ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এগারো বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ৫ জুন ২০১৬

এগারো বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

চারপাশের যেদিকে দৃষ্টি যায় সেদিকেই পাহাড়ের হাতছানি। লালমাটির পাহাড়ের দৃঢ়তা এখানে আকাশের কোমলতাকে ছুঁয়ে যায়। বিশাল পাহাড়ের নাম লালমাই পাহাড়। এ পাহাড়ের পাদদেশে জ্ঞানের আলো নিয়ে দাঁড়িয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২৮ মে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এরই মধ্য দিয়ে দশ বছর পেছনে ফেলে এগারো বছরে পা দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। ইতিহাসের পাতা থেকে : দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ২০০৬ সালের ২৮ মে দেশের ২৬তম সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৭ সালের ২৮ মে ৩০০ শিক্ষার্থী ও ১৫ শিক্ষক নিয়ে বিদ্যাপীঠটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। বিষয়সমূহ : প্রথমে চারটি অনুষদের অধীনে গণিত, ইংরেজী, অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মাকেটিং এই সাতটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের পরিক্রমায় কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, বাংলা, নৃবিজ্ঞান, পদার্থ, রসায়ন, পরিসংখ্যান, প্রতœতত্ত্ব, ফাইন্যান্স এ্যান্ড ব্যাংকিং ও ফার্মাসি বিভাগ চালু করা হয়। পরবর্তীতে আরও দুটি বিভাগ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা এবং আইন চালু করা হয়। বর্তমান অবস্থা : কলা ও মানবিক, সমাজজ্ঞিান, ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রকৌশল, আইন অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে প্রায় ছয় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর অধ্যাপনা করছেন ১৫৮ শিক্ষক। ইতোমধ্যে দশটি ব্যাচের মধ্যে ১ম, ২য়, ৩য় এবং ৪র্থ ব্যাচ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে চারটি হল। ছাত্রদের জন্য শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং ছাত্রীদের জন্য নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল। বর্ণাঢ্য আয়োজন : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে গত ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছিল বর্নিল সাজে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের মাঝে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আলী আশরাফের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে কেক কেটে ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১১ বছরের পদার্পণকে স্বাগত জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালন করা হয়। সব শেষে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিবর্তন ও ক্যাম্পাসের ব্যান্ড প্লাটফর্মের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ছিল জনপ্রিয় ব্যান্ড শিরোনামহীনের পরিবেশনায় কনসার্ট। মুহাম্মাদ শফিউল্লাহ
×