ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

২৪ ব্যাংকের স্প্রেড আইনী সীমার বাইরে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ৬ জুন ২০১৬

২৪ ব্যাংকের স্প্রেড আইনী সীমার বাইরে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আবারও ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের গড় সুদ ব্যবধান (স্প্রেড) বেড়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এ খাতে গড় ¯েপ্রড দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশীয় পয়েন্ট। যা আগের মাস মার্চে ছিল ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশীয় পয়েন্ট। আর ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪ দশমিক ৮১ শতাংশীয় পয়েন্ট। তবে ব্যাংকিং খাতে গড় স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের নিচে অবস্থান করলেও বেসরকারী ও বিদেশী খাতের বেশ কয়েকটি ব্যাংক প্রত্যাশিত হারে ঋণের সুদ না কমানোয় তাদের গড় স্প্রেড এখনও ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরেই রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে প্রায় দুই ডজন ব্যাংক। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি স্পেড রয়েছে বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মে কোন ব্যাংকের গড় স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের বেশি হতে পারবে না। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল শেষে বেসরকারী ও বিদেশী খাতের ২৪ ব্যাংকের স্প্রেড কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত সীমার বাইরে রয়েছে। আর পৃথকভাবে বেসরকারী ও বিদেশী ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড ৫ শতাংশীয় পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। এ সময়ে বিদেশী খাতের ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২১ শতাংশীয় পয়েন্ট। আর বেসরকারী খাতের ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড হয়েছে ৫ দশমিক ০৩ শতাংশীয় পয়েন্ট। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এপ্রিল শেষে ঋণ ও আমানত উভয় ক্ষেত্রেই সুদহার কমিয়েছে ব্যাংকগুলো। তবে আমানতের চেয়ে ঋণের সুদ তুলনামূলক কম কমেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলে দেশের ৫৬টি ব্যাংকের ঋণের গড় সুদহার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশীয় পয়েন্টে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আমানতের গড় সুদহারও কিছুটা কমে ৫ দশমিক শূন্য ৭৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, এপ্রিলে বিদেশী খাতের ৬টি ব্যাংকের স্প্রেড নির্ধারিত সীমার বাইরে রয়েছে। এগুলো হলো-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ¯েপ্রড ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশীয় পয়েন্ট, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশীয় পয়েন্ট, সিটি ব্যাংক এন এ ৬ দশমিক ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ৫ দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট, উরি ব্যাংক ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশীয় পয়েন্ট এবং দ্য হংকং এ্যান্ড সাংহাই ব্যাংক কর্পোরেশন লিমিটেডের (এইচএসবিসি) ¯েপ্রড দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশীয় পয়েন্টে। এ সময়ে বেসরকারী খাতের ১৭টি ও সরকারী খাতের একটি ব্যাংকের স্প্রেডও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে। সরকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের স্প্রেড ৫ দশমিক ২৮ শতাংশীয় পয়েন্ট। আর বেসরকারী ব্যাংকের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের ¯েপ্রড ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশীয় পয়েন্ট, যা একক ব্যাংক হিসেবে ব্যাংকিং খাতে সবচেয়ে বেশি। এছাড়া ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশীয় পয়েন্ট, ওয়ান ব্যাংকের ৬ দশমিক ৫১ শতাংশীয় পয়েন্ট, আইএফআসির ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশীয় পয়েন্ট, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশীয় পয়েন্ট, দ্যা সিটি ব্যাংকের ৫ দশমিক ১৭ শতাংশীয় পয়েন্ট, এবি ব্যাংকের ৫ দশমিক ০৪ শতাংশীয় পয়েন্ট, পূবালী ব্যাংকের ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশীয় পয়েন্ট।
×