ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ওষুধ শিল্প বিকাশে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৬ জুন ২০১৬

ওষুধ শিল্প বিকাশে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ওষুধ শিল্প বিকাশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। স্কায়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স ওষুধ শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বাংলাদেশে স্কায়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিশ্বমানের উৎপাদন ব্যবস্থা এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সর্বোচ্চ মানের ওষুধ উৎপাদন করে আসছে। এ কারখানার ওষুধের মান শুধু বাংলাদেশেই নয় বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। বিশ^মানের এ ওষুধ আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৯০টি দেশে রফতানি হচ্ছে। ফলে দেশের মান উজ্জ্বল হয়েছে। মন্ত্রী রবিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল্স লিমিটেড কারখানার ওষুধ প্রস্তুতকারী প্লান্ট পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, কালিয়াকৈরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে মন্ত্রীকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী প্লান্টের সামগ্রিক উৎপাদন ও মাননিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে অতিথিবৃন্দকে অবহিত করেন। তিনি জানান, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এই প্লান্টটি টঝঋউঅ এবং ইউরোপিয়ান ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার প্রয়োজনীয় শর্তানুযায়ী নির্মিত। উল্লেখ্য যে, বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ওষুধ উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি হল বাংলাদেশ এবং স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস্ ১৯৮৫ সাল থেকে এদেশের ওষুধ শিল্পে শীর্ষে অবস্থান করছে। বর্তমানে স্কয়ার আমেরিকাসহ বিশ্বের ১৯০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। বাজেট সিগারেটবান্ধব! অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত বাজেটকে সিগারেটবান্ধব বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির মূল্যস্তর ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও সিগারেটের মূল্যস্তর বৃদ্ধি করা হয়েছে মাত্র ২৮ শতাংশ। তাছাড়া বিড়ির সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি করা হলেও সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে মাত্র দুই শতাংশ। সমিতির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, সমগোত্রীয় হওয়া সত্ত্বেও প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। বর্তমানে বিড়ির ওপর ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর বিদ্যমান থাকলেও সিগারেটের ওপর অগ্রিম আয়কর রয়েছে মাত্র তিন শতাংশ। তারা এই বৈষম্য হ্রাস করে সামঞ্জস্যমূলক শুল্ক আরোপের দাবি জানান। রবিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আকিজ বিড়ি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ মহিউদ্দিন এমপি। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘ধূমপান ক্ষতিকর হলে বিড়ি সিগারেট সবই বন্ধ করে দিন। কিন্তু কোন প্রকার বৈষম্যমূলক আচরণ আমরা মেনে নেব না।’ তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ির ওপর সর্বমোট ৬৩ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, সেখানে সিগারেটের ওপর বাড়ানো হয়েছে ৩২ শতাংশ। এতে দেশের বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০০১ সালে সেখানে দেশে ২১৮টি বিড়ি শিল্প ছিল, বর্তমানে তা ৭৫টিতে নেমে এসেছে। গত ১৬ বছরে দেশে ৩৩ লাখ বিড়ি শ্রমিক বেকার হয়েছে। অন্যদিকে বিড়ির স্থান দখল করে নিচ্ছে সিগারেট। শেখ মহিউদ্দিন বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেনি, বরং বেড়েছে। বিড়ি সেবনকারীরা এখন সিগারেটের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে এখন আর কোথাও সিগারেট পাওয়া যায় না। নিম্ন আয়ের মানুষও এখন সিগারেটের প্রতি ঝুকে পড়ছে।
×