ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিপুল ভোটার উপস্থিতি যেমন ছিল তেমনি ছিল সহিংসতাও

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৬ জুন ২০১৬

বিপুল ভোটার উপস্থিতি যেমন ছিল তেমনি ছিল সহিংসতাও

শাহীন রহমান ॥ নানা কারণে আলোচিত ও সমালোচিত এবারের ইউপি নির্বাচন। নির্বাচনে যেমন ছিল অনিয়ম, সহিংসতা আর প্রাণহানির ঘটনা, তেমনি অপরদিকে ছিল ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটের চিত্র। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিয়ম প্রাণহানি আর সহিংসতার ঘটনায় উৎসবমুখর ভোটের অর্জন ম্লান হয়ে গেছে। তাদের মতে, ইউপি নির্বাচনে একজনের প্রাণহানিও কাক্সিক্ষত নয়। অথচ সেখানে ভোটের দিনের সহিংসতায় ছয় দফায় ৩৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতায় প্রাণহানি ১শ’ ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম দফায় সহিংসতার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে তৃতীয় দফার নির্বাচনে। এ দফায় কমিশনের বিশেষ নজরদারির কারণে সহিংসতা কম ছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রাণহানির ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে দাবি করা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত কমিশনের ব্যর্থতায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কারণ নির্বাচনে ইসি তার ক্ষমতা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি তারা নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রভাব, বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিশৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। বিশেষ করে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় ক্ষমতাসীনদের মনোনয়নপ্রত্যাশীর প্রতিযোগিতা এত বেশি ছিল যে, কেন্দ্র থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ছিল না। ফলে দলের একজন প্রার্থী মনোনয়ন পেলেও বাকিরা ঠিকই বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিদ্রোহীদের দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও স্থানীয় রাজনীতিতে দ্বন্দ্বের বিদ্রোহী প্রার্থীদের দল নির্বাচন থেকে দূরে রাখা সম্ভব হয়নি। আর এ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আগে থেকেই সতর্ক করা হলেও নির্বাচন কমিশন বা রাজনৈতিক দলগুলো যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হয়েছে সহিংসতা রোধে। প্রথম থেকেই ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় জড়িত থাকার সবচেয়ে বেশি অভিযোগ রয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থী ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। এ কারণে ছয় দফায় নির্বাচনে সহিংসতার যাদের মৃত্যু হয়েছে তারাও মূলত সরকারী দলের সমর্থক নেতা ও কর্মী। এর বাইরের বিএনপি ও তার বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ছিল নির্বাচনে। কুমিল্লায় বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে এক বিদ্রোহী প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এর বাইরে সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ব্রতীর পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রথম থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর বিশেষ করে সরকারী দলের স্থানীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। এর প্রধান কারণ মূলত দলীয় কোন্দল। তবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশপাশি স্থানীয় গোষ্ঠীগত প্রভাব এ নির্বাচনে সহিংসতার জন্য অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনে জেতার জন্য ‘ডু অর ডাই’ সিচুয়েশন পরিস্থিতি সহিংসতার দিকে নিয়ে গেছে। দলের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর কেন্দ্রীয় নেতাদের চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই সহিংসতার জন্ম দিয়েছে। সহিংসতা রোধ না হওয়ার ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। ভাল নির্বাচনের জন্য সবার সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন মনে করেন, শুরুতেই কমিশনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন ছিল। কমিশন যথার্থ দৃঢ়তা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ বলেন, ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহারে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি ছিল। তাই দলীয় প্রতীক ব্যবহারের কোন সুফল পাওয়া যায়নি। ইসির উচিত ছিল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসা। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, সেটা আগেই বোঝা উচিত ছিল। ছয় দফায় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম দফার নির্বাচনে। কমিশনের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেয়ায় তৃতীয় ধাপে সহিংসতায় প্রাণ গেছে মাত্র একজনের। এরপর আর কোন দফায় সহিংসতা রোধে কমিশনের বিশেষ কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। শুধুমাত্র চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। প্রথম দফায় ২২ মার্চ নির্বাচনে সারাদিন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ হলেও নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতায় প্রাণ গেছে ১০ জনের। দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চের নির্বাচনে কমিশনের পক্ষ থেকে সহিংসতা রোধ করতে পারেনি। ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে এ দফায়। তৃতীয় দফার নির্বাচনের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ সতর্কবার্তা দেয়ার কারণে ২৩ এপ্রিলের এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে মাত্র একজনের প্রাণহানি হয়েছে। চতুর্থ দফায় নির্বাচনের দিনের সহিংসতায় চারজনের এবং পঞ্চম দফায় ২৮ মের নির্বাচনে ১২ জনের এবং শেষ দফায় ৪ জুনের নির্বাচনে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চারজনের। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছয় দফার ভোট শেষে দাবি করেছেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে সার্বিকভাবে সব ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতা এবং অনিয়ম প্রতিরোধে সমাজে সংস্কার আনার কথা বলেন তিনি। বলেন, এজন্য সামাজিক দায়িত্বও আছে। কমিশন সব ধাপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রথম থেকেই কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর হওয়ার কথা বলা হলেও ছয় দফায় নির্বাচনের পূর্বাপর ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কমিশন প্রচ- রকম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে এ নির্বাচনের শুরু থেকেই। শক্ত কোন পদক্ষেপ নিতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। শুধুমাত্র নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় জরিমানা ও ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর বাইরে ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানে আশ্বস্ত করতে কিংবা প্রভাব বিস্তারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার বা অস্ত্র উদ্ধারের মতো অভিযান পরিচালনার কথ বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেনি। প্রশাসনের ওপর অতিনির্ভরশীল হওয়ার কারণে ইসির নির্দেশ মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এ নির্বাচনে যারা বিভিন্ন নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে নির্বাবচন কমিশন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনে সহিংসতা ছাড়াও কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়াসহ নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিয়মের অনেক ঘটনা ঘটেছে। পেশীশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার, এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ভিআইপিদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রতিপক্ষকে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় বাধা, ভোটের আগের রাতে সিল মেরে বাক্স ভরা, কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাইসহ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সহায়তায় ফল পাল্টে দেয়ার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ॥ এবারই প্রথমবারের মতো দলীয় ভিত্তিতে চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে সব স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করা হয়েছে নির্দলীয়ভাবে। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য দলীয় ভিত্তিতে ইউপি নির্বাচনকে সহিংসতার অন্যতম কারণ হিসেবে বিশ্লেষণ করছেন। এবারের নির্বাচনসহ দেশের স্বাধীনতার পর নয়বার ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতীতের নির্বাচন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত তিনবারের ইউপি নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হলেও পরের সব নির্বাচনে সহিংসতা হয়েছে। তবে এর মাত্রা ছিল কম বা বেশি। সবচেয়ে বেশি সহিংসতা ঘটেছে ১৯৮৮ সালে স্বৈরাচার এরশাদ আমলে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে। একদিনে নির্বাচন হওয়ার কারণে প্রায় ১শ’ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। এছাড়া বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৩ সালের নির্বাচনেও ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ডেমোক্র্যাসিওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৫১ দিনব্যাপী ওই নির্বাচনে ৮০ জন প্রাণ হারায়। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সবচেয়ে কম সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে ওই নির্বাচনে ৩৪ জনের প্রাণহানির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনের প্রাণহানির ঘটনাও রেকর্ড করেছে। ছয় দফায় নির্বাচনের দিনের সহিংসতায় প্রাণ গেছে ৩৯ জনের। এর বাইরে ভোটের আগে-পরের সহিংসতায় ১শ’ জনের প্রাণহানির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। নির্বাচনী ফল ॥ ছয় দফায় দেশের চার হাজার ৫৫৫টি ইউপির মধ্যে চার হাজার ৮৫ ইউপিতে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে গত ২২ মার্চ প্রথম ধাপে ৭১২ ইউপিতে, ৩১ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে ৬৩৯ ইউপি, ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে ৬১৫ ইউপি, ৭ মে চতুর্থ ধাপে ৭০৩ ইউপি, ২৮ মে পঞ্চম ধাপে ৭১৭ ইউপি এবং ষষ্ঠ ধাপে শনিবার ৬৯৮ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটের ফলে প্রায় ৯০ ভাগ ইউপিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। তৃতীয় স্থানের রয়েছে বিএনপির প্রার্থীরা। কমিশনের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ছয় ধাপের নির্বাচনে আ’লীগ দুই হাজার ৬৭০ ইউপিতে জয়লাভ করেছে। এর বাইরে বিএনপি ৩৭২ ইউপিতে জয়লাভ করেছে। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে প্রথম ধাপে ৭৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৮ শতাংশ, তৃতীয় ধাপে ৭৬ শতাংশ, চতুর্থ ধাপে ৭৭ শতাংশ ও পঞ্চম ধাপে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। ষষ্ঠ ধাপে ভোট পড়েছে ৭৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফলে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান হয়েছেন ৪৯৪ জন ও বিএনপির ৫০ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ১০৯ ইউপিতে। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ৫৪ জন। দ্বিতীয় ধাপে নৌকা প্রতীকের ৪১৯ জন ও ধানের শীষের ৬৩ জন বিজয়ী হন। ১১৭ ইউপিতে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের ৩৪ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তৃতীয় ধাপের ভোটে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান হয়েছেন ৩৬৬ জন। বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৯ জন। বিএনপির প্রার্থীরা ৬০টি ইউপিতে জয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৩৯টিতে। চতুর্থ ধাপে নৌকা প্রতীকের ৪০৫ জন জয়ী হয়েছেন। এর সঙ্গে যোগ হয় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতার ৩৫ জন। এ ধাপে বিএনপির ৭০ জন ও ১৬১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন। পঞ্চম ধাপে আওয়ামী লীগ থেকে ৩৯২ জন ভোটে এবং ৩৯ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর বিএনপির ৬৭ জন, স্বতন্ত্র ১৭০ জন, জাতীয় পার্টির ৯ জন এবং অন্য দলের একজন প্রার্থী চেয়ারম্যান হয়েছেন। ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ৪০৩টিতে, বিএনপি ৬২ আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১৮৪ ইউপিতে। ষষ্ঠ ধাপে ২৪ ইউপিতে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগে ২২ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’জন। শেষ ধাপে জাতীয় পার্টি ১৫টি, জেপি একটি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি ইউপিতে জয়লাভ করেছে।
×