ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দুই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ২১ কোটি ডলার ঋণ

প্রকাশিত: ০৪:১১, ৬ জুন ২০১৬

দুই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ২১ কোটি ডলার ঋণ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য প্রদান এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে দুটো প্রকল্পে ২১৩ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। রবিবার সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ৭৮ টাকা বিনিময় হারে বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ হয় এক হাজার ৬৬১ কোটি ৪১ লাখ টাকা। ৩ জুন বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ঋণ প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। দেশের প্রায় ৭২০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলে সংঘটিত জলোচ্ছ্বাসের ফলে জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততার শিকার হয়ে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লাখ লাখ জনগণের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। যথাযথভাবে পূর্বাভাস ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলে এ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব বলে মনে করে সরকার। এজন্য দুর্যোগ পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে আবহাওয়ার সঠিক তথ্য, পানি এবং জলবায়ু সংক্রান্ত সঠিক তথ্যাদিতে অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। সে লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ওয়েদার এ্যান্ড ক্লাইমেট সার্ভিস রিজিওনাল প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এই প্রকল্পে প্রথম দিকেই ৮৮৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা বা ১১৩ মিলিয়ন ডলার দিতে সম্মত হয় দাতা সংস্থাটি। সংস্থার সর্বশেষ বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে। এক সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল সেশনজট। কিন্তু গত কয়েক বছরে সমস্যাটি কেটে উঠছে। সেশনজটের পর এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে কলেজ শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতি। প্রশাসনের মনোভাব হচ্ছে, তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ মানসম্পন্ন গ্র্যাজুয়েটস ব্যতীত বিশ্বায়নের এ যুগে কোন জাতির পক্ষে উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। এসব দিক বিবেচনা করে, ‘কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৩ কোটি মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দিচ্ছে ১০ কোটি ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ হয় প্রায় ৭৮০ কোটি টাকা। ১০ লাখ টন ভোগ্যপণ্য বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন রমজান উপলক্ষে আমদানি করা প্রায় ১০ লাখ টন ভোগ্যপণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব পণ্য নিয়ে বহিঃনোঙ্গরে ভাসছে ১৮টি জাহাজ। রোজা শুরুর আগে রমজানের ভোগ্যপণ্য নিয়ে আরও ১২-১৫টি জাহাজ বন্দরে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থিং লিস্ট অনুযায়ী, বহিঃনোঙ্গরে থাকা ৫টি জাহাজে মোট ৫৩ হাজার ৪৭৫ টন পরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৬ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল রয়েছে। এছাড়া অপর ১৫টি জাহাজে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৩৪ টন গম, ৭১ হাজার ২৮০ টন মটর ও অন্যান্য দ্রব্য রয়েছে। বন্দরের বার্থিং লিস্ট অনুযায়ী আরও জানা গেছে, ২ লাখ ৪২ হাজার ৪৩১ টন গম; ১ লাখ ১০ হাজার ৯৩৭ টন সয়াবিন তেল এবং ১ লাখ টন চিনি নিয়ে আরও ১২টি জাহাজ রমজান শুরুর আগেই বহিঃনোঙ্গরে আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জাফর আলম বলেন, বন্দরের জাহাজ খালাসের বার্থিং লিস্ট অনুযায়ী ভোগ্যপণ্য বোঝাই ১৮টি জাহাজ বহিঃনোঙ্গরে খালাসের অপোয় রয়েছে।
×