নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৫ জুন ॥ বহুল আলোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর আংশিক নয়, সকল ডিএনএ আলামতের প্রতিবেদন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তনুর ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডকে সরবরাহ করতে আদেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২৯ মে তনুর ২টি বিষয়ের (ভ্যাজাইনাল সোয়াব ও দাঁতের) ডিএনএ প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করতে সিআইডিকে আদেশ দিয়েছিলেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লা। কিন্তু তনুর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে ভ্যাজাইনাল সোয়াব, অন্তর্বাস, মোবাইল, হাতব্যাগ, কাপড়, চুলসহ ভিন্ন ভিন্ন সকল ডিএনএ প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগে সরবরাহ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে সিআইডি পুনরায় রবিবার আদালতে এ আবেদন করলে আদালত এ আদেশ দেয়।
জানা যায়, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের একটি জঙ্গল থেকে তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ২১ মার্চ দুপুরের দিকে কুমেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাঃ শারমিন সুলতানা তনুর ময়নাতদন্ত করেন। গত ৪ এপ্রিল প্রকাশ করা প্রথম ময়নাতদন্তে তনুর মৃত্যুর কারণ বা ধর্ষণের আলামত উল্লেখ ছিল না। গত ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১৪ মে কুমিল্লার আদালতে এসে পৌঁছায় নিহত তনুর ৭টি বিষয়ের ডিএনএ প্রতিবেদন। গত ১৬ মে তনুর ভ্যাজাইনাল সোয়াবে তিন পুরুষের শুক্রাণু পাওয়ার খবর সিআইডি থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তনুর মৃত্যু নিয়ে আবারও আলোচনার ঝড় উঠে। ফরেনসিক বিভাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৯ মে সিআইডি থেকে তনুর দাঁত ও সোয়াবের ডিএনএ প্রতিবেদন ফরেনসিক বিভাগে সরবরাহ করতে আদেশ দেন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুস্তাইন বিল্লা। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম রবিবার সাংবাদিকদের জানান, তনুর দাঁত ও সোয়াবের ডিএনএ আলামতের পরীক্ষাসহ সবকিছু একই প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তাই আলাদাভাবে দাঁত ও সোয়াবের পরীক্ষার প্রতিবেদন সরবরাহের সুযোগ নেই। এ জন্য ডিএনএর পুরো প্রতিবেদনটিই মেডিক্যাল বোর্ডকে দিতে আদালতে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিয়েছেয়।
