ত্রী তো আছেন আত্মপ্রচার নিয়ে।... আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক! ঢাকার বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় এত বেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যে আবাসিক এলাকা তার বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা হারিয়েছে। রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় তৎপরতা তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রায় দুই মাস আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও এখন পর্যন্ত ভবন মালিকদের কাছে কোন চিঠি ইস্যু করা হয়নি। অবশ্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি ইতোমধ্যে কয়েকটি সভাও করেছে। কিন্তু কার্যত কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর আবাসিক এলাকায় কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ঢালাওভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে এবং তা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার নিরসন জরুরী। এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বিশেষ অভিযান পরিচালনা জোরদার করুক- এটাই সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর চাওয়া। রাজধানীর ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার আবাসিক বৈশিষ্ট্য ও রূপ অক্ষুণœ রাখতে সরকারের ওপর মহল ছাড়াও ২০১২ সালে এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও রাজউকের ব্যর্থতার কারণে শুধু ধানমণ্ডি নয়, গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরাসহ সব আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাই এসব এলাকায় নবাগত লোকেদের মনে ধন্দ জাগতেই পারে- এলাকাটি আবাসিক নাকি বাণিজ্যিক! আবার লোডশেডিং আবার লোডশেডিং শুরু হয়েছে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় নিয়মিতভাবে। উত্তরায় যে এলাকার লোডশেডিংয়ের ভুক্তভোগী আমি সেখানে দিনে পাঁচ বার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে গত সপ্তাহে। বেশ সকালে, আবার গভীর রাতে এর আগে তেমন লোডশেডিংয়ের প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারিনি। এবার তার ব্যতিক্রম। ঢাকা মহানগর সম্প্রসারিত হতে হতে এতটাই বিস্তৃত হয়েছে যে সব এলাকায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত থাকার বিষয়টিও প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়। তারপরও গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার মে-জুন মাসে ঢাকায় একটু বেশি লোডশেডিংয়ের ফলে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। কারণ ঢাকার গরম মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে ফ্ল্যাটগুলোয় বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক সচল না থাকায় গরম সেখানে আটকে থাকছে। ফলে আরও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে নগরবাসীর। লোডশেডিং বা বিদ্যুতহীনতার সময় বিকল্প বিদ্যুতের জন্য ঢাকার বহু ফ্ল্যাটবাড়িতে জেনারেটর ব্যবহার করা হয়। যন্ত্রটির তীব্র শব্দ অত্যন্ত বিরক্তিকর। এ জাতীয় শব্দদূষণ কতটা ক্ষতিকর মানবদেহের জন্য এ বিষয়ে এখনও কোন প্রতিবেদন দেখিনি। জেনারেটরের আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ফুয়েলের গন্ধ দ্রুত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। জেনারেটরের অবস্থানের কাছাকাছি ফ্ল্যাটের ভেতরে সেই তীব্র গন্ধ এবং কখনও কখনও ধোঁয়া ঢুকে পড়ে। এও বাসিন্দাদের জন্য চরম বিরক্তির কারণ। বিদ্যুতবিঘিœত শহরকে পুরোপুরি শহর বলা যায় কি? আমাদের রাজধানীরই যদি এই দশা হয় তাহলে রাজধানীর বাইরের শহরগুলোর পরিস্থিতি আরও কত অসহনীয় তা অনুমান করতে কষ্ট হয় না। বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এতে কোন সন্দেহ নেই। আবার জাতীয় সঞ্চালন লাইন থেকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের খানিকটা ভাগ সঞ্চয় বা ধরে রাখার জন্যও বাড়তি বিদ্যুত লাগে। বহু বাড়িতেই আইপিএস যন্ত্রটি রয়েছে যেটি লোডশেডিংয়ের সময় সঞ্চয়কৃত বিদ্যুতের মাধ্যমে বাতি ফ্যানসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটায়। তার ওপর নতুন বিপদ হয়েছে। অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে অতিরিক্ত বিদ্যুত ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ট্রান্সমিটারে বিদ্যুতের লোড বাড়ছে। সাধারণ মানুষের কাছে বিদ্যুত পরিস্থিতি উন্নতির একটি সাধারণ পরিমাপক হলো, লোডশেডিং হচ্ছে কি হচ্ছে না; কিংবা লোডশেডিং হলেও তা কতক্ষণ। আর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ করতে না পারলেও তাকে লোডশেডিং বলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর রেল স্টেশন গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই সিলেট যাওয়া হলো। এতে ঢাকার দুটি করুণ চিত্র প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেলাম। প্রথমত বিমানবন্দর রেল স্টেশন। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের কথা আগে বলা যাক। কেউ মৌসুমী ফল বিক্রি করছে, কেউ বসেছে পান-সিগারেট নিয়ে। সঙ্গে শসা, আলুর চিপস বিক্রেতা, জুতা পলিশকারীও আছে। সবার সমাবেশে রীতিমতো ছোটখাটো বাজার। স্টেশনের যত্রতত্র ভবঘুরে কিংবা ভাসমান মানুষেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে বসেই তারা দল বেঁধে গল্প করছে। স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের পেছনের দিকে মাদকসেবীদের অবাধ বিচরণ রয়েছে- এমন একটা খবর পড়ছিলাম সেদিন একটি কাগজে। এক ফলবিক্রেতার কাছ থেকে এক মহিলা কয়েক শ’ লিচু কিনলেন। লিচুর ব্যাগ হস্তান্তরের আগেই দু’জন পুলিশ ছুটে এলেন। ফলবিক্রেতাকে খুব একটা বিচলিত মনে হলো না। তিনি ধীরে সুস্থে দক্ষিণ দিকে হাঁটা দিলেন। সিলেটগামী ট্রেন এসে পড়ার ঘোষণার কারণেই পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যায়। ট্রেনে যাতে সহজে যাত্রী ওঠানামা করতে পারে সেজন্য জায়গাটায় বিকিকিনি বন্ধের উদ্যোগ। অনেকক্ষণ ধরে আমার সঙ্গী ভদ্রলোক কুলি খুঁজছিলেন। লাল জামা পরা কুলি থাকে স্টেশনে। কিন্তু বেলা বারোটায় পুরো প্ল্যাটফর্মে একজন কুলিরও দেখা মিলল না। একটু অবাক হওয়ার মতোই বিষয়টা। তীব্র গরম পড়েছে। প্ল্যাটফর্মের এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত সারবাঁধা প্রচুর সিলিং ফ্যান। মানুষ দরদর কমে ঘামছে। কিন্তু এক অজ্ঞাত কারণে সিলিং ফ্যানগুলো চালু করা হচ্ছে না। নাকি সেগুলো শো পিস শুধু। বিদ্যুতের সংযোগ তাতে নেই! কে জানে। ভাবলাম স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করব কিনা। এরই মধ্যে ট্রেন চলে এলো। ফেরার সময় বাসে ফিরেছি। সে এক মহাবিড়ম্বনা। রাজারবাগ এলাকায় নিজস্ব কাউন্টারের সামনে এসে বহনকারী বাসটি যাত্রী নামানোর কথা। ফ্ল্যাইওভার নির্মাণযজ্ঞের জন্য রাস্তার বারোটা বেজে গেছে। একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত কোন নগরীর সড়ক যেন। ফুটপাথ নোংরা আবর্জনায় ভর্তি। মুক্ত পাবলিক শৌচাগারের মতোই ফুটপাতে দুর্গন্ধ। মহুয়ার মৃত্যু রমনা উদ্যানে সকালে স্বাস্থ্যচর্চা করেন বহু নারীপুরুষ। তাদের অনেকেরই মনে মহুয়া বৃক্ষের মৃত্যু ‘আপনজন’ হারানোর অনুভব নিয়ে এসেছে। লেখক-চিকিৎসক মালিহা পারভীন তার ফেসবুক ওয়ালে যে নোট লেখেন তাতে উদ্যানের প্রভাতবন্ধুদের মনের কথাটিই প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি লিখেছেন : ‘চমৎকার নাম আমার ‘মহুয়া’। আমার বয়স একশো বা বেশিও হতে পারে। রমনা পার্কের লেক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছি বহুদিন। আমার ঝাঁকড়া পাতার সবুজ রূপ দেখে কে না প্রেমে পড়েছে! কত মানুষ এসে বসে এই গাছের নিচে! বেশ কিছুদিন হলো ‘ভোরের পাখি’ নামে ৬-৭ জনের এক মহিলা দল সকালের হাঁটা শেষে এখানে জড়ো হয়। শুরু“হয় তাদের কথা। আনন্দ– বেদনার হাজারো কাব্য! ওদের প্রাণ প্রাচুর্য আমায় সজীব করে তোলে। মাঝে মাঝে কান ঝালাপালা করে। পারু- পপির বক্তৃতা, নুসরাতের বিশেষ সমাচার, রাজুর গলা ফুলিয়ে ‘বল বীর’ আবৃত্তি, রওশান- আখতারের দা- কুমড়া ভাব- আহা! এক ডাক্তারনি রোগীপত্র নেই, বস্তাপচা কবিতা লিখে মাঝে মাঝে এখানে শোনায়। কখন যেন আমি ওদের দলের একজন হয়ে গেছি। বিনিময়ে দিয়েছি অক্সিজেন, দিয়েছি বাতাস। কদিন আগে আমার মৃত্যু হলো। উই পোকা ক্যান্সারের মতন ছড়িয়ে ভেতরটা ফাঁকা করে রেখেছিল। সরকারী লোকজন- যাদের দায়িত্ব ছিল আমাকে দেখভাল করার তা তারা করেনি। তাই সামান্য ঝড়ে মুখ থুবড়ে পড়ে গেলাম মাটিতে। আমায় টুকরো টুকরো করা হলো। এখানে আবার নতুন মহুয়া গাছ লাগানো হবে। নতুন মানুষ বসবে এর নিচে। চৈত্রে ঝরবে ঝরাপাতা, বর্ষায় নবীন পাতা। অন্য এক নিরুপমা এসে গাইবে ‘ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে’– আরেক মালিহা লিখবে ঝরাপাতার নতুন কবিতা!’ ৫ জুন ২০১৬ [email protected]
×