ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উজানের পানির চাপ ॥ সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৬ জুন ২০১৬

উজানের পানির চাপ ॥ সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ৫ জুন ॥ অসময়ে উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে নির্মাণাধীন দু’টি সেতুর সংযোগ সড়ক। গত কয়েকদিন ধরে টানা পানির প্রবাহ বৃদ্ধি এবং অস্বাভাবিক গতির কারণে ইতোমধ্যে ধসে গেছে উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নের বাহাদুরপুর নদীর ওপর নির্মাণাধীন তিন ’শ ফুট দীর্ঘ সেতুর পূর্বপাশের ত্রিশ ফুট সংযোগ সড়ক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটিতে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় মূল সড়ক থেকে সেতুটি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও মাত্র এক কিলোমিটার দূরে কারলান নদীর ওপর নির্মাণাধীন আরেকটি সেতুর সংযোগ সড়কেও ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ধসে পড়ছে বোল্ডার ও সড়কের মাটি। কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের শেষদিকে দুর্গম হাওরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে বাজিতপুর উপজেলার উজানচর থেকে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত তিনটি সেতুসহ ৩৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যার ব্যয় ধরা হয় ৩৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা। চলতি বছরের আসছে ৩০ জুন এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি- ইতিমধ্যে প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজও শেষ হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির বৈরিতার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাঙ্গন রক্ষায় ঠিকাদার গাফিলতি করছে। তারা মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন শ্রমিক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান থেকেই মাটি কেটে বস্তায় ভরে পানিতে ফেলছেন। এতে ভাঙ্গনের জায়গার পরিমাণ আরও বেশি আকার ধারণ করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সুশান্ত কুমার সরকার বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাওরে পানির প্রবল স্রোত এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কে আঘাত করলে এতে ধসে পড়ে অন্তত ত্রিশ ফুট সড়ক। আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোনরকম গাফিলতি করছি না বরং ভাঙ্গন ঠেকাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে নির্মাণ কাজের তদারককারী জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমীন খান বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক স্থায়ীভাবে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে নদী শাসনের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও নাব্য বৃদ্ধি ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই। ভাঙ্গনের সত্যতা নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ভাঙ্গন ঠেকাতে সিমেন্টের ব্লক ও বালুর বস্তা ফেলে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা চলছে।
×