ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে ছুরিকাঘাতে স্বামী খুন, স্ত্রী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৪ জুন ২০১৬

না’গঞ্জে ছুরিকাঘাতে  স্বামী খুন,  স্ত্রী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ৩ জুন ॥ জেলার ফতুল্লার নন্দলালপুরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে স্বামী সুমন ইসলাম ওরফে সুমন মিয়া (৩৫) নিহত হয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী সায়মা মনি অপুকে (২৫) শুক্রবার সকালে গ্রেফতার করেছে। নিহত সুমন ফতুল্লার নন্দলালপুর কবরস্থান রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটলেও এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়া বাড়ির পাশেই স্টুডিওর ব্যবসা করতেন। কয়েক বছর আগে সুমন সায়মাকে বিয়ে করেন। তাদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পরকীয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে তাদের মধ্যে বাকবিত-া হয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সায়মা তার স্বামী সুমনের পিঠে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে খানপুর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বড় ভাই নূরে আলম কামাল জানান, ফতুল্লার দেওভোগ আখড়া এলাকার সোবহানের মেয়ে সায়মাকে ১০ বছর আগে বিয়ে করে সুমন। বিয়ের পর থেকেই সায়মা সংসারে নানা অশান্তি সৃষ্টি করে আসছিল। সে আমার বৃদ্ধ মাকেও সহ্য করতে পারত না। ফলে আমাদের যৌথ পরিবার থেকে তাদের আলাদা করে দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, তারা আলাদা হওয়ার পর থেকে মোবাইলে কথা বলা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া আরও বেড়ে যায়। কারণ, সায়মা অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে মোবাইলে যখনতখন কথা বলত। স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সুমন মোবাইল ব্যবহার করতে সায়মাকে বাধা দেয়। এতে সায়মা উল্টো সুমনকে প্রায়সময় মারধর করত। ফতুল্লা মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ শরফুদ্দিন ঘটনাটি স্বীকার করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক অশান্তি ও পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যার হাসপাতাল থেকে স্ত্রী সায়মাকে আটক করে। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
×