ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের পরও লালফিতায় আটকে আছে

রাজউকের এক শ’ ভবন নির্মাণ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি এখনও

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৪ জুন ২০১৬

রাজউকের এক শ’ ভবন নির্মাণ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি এখনও

মশিউর রহমান খান ॥ চুক্তির মেয়াদের শেষ পর্যায়েও বাস্তবায়ন হচ্ছে না মালয়েশিয়া সরকারের উত্তরায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) একশ’ ভবন নির্মাণ প্রকল্প। মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা প্রথম চুক্তির পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পের ৮ হাজার ৪০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে আজও আলোর মুখ দেখতে পারেনি। তবে প্রকল্পের বাইরে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে ৭৯ ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে। রাজধানীতে বসবাসকারী স্বল্প ও মধ্যবিত্ত আয়ের লোকের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে সরকার পরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সালের জুনে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও আজও তা ফাইল চালাচালিতেই আটকে আছে। প্রকল্পের একাংশের কাজ চলমান থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহেলায় অপর অংশ কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে বা আদৌ প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন নিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে সৃষ্ট দীর্ঘসূত্রতায় খোদ গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জনকণ্ঠের কাছে নিজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিলম্বের জন্য মালয়েশিয়ার সরকার নয় এর জন্য দায়ী সরকারের আমলাতন্ত্র। কোন প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ এভাবে চলতে পারে না। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমের তেমন সাড়া না পাওয়ায় সরকার পুনরায় ২০১৪ সালে একই প্রকল্প বাস্তবায়নে মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দফা এমওই স্বাক্ষর করে। নতুন সমঝোতা স্মারকের ২ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আটকে আছে। মূলত শুরু থেকেই অনেকটা শম্বুক গতিতেই এগোচ্ছে প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তির নির্ধারিত সময়েই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবে বলে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মতে, মালয়েশিয়ার সঙ্গে সরকারের প্রথম দফা চুক্তির পর তেমন কোন কাজ না হলেও দ্বিতীয়বার করা এমওই অনুযায়ী বিষয়টিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। যার ফল শীঘ্রই মিলবে। জানা গেছে, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগে রাজধানীর উত্তরার ১৮ নং সেক্টরে ১৭৯ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এরমধ্যে একশ’ ভবন নির্মাণ করে দেবে মালয়েশিয়া সরকার। বাকি ভবন তৈরি করবে বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে প্রথম দফায় ২০১১ সালের অক্টোবরে দুই দেশের সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওই) সই হয়। কিন্তু এর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ভবনগুলো নির্মাণে এ পর্যন্ত চুক্তিই চূড়ান্ত করতে পারেনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ফলে এখনও এসব ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের মধ্যে সরকারী অর্থে নির্মিত হওয়া অংশে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ৮শ’ ৪০ ফ্ল্যাট গ্রাহকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া ২০১৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ৭৯ ভবনেরই নির্মাণ কাজ শেষ করার চিন্তা করছে সরকার। এ নিয়ে কাজ চলমান রেখেছে সরকার। উল্লেখ্য, উত্তরা তৃতীয় ফেজে ১৮ নম্বর সেক্টরে ২১৪ দশমিক ৪৪ একর জমির ওপর মোট ১৭৯ ভবনে ১৫ হাজার ৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজউক ৪০ এবং গণপূর্ত বিভাগ ৩৯ ভবন নির্মাণ করছে। এসব ভবনে মোট ৬ হাজার ৩৩৬ ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট ১০০ ভবনে ৮ হাজার ৪০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে মালয়েশিয়া সরকার। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ২৮৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মালয়েশিয়া সরকারের বিনিয়োগ করা এ অর্থ ৪২ মাসে চার কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। জানা গেছে, উত্তরা এ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে রাজউক অংশে ৪০টি ১৬ তলা ভবন নির্মাণকাজ চলমান। আর ৩৪ ভবনের কেবল ভিত্তি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে গণপূর্ত অংশে ৩৯ ভবনের কাজ চলমান। এর মধ্যে ছয়টি ভবনের বাস্তব অগ্রগতি গড়ে ৬৫ শতাংশ, চারটি ভবনের বাস্তব অগ্রগতি গড়ে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং ২৬ ভবনের বাস্তব অগ্রগতি গড়ে প্রায় ১৪ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের নবেম্বরে রাজধানীর উত্তরার ১৮ নম্বর সেক্টরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য এ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। ‘এ’ ‘বি’ ও ‘সি’ তিনটি ব্লকে ভাগ করে এখানে মোট ১৭৯ ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন প্রাকল্লন ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৩১ কোটি টাকা। এটি ২০১১ সালের নবেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানানো হয়। তবে দেশী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারের অর্থায়নে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর মধ্যে দশটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৮৪০ ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা যাবে। এছাড়া ২০১৮ সালের জুলাইয়ের মধ্যে ৭৯ ভবনের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে, উত্তরায় এ আবাসন প্রকল্পের আওতায় ১০০ ভবন নির্মাণে ২০১১ সালের ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে প্রথম সমঝোতা স্মারক সই হয়। স্মারকে বলা হয়, সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকারকে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। মালয়েশিয়া সরকার সম্পূর্ণ অর্থ বিনিয়োগ করবে। পুরো প্রকল্প সম্পন্ন করে দেয়ার তিন বছর পর তাদের কেবল বিনিয়োগের অর্থ ফেরত দিলেই হবে। তাছাড়া মালয়েশিয়া সরকারের করা ভবনগুলো হবে উন্নত বিশ্বের ন্যায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি প্রকল্প। প্রকল্প এলাকাটিকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে তারা প্রতিটি ভবনের নিচে একটি করে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি) স্থাপন করা হবে। এছাড়া একটি সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকা গড়তে প্রয়োজনীয় সকল সুবিধাই তৈরি করে দেবে মালয়েশিয়া সরকার। এর পর ২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির সঙ্গে এ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। রাজউক সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে সংশোধিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর গত বছরের ৬ আগস্ট দেশটির সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমার্শিয়াল নেগোসিয়েশন কমিটির একটি যৌথ সভায় ওই কাজের ড্রাফট মাস্টার এ্যাগ্রিমেন্ট ও সেলস এ্যান্ড পারচেজ এ্যাগ্রিমেন্ট চূড়ান্ত করা হয়। চূড়ান্ত এ্যাগ্রিমেন্টটি ভেটিংয়ের জন্য গত বছরের ৯ আগস্ট গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠায় রাজউক। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মন্তব্যের ওপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজউককে অনুরোধ করা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক গত ১৪ জানুয়ারি কমার্শিয়াল নেগোসিয়েশন কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এর পর ২৬ জানুয়ারি পরামর্শগুলোর দফাওয়ারি মন্তব্য ও সিদ্ধান্তগুলো ২৬ জানুয়ারি ফের গৃহায়ণ ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে এসব সিদ্ধান্ত ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও সে বিষয়ে কোন অগ্রগতির তথ্য জানাতে পারেনি রাজউক ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। দুই দফা সমঝোতা সইয়ের ফলে ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া দ্রুত এগুবে বলে আশা করা হলেও বাস্তবে তা হয়নি। এছাড়া কবে নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবে রূপ নেবে তাও কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, রাজধানীতে বসবাসকারী নাগরিকের জন্য স্বল্পমূল্যে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকার ও মালয়েশিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৯ হাজার ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর উত্তরার ১৮ নং সেক্টরে একটি বৃহৎ ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ নিয়ে সরকার মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে ২০১১ সালে প্রথম দফা ও পরে ২০১৪ সালে দ্বিতীয় দফা মোট দুই দফা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পে মোট ১ শ’ ৭৯ ভবন নির্মাণ করবে। এসব ভবনে মোট ১৫ হাজার ৩৬ আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে রাজউক ৪০ এবং গণপূর্ত বিভাগ ৩৯ ভবন নির্মাণ করছে। এসব ভবনে মোট ৬ হাজার ৩৩৬ ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী অবশিষ্ট ১০০ ভবনে ৮ হাজার ৪০০ ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে মালয়েশিয়া সরকার। এজন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ২৮৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। মালয়েশিয়া সরকারের বিনিয়োগ করা এ অর্থ ৪২ মাসে চার কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। প্রথম দফা এমওই স্বাক্ষর করার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চুক্তির চূড়ান্ত বাস্তবায়নে তেমন কোন অগ্রগতি না হওয়ায় আমরা পরবর্তীতে ২০১৪ সালে নতুন করে এমওই স্বাক্ষর করি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মালয়েশিয়া সরকারের একান্ত আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও শুধু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তা সঠিক সময়ে করা সম্ভব হয়নি। প্রথম দফা চুক্তি অনুযায়ী এ বছরের জুনের মধ্যেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার কথা। মালয়েশিয়ার সঙ্গে করা স্মারককে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ায় মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি সরকারের যে কোন প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়নের জন্য যেখানে সর্বোচ্চ চেষ্টা ও দৌড়ঝাঁপ করছি সেখানে আমলারা কোনমতেই সামনের দিকে এগুতে আগ্রহী হচ্ছেন না। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের গাফলতির কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এভাবে চলতে পারে না। তাই বিষয়টি আমি নিজেই দেখছি। বর্তমানে প্রকল্পটির কাজ দ্রুত এগুচ্ছে। আলোচনার পর মালয়েশিয়া সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যথেষ্ট আন্তরিকতা প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় দফা করা চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে। বর্তমানে মালয়েশিয়ার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত সংক্রান্ত ফাইলটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এরপর ভেটিং শেষে এটি বাস্তবায়নের জন্য কাজ শুরু করা হবে। মালয়েশিয়া সরকারের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা গেলে এটি হবে দেশের জন্য একটি মডেল। আশা করি অতি দ্রুত এমওই টি চূড়ান্ত আকারে চুক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। সরকারও প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে সরকারের অর্থায়নে নির্মিত ভবনগুলোর মধ্যে এ বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের ৮৪০ ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে। আগামী বছরের জুনে প্রায় ১ হাজার ৫০০ এবং অবশিষ্ট ৪ হাজার ২৯৬ ফ্ল্যাট ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে। গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পে উন্নতমানের স্কুল, খেলার মাঠ, মার্কেট, লেক, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ সম্পন্ন হলে বিপুলসংখ্যক লোকের আবাসন সমস্যার সমাধান হবে।
×